রবীন্দ্রজয়ন্তী
জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
রবীন্দ্রনাথই তো শিশুতীর্থ কবিতায় একদা লিখেছিলেন, ‘ভয় নেই ভাই, মানবকে মহান বলে জেনো!’ পরক্ষণেই বলেছেন, ‘পশুশক্তিই আদ্যাশক্তি পশুশক্তিই শাশ্বত!’ বলেছেন, ‘সাধুতা তলে তলে আত্মপ্রবঞ্চক!’
রবীন্দ্রনাথের জন্মতিথিতে তাঁরই বলা মানুষের ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত দুই দিক যদি এভাবে প্রকাশ করা যায়, তাহলে বাস্তবের দ্বন্দ্বটা ফুটে ওঠে সহজভাবে। আজীবন মানুষ এই দ্বন্দ্বের সঙ্গে সংগ্রাম করেই বেঁচে রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ যুদ্ধ দেখেছেন, ধর্ম-সংঘাত দেখেছেন, ঔপনিবেশিক শোষণ দেখেছেন এবং সব ধরনের অন্যায়-অত্যাচার থেকে শান্তির পথ খুঁজেছেন। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক কষ্ট নিবারণের জন্য মানুষকে দেখিয়েছেন পথ। তাই যখন মানুষের প্রতি আস্থা রাখতে চাইছেন, তখন এ কথাও মানছেন, পশুরা সেই বিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
বর্তমান পৃথিবীর হালহকিকত রবীন্দ্রনাথের বলা এই বৈপরীত্যকে আরও নগ্নভাবে তুলে ধরেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালেও ছিল। বন্ধুর পথ অতিক্রম করার শক্তি তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে পেয়েছেন।
চোখ থাকলে যে কেউ দেখতে পারে, কিন্তু সব দেখার মানে থাকে না। রবীন্দ্রনাথ মানুষের রুচিকে সংহত করে তোলার পাশাপাশি উন্মিলিত করেছেন তাঁর দেখার চোখ। চোখের দেখা মনকে আরাম দেয়, সেটা সহজ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যকে, সাহিত্যের নানা স্তরকে তিনি নান্দনিক আবেশের উচ্চাসনে বসিয়েছেন। নির্মোহ হয়ে রবীন্দ্রনাথকে খুঁজতে যাবেন যিনি, তিনি হিমালয়ের সন্ধান পেয়ে যাবেন। সেই পাহাড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপেই অপার বিস্ময়!
ধর্মীয় সংকীর্ণতায় রবীন্দ্রনাথকে বন্দী করার ফন্দি-ফিকির ছিল সব সময়। কিন্তু সংস্কৃতির প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে যাঁদের, তাঁরা বারবার রবীন্দ্রনাথের কাছেই আশ্রয় খুঁজেছেন, পেয়েছেনও। জাতির যেকোনো বিপর্যয়ের সময় মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি রবীন্দ্রনাথে পাওয়া যায়। তাই, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল হয়ে ওঠেন স্বাধিকার আন্দোলনের, স্বাধীনতাযুদ্ধের শৈল্পিক পথপ্রদর্শক।
পাকিস্তান আমলে যখন নয়া উপনিবেশবাদের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, তখনই বাঙালি মুসলমান নতুন করে চিনল রবীন্দ্রনাথকে। আগের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে জাতিগত পরিচয়ে নিজের সত্তাকে প্রকাশ করল। রবীন্দ্রনাথ সেই চলার পথে করলেন জলসিঞ্চন।
রবীন্দ্রনাথের ‘রথের রশি’র কথাই স্মরণ করতে হচ্ছে আজ। পা বেতালা হয়ে গেলে পথটি হয়ে ওঠে দুর্গম। সে কথা তিনি ‘রথের রশি’তে বলেছেন। রথ যখন পুরোনোদের হাতে চলে না, তখন নতুনরা আসে, তাদের টানে তর তর করে চলে রথ। তারপর একসময় তারাও পুরোনো হয়ে যায়। আসে নতুন মানুষ। নতুনভাবে চলে রথ। পৃথিবী এই ধারাবাহিকতার বাইরে যেতে পারেনি। আবার নতুন কিছু দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকে নতুন মানুষ।
গান দিয়ে, কবিতা দিয়ে, ছোট গল্প দিয়ে, উপন্যাস দিয়ে, সমাজভাবনা দিয়ে যেভাবে বাঙালিকে একটা সুন্দর ভবিষ্যতের তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা তাঁর নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড়। সেই বড়ত্বের কাছে গিয়েই বলতে হয়, ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা...’
রবীন্দ্রজয়ন্তী ঘিরে যত আয়োজন
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরুর ১৬৫তম জন্মদিন। কবির জন্মদিনকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবার জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে উদ্যাপন করা হবে জয়ন্তী উৎসব। এ উপলক্ষে কুঠিবাড়িতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান। সঙ্গে থাকছে গ্রামীণ মেলার আয়োজন। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ আয়োজন শুরু হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ও আগামীকাল শুক্রবার রবীন্দ্র-উৎসব আয়োজন করছে ছায়ানট। ছায়ানট মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবে।
বাংলা একাডেমি সেমিনার ও রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে জয়ন্তী উদ্যাপন করবে। একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মিলনায়তনে আজ সেমিনার শুরু হবে বিকেল ৫টায়। একই আয়োজনে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছর রবীন্দ্র পুরস্কার পাচ্ছেন রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজ্জামান চৌধুরী ময়না।
অনলাইনভিত্তিক শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিবিষয়ক লেখালেখির স্থান লেখালেখির উঠান আয়োজন করেছে মার্ক্স-রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান-গল্প-বই আড্ডা। ধানমন্ডির এনস কিচেনে এটি চলবে ৮, ৯ ও ১০ মে। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর নিবেদন। শিল্পী লায়েকা বশীরের কণ্ঠে তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা। তবলায় সংগত করবেন ভুলু ধর রাজেশ। দ্বিতীয় দিনে থাকছে জাভেদ হুসেনের আলাপন। সমাপনী দিনে থাকছে জাভেদ হুসেন অনূদিত নাটক মার্ক্স ইন সোহোর নির্বাচিত অংশের পাঠাভিনয়। সমাপনী পর্বে থাকছে দুই প্রজন্মের শিল্পীদের পরিবেশনায় সারেঙ্গি বাদন। সারেঙ্গিশিল্পী মতিয়ার রহমান ও তাঁর দুই সন্তান মাহিমা মেহজাবিন এবং ইউসুফ আহমেদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন শিল্পী জাকির হোসেন।
নাটকের দল স্বপ্নদল মঞ্চস্থ করবে নাটক ‘হেলেন কেলার’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকটি।
রবীন্দ্রনাথই তো শিশুতীর্থ কবিতায় একদা লিখেছিলেন, ‘ভয় নেই ভাই, মানবকে মহান বলে জেনো!’ পরক্ষণেই বলেছেন, ‘পশুশক্তিই আদ্যাশক্তি পশুশক্তিই শাশ্বত!’ বলেছেন, ‘সাধুতা তলে তলে আত্মপ্রবঞ্চক!’
রবীন্দ্রনাথের জন্মতিথিতে তাঁরই বলা মানুষের ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত দুই দিক যদি এভাবে প্রকাশ করা যায়, তাহলে বাস্তবের দ্বন্দ্বটা ফুটে ওঠে সহজভাবে। আজীবন মানুষ এই দ্বন্দ্বের সঙ্গে সংগ্রাম করেই বেঁচে রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ যুদ্ধ দেখেছেন, ধর্ম-সংঘাত দেখেছেন, ঔপনিবেশিক শোষণ দেখেছেন এবং সব ধরনের অন্যায়-অত্যাচার থেকে শান্তির পথ খুঁজেছেন। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক কষ্ট নিবারণের জন্য মানুষকে দেখিয়েছেন পথ। তাই যখন মানুষের প্রতি আস্থা রাখতে চাইছেন, তখন এ কথাও মানছেন, পশুরা সেই বিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
বর্তমান পৃথিবীর হালহকিকত রবীন্দ্রনাথের বলা এই বৈপরীত্যকে আরও নগ্নভাবে তুলে ধরেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালেও ছিল। বন্ধুর পথ অতিক্রম করার শক্তি তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে পেয়েছেন।
চোখ থাকলে যে কেউ দেখতে পারে, কিন্তু সব দেখার মানে থাকে না। রবীন্দ্রনাথ মানুষের রুচিকে সংহত করে তোলার পাশাপাশি উন্মিলিত করেছেন তাঁর দেখার চোখ। চোখের দেখা মনকে আরাম দেয়, সেটা সহজ করে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যকে, সাহিত্যের নানা স্তরকে তিনি নান্দনিক আবেশের উচ্চাসনে বসিয়েছেন। নির্মোহ হয়ে রবীন্দ্রনাথকে খুঁজতে যাবেন যিনি, তিনি হিমালয়ের সন্ধান পেয়ে যাবেন। সেই পাহাড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপেই অপার বিস্ময়!
ধর্মীয় সংকীর্ণতায় রবীন্দ্রনাথকে বন্দী করার ফন্দি-ফিকির ছিল সব সময়। কিন্তু সংস্কৃতির প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে যাঁদের, তাঁরা বারবার রবীন্দ্রনাথের কাছেই আশ্রয় খুঁজেছেন, পেয়েছেনও। জাতির যেকোনো বিপর্যয়ের সময় মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি রবীন্দ্রনাথে পাওয়া যায়। তাই, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল হয়ে ওঠেন স্বাধিকার আন্দোলনের, স্বাধীনতাযুদ্ধের শৈল্পিক পথপ্রদর্শক।
পাকিস্তান আমলে যখন নয়া উপনিবেশবাদের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, তখনই বাঙালি মুসলমান নতুন করে চিনল রবীন্দ্রনাথকে। আগের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে জাতিগত পরিচয়ে নিজের সত্তাকে প্রকাশ করল। রবীন্দ্রনাথ সেই চলার পথে করলেন জলসিঞ্চন।
রবীন্দ্রনাথের ‘রথের রশি’র কথাই স্মরণ করতে হচ্ছে আজ। পা বেতালা হয়ে গেলে পথটি হয়ে ওঠে দুর্গম। সে কথা তিনি ‘রথের রশি’তে বলেছেন। রথ যখন পুরোনোদের হাতে চলে না, তখন নতুনরা আসে, তাদের টানে তর তর করে চলে রথ। তারপর একসময় তারাও পুরোনো হয়ে যায়। আসে নতুন মানুষ। নতুনভাবে চলে রথ। পৃথিবী এই ধারাবাহিকতার বাইরে যেতে পারেনি। আবার নতুন কিছু দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকে নতুন মানুষ।
গান দিয়ে, কবিতা দিয়ে, ছোট গল্প দিয়ে, উপন্যাস দিয়ে, সমাজভাবনা দিয়ে যেভাবে বাঙালিকে একটা সুন্দর ভবিষ্যতের তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা তাঁর নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড়। সেই বড়ত্বের কাছে গিয়েই বলতে হয়, ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা...’
রবীন্দ্রজয়ন্তী ঘিরে যত আয়োজন
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরুর ১৬৫তম জন্মদিন। কবির জন্মদিনকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবার জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে উদ্যাপন করা হবে জয়ন্তী উৎসব। এ উপলক্ষে কুঠিবাড়িতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান। সঙ্গে থাকছে গ্রামীণ মেলার আয়োজন। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ আয়োজন শুরু হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ও আগামীকাল শুক্রবার রবীন্দ্র-উৎসব আয়োজন করছে ছায়ানট। ছায়ানট মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবে।
বাংলা একাডেমি সেমিনার ও রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে জয়ন্তী উদ্যাপন করবে। একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মিলনায়তনে আজ সেমিনার শুরু হবে বিকেল ৫টায়। একই আয়োজনে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বছর রবীন্দ্র পুরস্কার পাচ্ছেন রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজ্জামান চৌধুরী ময়না।
অনলাইনভিত্তিক শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিবিষয়ক লেখালেখির স্থান লেখালেখির উঠান আয়োজন করেছে মার্ক্স-রবীন্দ্রজয়ন্তীতে গান-গল্প-বই আড্ডা। ধানমন্ডির এনস কিচেনে এটি চলবে ৮, ৯ ও ১০ মে। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর নিবেদন। শিল্পী লায়েকা বশীরের কণ্ঠে তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা। তবলায় সংগত করবেন ভুলু ধর রাজেশ। দ্বিতীয় দিনে থাকছে জাভেদ হুসেনের আলাপন। সমাপনী দিনে থাকছে জাভেদ হুসেন অনূদিত নাটক মার্ক্স ইন সোহোর নির্বাচিত অংশের পাঠাভিনয়। সমাপনী পর্বে থাকছে দুই প্রজন্মের শিল্পীদের পরিবেশনায় সারেঙ্গি বাদন। সারেঙ্গিশিল্পী মতিয়ার রহমান ও তাঁর দুই সন্তান মাহিমা মেহজাবিন এবং ইউসুফ আহমেদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন শিল্পী জাকির হোসেন।
নাটকের দল স্বপ্নদল মঞ্চস্থ করবে নাটক ‘হেলেন কেলার’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকটি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, বিপ্লবী—এই পথপরিক্রমায় যাঁর কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (১১ জুলাই)।
৬ দিন আগেপৃথিবীর বিস্ময় ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবনে হননি কী! তিনবারের স্বামী, পাঁচবার বাবা, কয়েকবার বিলিয়নিয়ার, দুবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও হাজারো টুইটের কবি। কিন্তু এত প্রাপ্তির মাঝেও রয়ে গেছে এক শূন্যতা। তাঁর ঝুলিতে এখনো নেই নোবেল শান্তি পুরস্কার। ‘হিংসুটে’ নোবেল কমিটির কারণেই তাঁর জীবনে আজও এই অপ্রাপ্তি।
৭ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের নক্ষত্র, নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩৫টি হাতে লেখা চিঠি ও ১৪টি খাম আগামী সপ্তাহে নিলামে উঠছে। এর আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫-৭ কোটি রুপি। মূল্য ও ব্যাপ্তির দিক থেকে কবির সৃষ্টিকর্মের সবচেয়ে বড় নিলাম হতে চলেছে এটি। এই ঐতিহাসিক নিলামটি ২৬-২৭ জুন অনলাইনে আয়োজন করবে মুম্বাইভিত্তিক
২৪ দিন আগেসামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকর্মকে ‘বুর্জোয়া’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয় চীনে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শেকসপিয়ারের সব সাহিত্যকর্ম—যেমন হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, ওথেলো ইত্যাদি—চীনে নিষিদ্ধ হয়, কারণ সেগুলোতে চীনা কমিউনিস্ট আদর্শের ‘সঠিক রাজনৈতিক
২৫ মে ২০২৫