নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কাচের আচ্ছাদনের ভেতর অনেক পুরোনো একটা ডায়েরি। তার একটি পাতা মেলে ধরা। পাতাটিতে লেখা রয়েছে এস এম সুলতানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, নাম-ঠিকানা। সে পাতারই নিচের দিকে লেখা—‘আপনি কেন ছবি আঁকেন? বিশ্ব প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলে’। নিচে শিল্পীর নাম লেখা। তারিখ ২১ অক্টোবর, ১৯৭৮। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে শুরু হওয়া এক প্রদর্শনীর অন্যতম দর্শনীয় বস্তু এই ডায়েরিটি। এ রকম কয়েকটি জিনিস ছাড়াও শতাধিক আলোকচিত্র ঠাঁই পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
পোর্ট্রেট ছবির জন্য খ্যাতি পাওয়া আলোকচিত্রীশিল্পী নাসির আলী মামুনের তোলা ছবি ও অন্য কিছু সামগ্রী নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘শতবর্ষে সুলতান’ শীর্ষক এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের (১৯২৪-১৯৯৪) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের সহযোগিতায় এর আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সুলতানের বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সর্বদা তাঁর শিল্পকর্মে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মঠ দিকটি ফুটিয়ে তুলতেন। সাধারণ মানুষ যারা খেটে যায় তাদের চিত্রকে সেভাবে ফুটিয়ে তুলতেন। নারীকেও তিনি পেশিবহুল করে আঁকতেন। পেশি যে একটা শক্তি সেটাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতেন।’
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে এস এম সুলতানের নানা দিক তুলে ধরেন। প্রদর্শনী নিয়ে তিনি বলেন, ‘নাসির আলী মামুনের সুলতানকে নিয়ে প্রদর্শনী দেশের শিল্পী সমাজ ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ কাজ হয়ে থাকবে। আমাদের দুঃখ লাগে, যখন সুলতানের মতো শিল্পীর শতবর্ষ উদ্যাপনের উদ্যোগ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নেয় না, শিল্পকলা একাডেমি কিছু করে না।’
অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রী শিল্পী নাসির আলী মামুন আক্ষেপ করে বলেন, তিনি যখন থাকবেন না, তখন এসব ছবি ও সামগ্রী সংরক্ষণের কী হবে তা তিনি জানেন না। তিনি সরকারের কাছে এসব সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর করার আহ্বান জানান। আরও বক্তব্য দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনশালায় এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রোববার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
কাচের আচ্ছাদনের ভেতর অনেক পুরোনো একটা ডায়েরি। তার একটি পাতা মেলে ধরা। পাতাটিতে লেখা রয়েছে এস এম সুলতানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, নাম-ঠিকানা। সে পাতারই নিচের দিকে লেখা—‘আপনি কেন ছবি আঁকেন? বিশ্ব প্রকৃতিকে ভালোবাসি বলে’। নিচে শিল্পীর নাম লেখা। তারিখ ২১ অক্টোবর, ১৯৭৮। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে শুরু হওয়া এক প্রদর্শনীর অন্যতম দর্শনীয় বস্তু এই ডায়েরিটি। এ রকম কয়েকটি জিনিস ছাড়াও শতাধিক আলোকচিত্র ঠাঁই পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
পোর্ট্রেট ছবির জন্য খ্যাতি পাওয়া আলোকচিত্রীশিল্পী নাসির আলী মামুনের তোলা ছবি ও অন্য কিছু সামগ্রী নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘শতবর্ষে সুলতান’ শীর্ষক এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের (১৯২৪-১৯৯৪) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের সহযোগিতায় এর আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সুলতানের বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সর্বদা তাঁর শিল্পকর্মে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মঠ দিকটি ফুটিয়ে তুলতেন। সাধারণ মানুষ যারা খেটে যায় তাদের চিত্রকে সেভাবে ফুটিয়ে তুলতেন। নারীকেও তিনি পেশিবহুল করে আঁকতেন। পেশি যে একটা শক্তি সেটাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতেন।’
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে এস এম সুলতানের নানা দিক তুলে ধরেন। প্রদর্শনী নিয়ে তিনি বলেন, ‘নাসির আলী মামুনের সুলতানকে নিয়ে প্রদর্শনী দেশের শিল্পী সমাজ ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ কাজ হয়ে থাকবে। আমাদের দুঃখ লাগে, যখন সুলতানের মতো শিল্পীর শতবর্ষ উদ্যাপনের উদ্যোগ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নেয় না, শিল্পকলা একাডেমি কিছু করে না।’
অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রী শিল্পী নাসির আলী মামুন আক্ষেপ করে বলেন, তিনি যখন থাকবেন না, তখন এসব ছবি ও সামগ্রী সংরক্ষণের কী হবে তা তিনি জানেন না। তিনি সরকারের কাছে এসব সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর করার আহ্বান জানান। আরও বক্তব্য দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনশালায় এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রোববার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
চোখ মেলে দেখি সাদা পরী আকাশি রঙের খাম হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে বিস্তীর্ণ জলরাশি। সমুদ্র পাড়ের বেঞ্চে শরীর এলিয়ে শুয়ে আছি। হাতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর “সাঁতারু ও জলকন্যা”। সমুদ্রের ঢেউ এর আছড়ে পড়ার শব্দ আর ঝিরি ঝিরি বাতাসে খুব বেশিক্ষণ বইটার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনি।
৭ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে গুলশানে নির্মিত ‘কবি আল মাহমুদ পাঠাগার’ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঠাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
১৩ দিন আগেএকজন শিল্পী সারা জীবন কেবল পালিয়েই বেড়ালেন। খ্যাতি, যশ, অর্থ এমনকি সংসারজীবন থেকে পালিয়ে হয়ে উঠলেন বোহিমিয়ান। শিল্প সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন শিল্পী এস এম সুলতান। বেঁচে থাকলে তিনি হতেন শতবর্ষী।
১০ আগস্ট ২০২৫রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নামগুলোর একটি হলেও কেন বাঙালি মুসলমানদের একটি বৃহৎ অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য? কেন দেড় শ বছর আগের এক কবির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের রয়ে গেছে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক? এই দ্বন্দ্বের শুরুটা কোথায়?
০৬ আগস্ট ২০২৫