১৮৯৭ সালের আজকের দিনে, অর্থাৎ ২৬ মে প্রকাশিত হয় ব্রাম স্টোকারের কালজয়ী পিশাচকাহিনি ‘ড্রাকুলা’। প্রকাশের পর ১২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি আগের পাঠকদের মতোই আকৃষ্ট করে চলেছে নয়া জমানার পাঠকদের। আনন্দের সঙ্গেই কাউন্ট ড্রাকুলার ভয়ের জগতে প্রবেশ করেন এখনকার পাঠক। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে ড্রাকুলা ও ব্রাম স্টোকার নিয়ে থাকছে ১০ তথ্য।
১. ভিক্টোরিয়ান যুগের আরও অনেক উপন্যাসের মতো সম্ভবত কোনো দুঃস্বপ্নই ‘ড্রাকুলা’ লেখার চিন্তাভাবনা মাথায় আনে স্টোকারের। জীবনীকার হ্যারি লুডলামের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ব্রাম স্টোকার বলেছিলেন, এক ভ্যাম্পায়ার সর্দারের কফিন থেকে জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখার পরে এ ধরনের একটি কিছু লিখতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন।
২. ব্রাম স্টোকার ‘ড্রাকুলা’ লেখা শুরু করেন ১৮৯০ সালে, জ্যাক দ্য রিপার লন্ডনে আতঙ্ক ছড়ানোর দুই বছর বাদে। জ্যাক দ্য রিপারের হত্যাকাণ্ডগুলো যে ধরনের একটি ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করে, সেটির প্রভাব পড়ে ‘ড্রাকুলা’ বইয়ে। ১৯০১ সালে ‘ড্রাকুলা’র আইসল্যান্ডিক সংস্করণের মুখবন্ধে বাস্তবের ও কল্পনার দুটি চরিত্রকে যেভাবে উপস্থাপন করেন, তাতে মনে হয় জ্যাক দ্য রিপারের প্রভাব স্পষ্ট ড্রাকুলার কল্পনার ভীতিকর রাজ্য তৈরিতে।
৩. প্রায় ৩০ বছর ব্রাম স্টোকারের বস ছিলেন অভিনেতা এবং লন্ডনের লিসেয়াম থিয়েটারের মালিক হেনরি আরভিং। স্টোকার ছিলেন আরভিনের বিজনেস ম্যানেজার, সেক্রেটারি ও প্রেস এজেন্ট। বসের সঙ্গে স্টোকারের এই দীর্ঘ সময়ে সম্পর্কের নানা টানাপোড়েনও হয়। অনেক সমালোচকের ধারণা, স্টোকার ড্রাকুলার চেহারা তৈরিতে আরভিনে অনুপ্রাণিত হন। তবে এটা হোক না হোক, আরভিন ড্রাকুলা মোটেই পছন্দ করেননি। উপন্যাসের একটি দৃশ্যায়ন দেখে স্টোকার একটি শব্দই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ভয়ংকর’।
৪. তবে বেশির ভাগের ধারণা, ড্রাকুলা চরিত্রটি ব্রাম স্টোকার তৈরি করেন ওয়ালেচিয়ার (বর্তমানে রোমানিয়ার অংশ) শাসক ভ্লাদ ড্রাকুলায় অনুপ্রাণিত হয়ে। ভ্লাদ দ্য ইম্পেরর নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি। কথিত আছে, তাঁর শত্রুদের প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন ভ্লাদ দ্য ইম্পেরর।
৫. এবারের তথ্যটি বেশ মজার। বইটি ট্রান্সসিলভানিয়ার পটভূমিতে রচনা করলেও স্টোকার কখনো জায়গাটিতে যাননি। এর বদলে যতটা সম্ভব পড়ালেখা করে জায়গাটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বাদবাকিটা তাঁর কল্পনা।
৬. অনেক সমালোচকের ধারণা, ট্রানসিলভানিয়ায় ড্রাকুলার প্রাসাদ দুর্গটিকে স্টোকার উপস্থাপন করছেন স্কটল্যান্ডের একটা প্রাসাদে অনুপ্রাণিত হয়ে। স্লেইনস ক্যাসল নামের প্রাসাদটির কাছের ক্রাডেন বেতে অনেকগুলো গ্রীষ্ম কাটিয়েছিলেন স্টোকার। আশপাশের এলাকা ও একটি পাহাড়ে ওই প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ভালোই পরিচিত ছিলেন তিনি।
৭. প্রথম প্রকাশের পর ড্রাকুলা কিন্তু সেই অর্থে খুব জনপ্রিয়তা পায়নি। একই বছর প্রকাশ পাওয়া রিচার্ড মার্শের হরর বই দ্য বিটল বরং মার্কেটে এর চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল। ড্রাকুলা চরিত্রটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে একে নিয়ে তৈরি করা ছবিগুলোরও বড় ভূমিকা আছে। বিশ শতকেই একে নিয়ে অনেকগুলো ছবি তৈরি হয়, অন্য যেকোনো হরর চরিত্র থেকে ড্রাকুলাকে নিয়ে বেশি ছবি তৈরি হয়েছে। কমেডি আর কার্টুন বাদ দিলেও একে নিয়ে দুই শতাধিক ছবি তৈরি করা হয়েছে।
৮. ড্রাকুলার মূল বইটি ছিল ইংরেজি। তবে জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে আরও নানা ভাষায় অনূদিত হতে থাকে উপন্যাসটি। বইটি প্রকাশের পরের বছরই, অর্থাৎ ১৮৯৮ সালে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯০১ সালে ড্রাকুলার যে আইসল্যান্ডিক সংস্করণটি বের হয়, তাতে মূল কাহিনি থেকে অনেক কিছুই বদলে ফেলা হয়। এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
৯. ‘ড্রাকুলার’ প্রথম দিককার খসড়ায় এর নাম ছিল ‘কাউন্ট ওয়ামপির’। বইটির নামও প্রথম ঠিক করা হয়েছিল, ‘দ্য ডেড আনডেড’।
১০. মজার ঘটনা, পিশাচ কাহিনির প্রথম মঞ্চায়ন উপন্যাসটি প্রকাশের বেশ আগে। ১৮৯৭ সালের ২৬ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ড্রাকুলা’। তবে এর আট দিন আগে ১৮ মে স্টোকার উপন্যাসটির মঞ্চায়ন করেন। এটা করেন উপন্যাসটির প্রচারের পাশাপাশি নিজের সৃষ্টির স্বত্ব নিয়ে যেন জটিলতায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতে।
সূত্র: মেন্টাল ফ্লস, ইন্টারেস্টিং লিটারেচার ডট কম, জন বেঞ্জামিন পাবলিশিং কোম্পানি
১৮৯৭ সালের আজকের দিনে, অর্থাৎ ২৬ মে প্রকাশিত হয় ব্রাম স্টোকারের কালজয়ী পিশাচকাহিনি ‘ড্রাকুলা’। প্রকাশের পর ১২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি আগের পাঠকদের মতোই আকৃষ্ট করে চলেছে নয়া জমানার পাঠকদের। আনন্দের সঙ্গেই কাউন্ট ড্রাকুলার ভয়ের জগতে প্রবেশ করেন এখনকার পাঠক। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে ড্রাকুলা ও ব্রাম স্টোকার নিয়ে থাকছে ১০ তথ্য।
১. ভিক্টোরিয়ান যুগের আরও অনেক উপন্যাসের মতো সম্ভবত কোনো দুঃস্বপ্নই ‘ড্রাকুলা’ লেখার চিন্তাভাবনা মাথায় আনে স্টোকারের। জীবনীকার হ্যারি লুডলামের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ব্রাম স্টোকার বলেছিলেন, এক ভ্যাম্পায়ার সর্দারের কফিন থেকে জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখার পরে এ ধরনের একটি কিছু লিখতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন।
২. ব্রাম স্টোকার ‘ড্রাকুলা’ লেখা শুরু করেন ১৮৯০ সালে, জ্যাক দ্য রিপার লন্ডনে আতঙ্ক ছড়ানোর দুই বছর বাদে। জ্যাক দ্য রিপারের হত্যাকাণ্ডগুলো যে ধরনের একটি ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করে, সেটির প্রভাব পড়ে ‘ড্রাকুলা’ বইয়ে। ১৯০১ সালে ‘ড্রাকুলা’র আইসল্যান্ডিক সংস্করণের মুখবন্ধে বাস্তবের ও কল্পনার দুটি চরিত্রকে যেভাবে উপস্থাপন করেন, তাতে মনে হয় জ্যাক দ্য রিপারের প্রভাব স্পষ্ট ড্রাকুলার কল্পনার ভীতিকর রাজ্য তৈরিতে।
৩. প্রায় ৩০ বছর ব্রাম স্টোকারের বস ছিলেন অভিনেতা এবং লন্ডনের লিসেয়াম থিয়েটারের মালিক হেনরি আরভিং। স্টোকার ছিলেন আরভিনের বিজনেস ম্যানেজার, সেক্রেটারি ও প্রেস এজেন্ট। বসের সঙ্গে স্টোকারের এই দীর্ঘ সময়ে সম্পর্কের নানা টানাপোড়েনও হয়। অনেক সমালোচকের ধারণা, স্টোকার ড্রাকুলার চেহারা তৈরিতে আরভিনে অনুপ্রাণিত হন। তবে এটা হোক না হোক, আরভিন ড্রাকুলা মোটেই পছন্দ করেননি। উপন্যাসের একটি দৃশ্যায়ন দেখে স্টোকার একটি শব্দই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ভয়ংকর’।
৪. তবে বেশির ভাগের ধারণা, ড্রাকুলা চরিত্রটি ব্রাম স্টোকার তৈরি করেন ওয়ালেচিয়ার (বর্তমানে রোমানিয়ার অংশ) শাসক ভ্লাদ ড্রাকুলায় অনুপ্রাণিত হয়ে। ভ্লাদ দ্য ইম্পেরর নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি। কথিত আছে, তাঁর শত্রুদের প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন ভ্লাদ দ্য ইম্পেরর।
৫. এবারের তথ্যটি বেশ মজার। বইটি ট্রান্সসিলভানিয়ার পটভূমিতে রচনা করলেও স্টোকার কখনো জায়গাটিতে যাননি। এর বদলে যতটা সম্ভব পড়ালেখা করে জায়গাটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বাদবাকিটা তাঁর কল্পনা।
৬. অনেক সমালোচকের ধারণা, ট্রানসিলভানিয়ায় ড্রাকুলার প্রাসাদ দুর্গটিকে স্টোকার উপস্থাপন করছেন স্কটল্যান্ডের একটা প্রাসাদে অনুপ্রাণিত হয়ে। স্লেইনস ক্যাসল নামের প্রাসাদটির কাছের ক্রাডেন বেতে অনেকগুলো গ্রীষ্ম কাটিয়েছিলেন স্টোকার। আশপাশের এলাকা ও একটি পাহাড়ে ওই প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ভালোই পরিচিত ছিলেন তিনি।
৭. প্রথম প্রকাশের পর ড্রাকুলা কিন্তু সেই অর্থে খুব জনপ্রিয়তা পায়নি। একই বছর প্রকাশ পাওয়া রিচার্ড মার্শের হরর বই দ্য বিটল বরং মার্কেটে এর চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল। ড্রাকুলা চরিত্রটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে একে নিয়ে তৈরি করা ছবিগুলোরও বড় ভূমিকা আছে। বিশ শতকেই একে নিয়ে অনেকগুলো ছবি তৈরি হয়, অন্য যেকোনো হরর চরিত্র থেকে ড্রাকুলাকে নিয়ে বেশি ছবি তৈরি হয়েছে। কমেডি আর কার্টুন বাদ দিলেও একে নিয়ে দুই শতাধিক ছবি তৈরি করা হয়েছে।
৮. ড্রাকুলার মূল বইটি ছিল ইংরেজি। তবে জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে আরও নানা ভাষায় অনূদিত হতে থাকে উপন্যাসটি। বইটি প্রকাশের পরের বছরই, অর্থাৎ ১৮৯৮ সালে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯০১ সালে ড্রাকুলার যে আইসল্যান্ডিক সংস্করণটি বের হয়, তাতে মূল কাহিনি থেকে অনেক কিছুই বদলে ফেলা হয়। এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
৯. ‘ড্রাকুলার’ প্রথম দিককার খসড়ায় এর নাম ছিল ‘কাউন্ট ওয়ামপির’। বইটির নামও প্রথম ঠিক করা হয়েছিল, ‘দ্য ডেড আনডেড’।
১০. মজার ঘটনা, পিশাচ কাহিনির প্রথম মঞ্চায়ন উপন্যাসটি প্রকাশের বেশ আগে। ১৮৯৭ সালের ২৬ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ড্রাকুলা’। তবে এর আট দিন আগে ১৮ মে স্টোকার উপন্যাসটির মঞ্চায়ন করেন। এটা করেন উপন্যাসটির প্রচারের পাশাপাশি নিজের সৃষ্টির স্বত্ব নিয়ে যেন জটিলতায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতে।
সূত্র: মেন্টাল ফ্লস, ইন্টারেস্টিং লিটারেচার ডট কম, জন বেঞ্জামিন পাবলিশিং কোম্পানি
আজ কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিন। ১৩ বছর আগে ২০১২ সালের আজকের দিনে তিনি মারা গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের সময়ের কথাকার, তিনি হয়ে উঠেছেন সময়েরও ওপারে এক জীবন্ত চরিত্র।
৩ দিন আগেবায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, বিপ্লবী—এই পথপরিক্রমায় যাঁর কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১১ দিন আগেপৃথিবীর বিস্ময় ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবনে হননি কী! তিনবারের স্বামী, পাঁচবার বাবা, কয়েকবার বিলিয়নিয়ার, দুবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও হাজারো টুইটের কবি। কিন্তু এত প্রাপ্তির মাঝেও রয়ে গেছে এক শূন্যতা। তাঁর ঝুলিতে এখনো নেই নোবেল শান্তি পুরস্কার। ‘হিংসুটে’ নোবেল কমিটির কারণেই তাঁর জীবনে আজও এই অপ্রাপ্তি।
১২ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের নক্ষত্র, নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩৫টি হাতে লেখা চিঠি ও ১৪টি খাম আগামী সপ্তাহে নিলামে উঠছে। এর আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫-৭ কোটি রুপি। মূল্য ও ব্যাপ্তির দিক থেকে কবির সৃষ্টিকর্মের সবচেয়ে বড় নিলাম হতে চলেছে এটি। এই ঐতিহাসিক নিলামটি ২৬-২৭ জুন অনলাইনে আয়োজন করবে মুম্বাইভিত্তিক
২৩ জুন ২০২৫