অনলাইন ডেস্ক
বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শাসন—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে আবার ফিরে এসেছে এই প্রক্রিয়া। আগের দিন কানাডা-মেক্সিকোর ওপর কঠোর শুল্ক চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুললেন ট্রাম্প। পরদিনই স্বীকার করলেন, এই শুল্ক আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে। পরে, সেই শঙ্কা থেকে অটোমোবাইল শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করলেন। অথচ, বিশ্লেষকেরা এই ভবিষ্যদ্বাণী অনেক আগেই করেছিলেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওভাল অফিসে যান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে, যাকে আমেরিকার জন্য ‘বড় জয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের এই ভাঙা সম্পর্ক মেরামতে প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা।
এদিকে, ট্রাম্পের নিয়োগ করা ইলন মাস্ক তাঁর অদৃশ্য করাত দিয়ে মার্কিন আমলাতন্ত্রকে কেটেই চলেছেন। নির্বিচারে কর্মচারী ছাঁটাই তো করছেনই, পাশাপাশি ধ্বংস করছেন সরকারি সংস্থাগুলোকে। ফলে সরকারি অর্থের ওপর নির্ভরশীল নাগরিক ও শিল্পগুলো ব্যাপক অনিশ্চয়তায় ভুগছে। বিশেষ করে, অর্থনীতি যখন অস্থিতিশীল, তখন এমন ধাক্কা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রথম দিকে, ট্রাম্পের একাধিক শক্তিশালী পদক্ষেপ জো বাইডেনের শেষ মাসগুলোর নিষ্ক্রিয়তা দূর করে প্রশাসনে নতুন গতির সঞ্চার করেছিল। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পর, যখন ট্রাম্প স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা, বৈশ্বিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং ফেডারেল ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন বোঝা যাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এ ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনাই নেই ট্রাম্পের। অথচ, একসময় এই ব্যবস্থাগুলোই আমেরিকাকে সুপারপাওয়ার বানিয়েছিল।
ট্রাম্পের ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ১৯ শতাব্দীর শুল্কনীতি দিয়ে পুরোনো শিল্প পুনরুজ্জীবিত করা এবং সরকার কাটছাঁটের প্রচেষ্টা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের মতোই উদ্ভট ও অপরিকল্পিত। এই অবস্থায় বিশ্ব আবারও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি প্রচার করা প্রেসিডেন্টের খেয়ালখুশির কারণে অস্থির হয়ে পড়ছে।
আমেরিকার বাণিজ্যনীতিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। গতকাল বুধবার তিনি বলেছেন, মাসের ৩০ দিনই যুক্তরাষ্ট্রের এসব নাটক সহ্য করতে পারবে না তাঁর দেশ। জোলি আরও বলেন, ‘হোয়াইট হাউস থেকে এখন অনেক অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা বেরিয়ে আসছে।’
ট্রাম্প আসলে কী করতে চান, তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাই বুঝে উঠতে পারে না। যেমন—গতকাল বুধবার ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, কানাডা ফেন্টানিল পাচার বন্ধ করতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। অথচ, পরিসংখ্যান বলে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে এই ড্রাগের পরিমাণ খুবই নগণ্য। আবার প্রায়ই হোয়াইট হাউসকে অভিযোগ করতে দেখা যায়, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবাধে অবৈধ অভিবাসীর ঢল নামে। বাস্তবে এই সংখ্যাও কম। ট্রাম্প চান, কানাডার ভারী শিল্প উৎপাদন কানাডা ছেড়ে তাঁর দেশে চলে আসুক। বিপরীতে অটোয়ায় কর্মকর্তারা মনে করেন, তিনি কানাডাকে দুর্বল করে দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে হুমকি-ধমকির বৈদেশিক নীতির মাধ্যমে ট্রাম্প কিছু সাফল্য দেখাতেও পারেন। উদাহরণস্বরূপ, হংকংভিত্তিক একটি চীনা কোম্পানি এত দিন পানামা খালের দুই প্রান্তের দুটি বন্দরের মালিকানায় ছিল। এ নিয়ে তাঁর ক্রোধের সীমা ছিল না। তাঁর ক্রোধের কারণে আমেরিকার বিনিয়োগ কোম্পানি ব্ল্যাকরকের কাছে সেগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে চীনা কোম্পানিটি। এই লাইনে ট্রাম্প ভুলভাবে দাবি করেছিলেন যে, এ দুই বন্দর নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ, চীন এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মালিকানা পরিবর্তন আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান উন্নত করতে পারে।
আবার, ট্রাম্প ৮০ বছরের পুরোনো সামরিক জোট ন্যাটোকে দুর্বল করছেন। কিন্তু তাঁর এই উদ্যোগ ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব পুনর্সজ্জা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। অথচ, অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুগের পর যুগ ধরে চেয়েও এটি পারেননি। তবে প্রায়শই মনে হয়, ট্রাম্প দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে ব্যক্তিগত শক্তি প্রয়োগে বেশি আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাণিজ্য দূত মাইকেল ফ্রোমান বলেন, শুল্ক আরোপের খরচ প্রায়শই প্রাপ্ত সুবিধাকে ছাড়িয়ে যায়, তবে এটি অন্য দেশগুলোকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার একটি হাতিয়ার হতে পারে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে এটি সত্য, যার সঙ্গে আমেরিকার কানাডার চেয়ে অনেক বিস্তৃত সীমান্ত সমস্যা আছে। ফ্রোমান যোগ করেন, ‘আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি তাদের কী করতে চান, তাহলেই এই লিভারেজ কার্যকর হবে।’
ট্রাম্পের নীতিতে বিশৃঙ্খলাই মূল বিষয় এবং ‘স্টান্ট রাজনীতিতে’ আসক্ত এই প্রেসিডেন্টের নাটকীয়তা তাঁর রাজনৈতিক আবেদনের মূল চাবিকাঠি। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’—ক্যাম্পেইনের সমর্থক, ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণমাধ্যম ও বিদেশি সরকারগুলোকে খেপিয়ে তোলাই ট্রাম্পের প্রতিভা। জনতুষ্টিবাদী জাতীয়তাবাদী ডানপন্থীদের জন্য ওয়াশিংটনে অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং শাসনব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ধ্বংস করা প্রশাসনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত একটি রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলার উপায়।
ট্রাম্পের এই পদ্ধতি প্রস্তুত করা হয়েছে, ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর ক্যারিয়ারে শিখেছিলেন, কীভাবে উদ্ভট দাবি, কথার দ্বন্দ্ব এবং হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে অস্থির করে তোলা যায়। সরকারে এসেও প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে তিনি একই কাজ করছেন।
অনিশ্চয়তা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সাধারণ বিষয় হলেও দেশ, দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং ধারাবাহিকতা ও অনুমান যোগ্যতাই এ ক্ষেত্রে পছন্দনীয়। ট্রাম্পের এই কৌশলকে ‘ক্লান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা জুলিয়ান ভিকান কারাগুয়েসিয়ান। তিনি ট্রাম্পের বিধ্বংসী শুল্ক আক্রমণকে ‘প্রায় অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কার্য পরিচালনার পদ্ধতি সম্ভবত অনিশ্চয়তা। এটি শুল্ক নয়, বা অন্য কিছু নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার অনুভূতি তৈরি করা।’
গতকাল বুধবার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের একদিন পর অটোমোবাইল শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। এই বিষয়টি মূলত এই ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি কখনো কখনো তাঁর নিজের আক্রমণাত্মক নীতি নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন। তবে খুব সম্ভবত শেয়ার বাজার তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তাঁর শুল্ক স্থগিতের পর ডাউ জোনস শেয়ার বাজার ব্যাপক অবনমনের পর প্রায় ৫০০ পয়েন্ট উঠে এসেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ‘বিগ থ্রি’ বলে পরিচিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওদের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, তিনি ‘অতিরিক্ত ছাড়ের বিষয়ে শুনতে উন্মুখ।’
ট্রাম্পের পদ্ধতির অর্থ হতে পারে যে, তিনি শুল্ক আরোপের চেয়ে হুমকি দিতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু ক্রমাগত শুল্কের হুমকি দিয়ে এবং সেগুলো বজায় থাকবে কি না বা কখন হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছেন। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের খরচ ও সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা না হলে ভোক্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রর অস্থিতিশীল অর্থনীতিও আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাইডেনের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর ভারত রামামূর্তি বলেছেন, ‘প্রশাসন কী করছে তা নিয়ে এত অনিশ্চয়তা রয়েছে যে, শুল্কের সম্ভাবনা অর্থনীতির ওপর একটি বড় বোঝা তৈরি করছে। আমাদের মিত্রদের ওপর উল্লেখযোগ্য শুল্কের সম্ভাবনা বিনিয়োগ স্থগিত এবং আগেভাগেই মূল্যস্ফীতি ঘটিয়েছে, যা ছোট ব্যবসা এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।’
আমেরিকার বন্ধুদের ট্রাম্পের নিরন্তর বুলিং এবং একই সময়ে ইউক্রেনে তাঁর ঐতিহ্যবাহী প্রতিপক্ষ রাশিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবকিছু করা—দীর্ঘ মেয়াদে আমেরিকার শক্তি ক্ষয় করতে পারে। ব্রেকআউট ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রুচিরা শর্মা বলেন, ‘এ সপ্তাহে আমরা দেখেছি যে, ডলারের দামের পতন হচ্ছে খুব তীব্রভাবে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্বের বাকি অংশ তাদের কাজ একত্র করছে...এবং আমি মনে করি বিনিয়োগকারীরা লক্ষ্য করছেন যে আমেরিকার এই অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগের জন্য অন্য দেশগুলোই উপযুক্ত।’
সুতরাং, আমেরিকার জন্য বিপদ হলো—ট্রাম্পের আরও চার বছরের কর্মকাণ্ড বিশ্বকে পুনর্গঠিত করতে পারে। কিন্তু এটি তাঁর আমেরিকান আধিপত্যের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, মেক্সিকো ও কানাডা ভূগোল পরিবর্তন করতে পারবে না এবং এ কারণেই তাদের জন্য শক্তিশালী আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সহজ। কিন্তু ট্রাম্পের কারণে উভয়ই আমেরিকার উদীয়মান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সুবিধা খতিয়ে দেখতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই পথে যেতে পারে।
আমেরিকার পশ্চিমা মিত্ররা ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এত বেশি বিনিয়োগ করেছে যে, তারা ব্যর্থ হতে চায় না। কিন্তু তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থও রয়েছে। কানাডা তার শক্তিশালী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ জিততে পারবে না। কিন্তু ট্রাম্পের মাস্তানি ও খোঁচা মারা কথার ওপর তাদের ধৈর্য কম।
কানাডার বৃহত্তম প্রাদেশিক অর্থনৈতিক অঞ্চল অন্টারিওর প্রধান ডগ ফোর্ড বলেছেন, এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ট্রাম্পের শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা, অটোমোবাইলের মতো শিল্পে শুল্ক শিথিল করা নয়। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের আবার অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। আজ যে ব্যক্তি এই সমস্যা সৃষ্টি করছেন—তিনি আর কেউ নন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’
সিএনএন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শাসন—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে আবার ফিরে এসেছে এই প্রক্রিয়া। আগের দিন কানাডা-মেক্সিকোর ওপর কঠোর শুল্ক চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুললেন ট্রাম্প। পরদিনই স্বীকার করলেন, এই শুল্ক আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে। পরে, সেই শঙ্কা থেকে অটোমোবাইল শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করলেন। অথচ, বিশ্লেষকেরা এই ভবিষ্যদ্বাণী অনেক আগেই করেছিলেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওভাল অফিসে যান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে, যাকে আমেরিকার জন্য ‘বড় জয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের এই ভাঙা সম্পর্ক মেরামতে প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা।
এদিকে, ট্রাম্পের নিয়োগ করা ইলন মাস্ক তাঁর অদৃশ্য করাত দিয়ে মার্কিন আমলাতন্ত্রকে কেটেই চলেছেন। নির্বিচারে কর্মচারী ছাঁটাই তো করছেনই, পাশাপাশি ধ্বংস করছেন সরকারি সংস্থাগুলোকে। ফলে সরকারি অর্থের ওপর নির্ভরশীল নাগরিক ও শিল্পগুলো ব্যাপক অনিশ্চয়তায় ভুগছে। বিশেষ করে, অর্থনীতি যখন অস্থিতিশীল, তখন এমন ধাক্কা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রথম দিকে, ট্রাম্পের একাধিক শক্তিশালী পদক্ষেপ জো বাইডেনের শেষ মাসগুলোর নিষ্ক্রিয়তা দূর করে প্রশাসনে নতুন গতির সঞ্চার করেছিল। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পর, যখন ট্রাম্প স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা, বৈশ্বিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং ফেডারেল ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন বোঝা যাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এ ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনাই নেই ট্রাম্পের। অথচ, একসময় এই ব্যবস্থাগুলোই আমেরিকাকে সুপারপাওয়ার বানিয়েছিল।
ট্রাম্পের ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ১৯ শতাব্দীর শুল্কনীতি দিয়ে পুরোনো শিল্প পুনরুজ্জীবিত করা এবং সরকার কাটছাঁটের প্রচেষ্টা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের মতোই উদ্ভট ও অপরিকল্পিত। এই অবস্থায় বিশ্ব আবারও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি প্রচার করা প্রেসিডেন্টের খেয়ালখুশির কারণে অস্থির হয়ে পড়ছে।
আমেরিকার বাণিজ্যনীতিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। গতকাল বুধবার তিনি বলেছেন, মাসের ৩০ দিনই যুক্তরাষ্ট্রের এসব নাটক সহ্য করতে পারবে না তাঁর দেশ। জোলি আরও বলেন, ‘হোয়াইট হাউস থেকে এখন অনেক অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা বেরিয়ে আসছে।’
ট্রাম্প আসলে কী করতে চান, তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাই বুঝে উঠতে পারে না। যেমন—গতকাল বুধবার ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, কানাডা ফেন্টানিল পাচার বন্ধ করতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। অথচ, পরিসংখ্যান বলে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে এই ড্রাগের পরিমাণ খুবই নগণ্য। আবার প্রায়ই হোয়াইট হাউসকে অভিযোগ করতে দেখা যায়, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবাধে অবৈধ অভিবাসীর ঢল নামে। বাস্তবে এই সংখ্যাও কম। ট্রাম্প চান, কানাডার ভারী শিল্প উৎপাদন কানাডা ছেড়ে তাঁর দেশে চলে আসুক। বিপরীতে অটোয়ায় কর্মকর্তারা মনে করেন, তিনি কানাডাকে দুর্বল করে দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে হুমকি-ধমকির বৈদেশিক নীতির মাধ্যমে ট্রাম্প কিছু সাফল্য দেখাতেও পারেন। উদাহরণস্বরূপ, হংকংভিত্তিক একটি চীনা কোম্পানি এত দিন পানামা খালের দুই প্রান্তের দুটি বন্দরের মালিকানায় ছিল। এ নিয়ে তাঁর ক্রোধের সীমা ছিল না। তাঁর ক্রোধের কারণে আমেরিকার বিনিয়োগ কোম্পানি ব্ল্যাকরকের কাছে সেগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে চীনা কোম্পানিটি। এই লাইনে ট্রাম্প ভুলভাবে দাবি করেছিলেন যে, এ দুই বন্দর নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ, চীন এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মালিকানা পরিবর্তন আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান উন্নত করতে পারে।
আবার, ট্রাম্প ৮০ বছরের পুরোনো সামরিক জোট ন্যাটোকে দুর্বল করছেন। কিন্তু তাঁর এই উদ্যোগ ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব পুনর্সজ্জা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। অথচ, অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুগের পর যুগ ধরে চেয়েও এটি পারেননি। তবে প্রায়শই মনে হয়, ট্রাম্প দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে ব্যক্তিগত শক্তি প্রয়োগে বেশি আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাণিজ্য দূত মাইকেল ফ্রোমান বলেন, শুল্ক আরোপের খরচ প্রায়শই প্রাপ্ত সুবিধাকে ছাড়িয়ে যায়, তবে এটি অন্য দেশগুলোকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার একটি হাতিয়ার হতে পারে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে এটি সত্য, যার সঙ্গে আমেরিকার কানাডার চেয়ে অনেক বিস্তৃত সীমান্ত সমস্যা আছে। ফ্রোমান যোগ করেন, ‘আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি তাদের কী করতে চান, তাহলেই এই লিভারেজ কার্যকর হবে।’
ট্রাম্পের নীতিতে বিশৃঙ্খলাই মূল বিষয় এবং ‘স্টান্ট রাজনীতিতে’ আসক্ত এই প্রেসিডেন্টের নাটকীয়তা তাঁর রাজনৈতিক আবেদনের মূল চাবিকাঠি। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’—ক্যাম্পেইনের সমর্থক, ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণমাধ্যম ও বিদেশি সরকারগুলোকে খেপিয়ে তোলাই ট্রাম্পের প্রতিভা। জনতুষ্টিবাদী জাতীয়তাবাদী ডানপন্থীদের জন্য ওয়াশিংটনে অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং শাসনব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ধ্বংস করা প্রশাসনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত একটি রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলার উপায়।
ট্রাম্পের এই পদ্ধতি প্রস্তুত করা হয়েছে, ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর ক্যারিয়ারে শিখেছিলেন, কীভাবে উদ্ভট দাবি, কথার দ্বন্দ্ব এবং হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে অস্থির করে তোলা যায়। সরকারে এসেও প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে তিনি একই কাজ করছেন।
অনিশ্চয়তা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সাধারণ বিষয় হলেও দেশ, দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং ধারাবাহিকতা ও অনুমান যোগ্যতাই এ ক্ষেত্রে পছন্দনীয়। ট্রাম্পের এই কৌশলকে ‘ক্লান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা জুলিয়ান ভিকান কারাগুয়েসিয়ান। তিনি ট্রাম্পের বিধ্বংসী শুল্ক আক্রমণকে ‘প্রায় অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কার্য পরিচালনার পদ্ধতি সম্ভবত অনিশ্চয়তা। এটি শুল্ক নয়, বা অন্য কিছু নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার অনুভূতি তৈরি করা।’
গতকাল বুধবার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের একদিন পর অটোমোবাইল শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। এই বিষয়টি মূলত এই ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি কখনো কখনো তাঁর নিজের আক্রমণাত্মক নীতি নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন। তবে খুব সম্ভবত শেয়ার বাজার তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তাঁর শুল্ক স্থগিতের পর ডাউ জোনস শেয়ার বাজার ব্যাপক অবনমনের পর প্রায় ৫০০ পয়েন্ট উঠে এসেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ‘বিগ থ্রি’ বলে পরিচিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওদের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, তিনি ‘অতিরিক্ত ছাড়ের বিষয়ে শুনতে উন্মুখ।’
ট্রাম্পের পদ্ধতির অর্থ হতে পারে যে, তিনি শুল্ক আরোপের চেয়ে হুমকি দিতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু ক্রমাগত শুল্কের হুমকি দিয়ে এবং সেগুলো বজায় থাকবে কি না বা কখন হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছেন। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের খরচ ও সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা না হলে ভোক্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রর অস্থিতিশীল অর্থনীতিও আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাইডেনের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর ভারত রামামূর্তি বলেছেন, ‘প্রশাসন কী করছে তা নিয়ে এত অনিশ্চয়তা রয়েছে যে, শুল্কের সম্ভাবনা অর্থনীতির ওপর একটি বড় বোঝা তৈরি করছে। আমাদের মিত্রদের ওপর উল্লেখযোগ্য শুল্কের সম্ভাবনা বিনিয়োগ স্থগিত এবং আগেভাগেই মূল্যস্ফীতি ঘটিয়েছে, যা ছোট ব্যবসা এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।’
আমেরিকার বন্ধুদের ট্রাম্পের নিরন্তর বুলিং এবং একই সময়ে ইউক্রেনে তাঁর ঐতিহ্যবাহী প্রতিপক্ষ রাশিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবকিছু করা—দীর্ঘ মেয়াদে আমেরিকার শক্তি ক্ষয় করতে পারে। ব্রেকআউট ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রুচিরা শর্মা বলেন, ‘এ সপ্তাহে আমরা দেখেছি যে, ডলারের দামের পতন হচ্ছে খুব তীব্রভাবে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্বের বাকি অংশ তাদের কাজ একত্র করছে...এবং আমি মনে করি বিনিয়োগকারীরা লক্ষ্য করছেন যে আমেরিকার এই অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগের জন্য অন্য দেশগুলোই উপযুক্ত।’
সুতরাং, আমেরিকার জন্য বিপদ হলো—ট্রাম্পের আরও চার বছরের কর্মকাণ্ড বিশ্বকে পুনর্গঠিত করতে পারে। কিন্তু এটি তাঁর আমেরিকান আধিপত্যের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, মেক্সিকো ও কানাডা ভূগোল পরিবর্তন করতে পারবে না এবং এ কারণেই তাদের জন্য শক্তিশালী আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সহজ। কিন্তু ট্রাম্পের কারণে উভয়ই আমেরিকার উদীয়মান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সুবিধা খতিয়ে দেখতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই পথে যেতে পারে।
আমেরিকার পশ্চিমা মিত্ররা ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এত বেশি বিনিয়োগ করেছে যে, তারা ব্যর্থ হতে চায় না। কিন্তু তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থও রয়েছে। কানাডা তার শক্তিশালী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ জিততে পারবে না। কিন্তু ট্রাম্পের মাস্তানি ও খোঁচা মারা কথার ওপর তাদের ধৈর্য কম।
কানাডার বৃহত্তম প্রাদেশিক অর্থনৈতিক অঞ্চল অন্টারিওর প্রধান ডগ ফোর্ড বলেছেন, এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ট্রাম্পের শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা, অটোমোবাইলের মতো শিল্পে শুল্ক শিথিল করা নয়। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের আবার অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। আজ যে ব্যক্তি এই সমস্যা সৃষ্টি করছেন—তিনি আর কেউ নন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’
সিএনএন থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
ভারতের মূল লক্ষ্য দেশীয় স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করা, যেখানে এরই মধ্যেই এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কেবল জরুরি হুমকি দেখা দিলেই বিদেশি স্টেলথ জেট কেনার চিন্তা করা হবে। অতএব, স্বল্পমেয়াদে জরুরি ক্রয় হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের লক্ষ্য পরিষ্কার—নিজস্ব প্রযুক্তিতে যুদ্ধবিমান...
১ দিন আগেইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের জন্যও বড় একটি ধাক্কা। ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউরোপের নেতারা মার্কিন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
৩ দিন আগেরাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
৩ দিন আগে