ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জাপানের হিরোশিমায় ডেকে রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিল জি-৭ নেতারা। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকেও বাদ দেননি তাঁরা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চীন ধীরে ধীরে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে; পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠছে।
‘অর্থনীতিকে হাতিয়ার করে বলপ্রয়োগের’ যে নীতি চীন নিয়েছে, তাকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন জি-৭ নেতারা। চীনের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে ভারসাম্য থাকছে না বলেও তাঁরা উদ্বিগ্ন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোটের নেতারা বলছেন, বাণিজ্যিক কারণে নির্ভরশীলতার সুযোগ নিয়ে বেইজিং তাঁদের ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, যে সব দেশের ওপর চীন অসন্তুষ্ট, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র যখন সিউলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করল, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল চীন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
আবার তাইওয়ানকে দূতাবাস স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার পর লিথুনিয়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জি-৭ নেতারও যে এসব নিয়ে বিরক্ত হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁরা বলছেন, চীনের এই জবরদস্তিমূলক আচরণ দেশ বিদেশে জি-৭ এর অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করবে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বিশ্বকে চীনের ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের ‘জবরদস্তি’ মোকাবিলায় জি-৭ নেতারা উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই একটি ‘সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম’ চালু করেছে। তবে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে কাজ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হয়তো বাণিজ্য তহবিল বাড়িয়ে একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলা করতে পারেন তাঁরা।
এ ছাড়াও জি-৭ নেতারা খনিজ সম্পদ ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অনলাইন হ্যাকিং প্রতিরোধে ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে।
তবে জি-৭ নেতারা সবচেয়ে বড় কৌশল হিসেবে যে পদক্ষেপটি নিতে চান, সেটি হচ্ছে, বহুপক্ষীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা। এর অর্থ হচ্ছে, সামরিক খাতে ও বুদ্ধিমত্তাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলো যাতে ‘দুষ্টু লোকের’ হাতে ধ্বংস হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এক জোট হয়ে কাজ করা।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চীনের চিপ প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জাপান ও নেদারল্যান্ডসও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। চীন এসব নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছে। তবে জি-৭ নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে।
প্রযুক্তি ও শিল্পক্ষেত্রে চীন গুপ্তচরবৃত্তি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে প্রায়ই দেশটি উদ্বেগ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিগত গোপনীয়তা চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে কারাগারেও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার সময় সরাসরি চীনের নাম উচ্চারণ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির সাংবাদিক টেসা অং বলছেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশল। তারা যখন চীন সম্পর্কে কথা বলে, তখন সংক্ষেপে তাদের অবস্থান জানায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমাদের নীতি চীনের ক্ষতি করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। আমরা চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
জি-৭ নেতাদের এসব বার্তা চীন কীভাবে গ্রহণ করবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অতীতে দেখা গেছে, উভয়েই পারস্পরিক সমালোচনার পাশাপাশি অংশীদারত্ব উপভোগ করেছে। কিন্তু জনগণকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য চীন বরাবরই ক্ষুব্ধ বক্তব্য দিয়েছে।
চীনের গণমাধ্যমগুলোতে জি-৭ সম্মেলন শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগগুলো প্রকাশিত হচ্ছিল। গত শনিবার চীন সরকার জি-৭ সম্মেলনের আয়োজক জাপানের কাছে অভিযোগ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অযাচিতভাবে আক্রমণ করছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জবরদস্তির সহযোগী না হতে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, একচেটিয়া ব্লক তৈরির জন্য এক জোট হওয়া বন্ধ করুন।
লক্ষ্য করার মতো বিষয় হচ্ছে, চীন অন্যান্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিজস্ব জোট তৈরির চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে জাপানে জি-৭ সম্মেলন শুরুর হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছে চীন।
চীনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ঠেকাতে জি-৭ নেতাদের এসব পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কাজ করবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যারা চীনের আগ্রাসন রুখে দিতে চায়, তারা জি-৭ নেতাদের এ কৌশলকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করা যায়।
ইন্দো-প্যাসিফিক ও চীন বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু স্মল জি-৭ নেতাদের পরিকল্পনাকে ‘বাস্তব ঐকমত্য’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের অর্থনৈতিক জবরদস্তির বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের সম্মিলিত ‘ঝুঁকিমুক্তকরণ’ বা ‘ডি-রিস্কিং’ নীতি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে তাদের এ নীতি বাস্তবসম্মত। একই সঙ্গে জি-৭ নেতাদের এটিও মনে রাখা দরকার, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলো কীভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হবে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জাপানের হিরোশিমায় ডেকে রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিল জি-৭ নেতারা। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকেও বাদ দেননি তাঁরা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চীন ধীরে ধীরে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে; পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠছে।
‘অর্থনীতিকে হাতিয়ার করে বলপ্রয়োগের’ যে নীতি চীন নিয়েছে, তাকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন জি-৭ নেতারা। চীনের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে ভারসাম্য থাকছে না বলেও তাঁরা উদ্বিগ্ন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোটের নেতারা বলছেন, বাণিজ্যিক কারণে নির্ভরশীলতার সুযোগ নিয়ে বেইজিং তাঁদের ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, যে সব দেশের ওপর চীন অসন্তুষ্ট, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র যখন সিউলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করল, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল চীন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
আবার তাইওয়ানকে দূতাবাস স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার পর লিথুনিয়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জি-৭ নেতারও যে এসব নিয়ে বিরক্ত হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁরা বলছেন, চীনের এই জবরদস্তিমূলক আচরণ দেশ বিদেশে জি-৭ এর অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করবে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বিশ্বকে চীনের ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের ‘জবরদস্তি’ মোকাবিলায় জি-৭ নেতারা উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই একটি ‘সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম’ চালু করেছে। তবে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে কাজ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হয়তো বাণিজ্য তহবিল বাড়িয়ে একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলা করতে পারেন তাঁরা।
এ ছাড়াও জি-৭ নেতারা খনিজ সম্পদ ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অনলাইন হ্যাকিং প্রতিরোধে ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে।
তবে জি-৭ নেতারা সবচেয়ে বড় কৌশল হিসেবে যে পদক্ষেপটি নিতে চান, সেটি হচ্ছে, বহুপক্ষীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা। এর অর্থ হচ্ছে, সামরিক খাতে ও বুদ্ধিমত্তাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলো যাতে ‘দুষ্টু লোকের’ হাতে ধ্বংস হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এক জোট হয়ে কাজ করা।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে চীনের চিপ প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জাপান ও নেদারল্যান্ডসও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। চীন এসব নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছে। তবে জি-৭ নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে।
প্রযুক্তি ও শিল্পক্ষেত্রে চীন গুপ্তচরবৃত্তি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে প্রায়ই দেশটি উদ্বেগ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে প্রযুক্তিগত গোপনীয়তা চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে কারাগারেও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার সময় সরাসরি চীনের নাম উচ্চারণ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির সাংবাদিক টেসা অং বলছেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশল। তারা যখন চীন সম্পর্কে কথা বলে, তখন সংক্ষেপে তাদের অবস্থান জানায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমাদের নীতি চীনের ক্ষতি করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। আমরা চীনের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
জি-৭ নেতাদের এসব বার্তা চীন কীভাবে গ্রহণ করবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অতীতে দেখা গেছে, উভয়েই পারস্পরিক সমালোচনার পাশাপাশি অংশীদারত্ব উপভোগ করেছে। কিন্তু জনগণকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য চীন বরাবরই ক্ষুব্ধ বক্তব্য দিয়েছে।
চীনের গণমাধ্যমগুলোতে জি-৭ সম্মেলন শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগগুলো প্রকাশিত হচ্ছিল। গত শনিবার চীন সরকার জি-৭ সম্মেলনের আয়োজক জাপানের কাছে অভিযোগ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অযাচিতভাবে আক্রমণ করছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক জবরদস্তির সহযোগী না হতে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, একচেটিয়া ব্লক তৈরির জন্য এক জোট হওয়া বন্ধ করুন।
লক্ষ্য করার মতো বিষয় হচ্ছে, চীন অন্যান্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিজস্ব জোট তৈরির চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে জাপানে জি-৭ সম্মেলন শুরুর হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছে চীন।
চীনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ঠেকাতে জি-৭ নেতাদের এসব পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কাজ করবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যারা চীনের আগ্রাসন রুখে দিতে চায়, তারা জি-৭ নেতাদের এ কৌশলকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করা যায়।
ইন্দো-প্যাসিফিক ও চীন বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু স্মল জি-৭ নেতাদের পরিকল্পনাকে ‘বাস্তব ঐকমত্য’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের অর্থনৈতিক জবরদস্তির বিরুদ্ধে জি-৭ নেতাদের সম্মিলিত ‘ঝুঁকিমুক্তকরণ’ বা ‘ডি-রিস্কিং’ নীতি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে তাদের এ নীতি বাস্তবসম্মত। একই সঙ্গে জি-৭ নেতাদের এটিও মনে রাখা দরকার, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলো কীভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হবে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
১ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
১ দিন আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
৩ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
৩ দিন আগে