অনলাইন ডেস্ক
গতকাল ১ জুন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে ইউক্রেন। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি। ৪০ টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। বলা হচ্ছে, এতে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই ব্যর্থতা পুরো পশ্চিমা সামরিক স্ট্যাবলিশমেন্টকেই ভাবাচ্ছে। অবশ্য রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম উন্নত বলে বিবেচিত। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান-সহ বিভিন্ন হুমকি মোকাবিলার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। রাশিয়া তার আকাশসীমা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখতে এস-৪০০ ব্যাপকভাবে মোতায়েন করেছে। তবে, ইউক্রেনের কৌশল এবং পশ্চিমা-সরবরাহকৃত অস্ত্রের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এস-৪০০-এর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে যখন ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান অস্ত্রাগার, বিশেষ করে মার্কিন-সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মুখোমুখি হয় তখন এই রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব একটা কাজে দেয় না।
এটিএসিএমএস বলতে বোঝায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম। এটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এই সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতি) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইউক্রেনীয় বাহিনী এরই মধ্যে একাধিক এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের নভেম্বরে, ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে একটি এস-৪০০ রাডারে আঘাত হানতে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। ওই সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে আঘাত হানে, রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আরেকটি হামলায় বেলগোরোদে একটি ৯২ এন ৬ কন্ট্রোল রাডার বিকল হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এটি। এর আগে, ২০২৪ সালের জুনে, ইউক্রেন ৫৯টি রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার দাবি করে, যার মধ্যে চারটি এস-৪০০ লঞ্চার ছিল ক্রিমিয়াতে।
এটিএসিএমএস-এর প্রতিহতে এস-৪০০-এর দুর্বলতা
এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস-৪০০ মার্কিন-নির্মিত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, বিশেষ করে কয়েক দশক আগে তৈরি পুরোনো ব্লক ১ সংস্করণ, প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য একটি ঘটনায়, একটি রুশ এস-৪০০ ইউনিট ছয়টি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ধেয়ে আসা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যচ্যুত করেছিল। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বোম্বলেট (ছোট আকারে বোমা) ছেড়ে ইউনিটটি ধ্বংস করে দেয়। এতে বোঝা যায়, দ্রুতগতির, নিচ দিয়ে উড়তে সক্ষম বা ক্লাস্টার-অস্ত্র-সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এস-৪০০-এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে দুর্বলতা
এস-৪০০ ইউক্রেনের গুচ্ছ ড্রোন এবং পশ্চিমা-সরবরাহকৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যেমন স্টর্ম শ্যাডোর বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকর নয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক্স-এ একটি পোস্টে দুটি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ইউনিটের ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। নিচে দিয়ে উড়ন্ত, স্টিলথ যুদ্ধাস্ত্র (রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম) শনাক্ত এবং প্রতিহত করার সক্ষমতার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে এই দৃশ্য। ইউক্রেনের ড্রোন ব্যবহার, যার মধ্যে দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোনও রয়েছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও চাপে ফেলেছে। এর ফলে ব্রায়ানস্কের ক্রেমনি এল কারখানার মতো এস-৪০০-সম্পর্কিত অবকাঠামোতে সফল হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব কারখানায় এস-৪০০-এর সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
ইউক্রেনের এসব সাফল্য নিঃসন্দেহে এস-৪০০-এর খ্যাতির ক্ষতি করেছে। ইউক্রেনের একজন সাবেক নৌ কর্মকর্তা ২০২৩ সালে মন্তব্য করেছিলেন, হামলা প্রতিরোধে সিস্টেমের ব্যর্থতা মস্কোভা ক্রুজার ডুবে যাওয়ার মতোই তাৎপর্যপূর্ণ।
‘মস্কোভা’, আগের নাম ছিল ‘স্লাভা’, ছিল রুশ নৌবাহিনীর একটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ। ১৯৮৩ সালে এটি প্রথম মোতায়েন করা হয়। এটি ছিল প্রোজেক্ট ১১৬৪ আটলান্ট শ্রেণির প্রধান জাহাজ। ৫১০ জন ক্রু সদস্যের এই যুদ্ধজাহাজটি কৃষ্ণ সাগরের বহরের পতাকাবাহী এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ ছিল।
এই ক্রুজারটি বিভিন্ন সংঘাতে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে জর্জিয়া (২০০৮), ক্রিমিয়া (২০১৪) এবং সিরিয়া (২০১৫) সংঘাত অন্যতম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নৌ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল মস্কোভা। ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল রণতরিটি ডুবে যায়।
সাফল্যের গল্পও কম নয়
ইউক্রেন যুদ্ধে অনেকগুলো ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত সত্ত্বেও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্যের গল্পও কম নয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে দাবি করে, এস-৪০০, প্যান্টসির সিস্টেমের পাশাপাশি, ইউক্রেনের দিক থেকে ছয়টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পাঁচটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে সেই ঘটনায় কোনো হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি। এটি ইঙ্গিত করে, ব্যবস্থাটি নির্দিষ্ট শর্তে, বিশেষ করে অনুমানযোগ্য বা কম চতুর হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকর।
এস-৪০০ রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি মূল ভিত্তি। কুরস্ক এবং ক্রিমিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল সুরক্ষিত রাখতে এই ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘ পরিসরে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও প্রতিরোধ করার সক্ষমতা এবং প্যান্টসিরের মতো অন্যান্য সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয় করার সক্ষমতার কারণে এটি একটি স্তরীভূত প্রতিরক্ষা দিতে পারে। এ কারণেই রাশিয়া এখনো এটির ওপর এতটা নির্ভরশীল।
এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রপ্তানি বাজারও বেশ বড়। ভারতের মতো দেশগুলো নিজ নিজ প্রেক্ষাপটে এস-৪০০-এর কার্যকারিতার কথা জানায়। যেমন, অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এস-৪০০ পাকিস্তানি বিমান হামলা প্রতিহত করেছে। এটি ইঙ্গিত করে, এই সিস্টেমের প্রযুক্তি সঠিক প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কাস্টমাইজেশনের ভিত্তিতে কার্যকর হতে পারে।
তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় এস-৪০০ হিমশিম খাওয়ার কিছু বাস্তব কারণ রয়েছে:
কৌশলগত অভিযোজন: ইউক্রেন এটিএসিএমএস, স্টর্ম শ্যাডো এবং ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সক্ষমতা, দ্রুতগতি এবং অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে এস-৪০০ এর দুর্বলতা কাজে লাগাচ্ছে।
লজিস্টিক চাপ: রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক একটি বিশাল ফ্রন্ট জুড়ে বিস্তৃত। কর্মী ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কারণে অপারেশনাল প্রস্তুতি ধীর গতির হয়ে গেছে ধারণা করা হয়। রাডার সিস্টেম বা যন্ত্রাংশ কারখানার মতো সহায়তা অবকাঠামোতে আঘাত এস-৪০০-এর কার্যকারিতা আরও দুর্বল করেছে।
প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব: যদিও এস-৪০০ উন্নত, কিন্তু এটিএসিএমএস এবং স্টর্ম শ্যাডোর মতো পশ্চিমা অস্ত্রগুলো একই ধরনের সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এস-৪০০-এর ৪০ এন৬ এম ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯২ এন ৬ রাডার শক্তিশালী কিন্তু অভ্রান্ত নয়। বিশেষ করে পুরোনো প্রযুক্তির কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে এই রাডার ততটা কার্যকর নাও হতে পারে।
ফ্রেন্ডলি ফায়ারের ঝুঁকি: ২০২৫ সালে একটি এফ-১৬-সহ ইউক্রেনের কিছু ক্ষতির কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়, রাশিয়ার বা এমনকি ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভুল লক্ষ্য শনাক্তের কারণে এমনটি ঘটেছে। বাস্তবে সেটিই ঘটে থাকলে, এস-৪০০ ব্যবস্থা কার্যকর আছে এমন স্থলে একটি বিশৃঙ্খল যুদ্ধ পরিবেশের নির্দেশক এটি।
শেষ কথা
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি এস-৪০০ বা যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়টের মতো উন্নত সিস্টেমগুলোও অভ্রান্ত নয়। কোনো সিস্টেমই শতভাগ হুমকি প্রতিহত করতে পারে না। বিশেষ করে আক্রমণগুলো যখন হয় বিচিত্র। এস-৪০০-এর কিছু ব্যর্থতা কিন্তু এর সামগ্রিক অকার্যকারিতা বোঝায় না। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ইউক্রেনের ঘাম ছুটছে। তবে, এটি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উচ্চ খরচ (প্রতি ব্যাটারির জন্য প্রায় ২০ কোটি ডলার) এবং কৌশলগত প্রতিরক্ষার জন্য এটিরও ওপরেই রাশিয়ার নির্ভরশীলতা সামগ্রিক ক্ষতি বাড়িয়েই তোলে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট সিস্টেমগুলো কিনঝালের মতো রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবুও সেগুলোকে এখনো কার্যকর বলেই মনে করা হয়। এতে অনুমান করা যায়, এস-৪০০-এর সমস্যাগুলো সিস্টেমের অন্তর্নিহিত ত্রুটি বা দুর্বলতা নয়, বরং অপারেশনাল এবং কৌশলগত সমস্যাগুলো যেমন সঠিক স্থানে ও সঠিকভাবে মোতায়েন না করা, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে ঘটছে।
ফলে এস-৪০০ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্পূর্ণ ‘ব্যর্থ’ হয়েছ এটি বলা যাবে না। বলা যেতে পারে, খ্যাতির তুলনায় পারফরমেন্স কিছুটা কম। ইউক্রেনীয় হামলা, বিশেষ করে এটিএসিএমএস এবং ড্রোনের বিরুদ্ধে এর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এর ফলে কুরস্ক, ক্রিমিয়া এবং বেলগোরোদে এস-৪০০ সিস্টেম এবং এর সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া গতকাল ১ জুন যে কৌশলে ড্রোন হামলা হয়েছে সেখানে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কিছুই করার ছিল না।
গতকাল ১ জুন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে ইউক্রেন। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি। ৪০ টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। বলা হচ্ছে, এতে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই ব্যর্থতা পুরো পশ্চিমা সামরিক স্ট্যাবলিশমেন্টকেই ভাবাচ্ছে। অবশ্য রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম উন্নত বলে বিবেচিত। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান-সহ বিভিন্ন হুমকি মোকাবিলার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। রাশিয়া তার আকাশসীমা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখতে এস-৪০০ ব্যাপকভাবে মোতায়েন করেছে। তবে, ইউক্রেনের কৌশল এবং পশ্চিমা-সরবরাহকৃত অস্ত্রের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এস-৪০০-এর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে যখন ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান অস্ত্রাগার, বিশেষ করে মার্কিন-সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মুখোমুখি হয় তখন এই রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব একটা কাজে দেয় না।
এটিএসিএমএস বলতে বোঝায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম। এটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এই সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতি) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইউক্রেনীয় বাহিনী এরই মধ্যে একাধিক এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের নভেম্বরে, ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে একটি এস-৪০০ রাডারে আঘাত হানতে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। ওই সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে আঘাত হানে, রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আরেকটি হামলায় বেলগোরোদে একটি ৯২ এন ৬ কন্ট্রোল রাডার বিকল হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এটি। এর আগে, ২০২৪ সালের জুনে, ইউক্রেন ৫৯টি রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার দাবি করে, যার মধ্যে চারটি এস-৪০০ লঞ্চার ছিল ক্রিমিয়াতে।
এটিএসিএমএস-এর প্রতিহতে এস-৪০০-এর দুর্বলতা
এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস-৪০০ মার্কিন-নির্মিত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, বিশেষ করে কয়েক দশক আগে তৈরি পুরোনো ব্লক ১ সংস্করণ, প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য একটি ঘটনায়, একটি রুশ এস-৪০০ ইউনিট ছয়টি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ধেয়ে আসা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যচ্যুত করেছিল। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বোম্বলেট (ছোট আকারে বোমা) ছেড়ে ইউনিটটি ধ্বংস করে দেয়। এতে বোঝা যায়, দ্রুতগতির, নিচ দিয়ে উড়তে সক্ষম বা ক্লাস্টার-অস্ত্র-সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এস-৪০০-এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে দুর্বলতা
এস-৪০০ ইউক্রেনের গুচ্ছ ড্রোন এবং পশ্চিমা-সরবরাহকৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যেমন স্টর্ম শ্যাডোর বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকর নয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক্স-এ একটি পোস্টে দুটি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ইউনিটের ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। নিচে দিয়ে উড়ন্ত, স্টিলথ যুদ্ধাস্ত্র (রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম) শনাক্ত এবং প্রতিহত করার সক্ষমতার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে এই দৃশ্য। ইউক্রেনের ড্রোন ব্যবহার, যার মধ্যে দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোনও রয়েছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও চাপে ফেলেছে। এর ফলে ব্রায়ানস্কের ক্রেমনি এল কারখানার মতো এস-৪০০-সম্পর্কিত অবকাঠামোতে সফল হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব কারখানায় এস-৪০০-এর সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
ইউক্রেনের এসব সাফল্য নিঃসন্দেহে এস-৪০০-এর খ্যাতির ক্ষতি করেছে। ইউক্রেনের একজন সাবেক নৌ কর্মকর্তা ২০২৩ সালে মন্তব্য করেছিলেন, হামলা প্রতিরোধে সিস্টেমের ব্যর্থতা মস্কোভা ক্রুজার ডুবে যাওয়ার মতোই তাৎপর্যপূর্ণ।
‘মস্কোভা’, আগের নাম ছিল ‘স্লাভা’, ছিল রুশ নৌবাহিনীর একটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ। ১৯৮৩ সালে এটি প্রথম মোতায়েন করা হয়। এটি ছিল প্রোজেক্ট ১১৬৪ আটলান্ট শ্রেণির প্রধান জাহাজ। ৫১০ জন ক্রু সদস্যের এই যুদ্ধজাহাজটি কৃষ্ণ সাগরের বহরের পতাকাবাহী এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ ছিল।
এই ক্রুজারটি বিভিন্ন সংঘাতে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে জর্জিয়া (২০০৮), ক্রিমিয়া (২০১৪) এবং সিরিয়া (২০১৫) সংঘাত অন্যতম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নৌ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল মস্কোভা। ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল রণতরিটি ডুবে যায়।
সাফল্যের গল্পও কম নয়
ইউক্রেন যুদ্ধে অনেকগুলো ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত সত্ত্বেও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্যের গল্পও কম নয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের নভেম্বরে দাবি করে, এস-৪০০, প্যান্টসির সিস্টেমের পাশাপাশি, ইউক্রেনের দিক থেকে ছয়টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পাঁচটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে সেই ঘটনায় কোনো হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি। এটি ইঙ্গিত করে, ব্যবস্থাটি নির্দিষ্ট শর্তে, বিশেষ করে অনুমানযোগ্য বা কম চতুর হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকর।
এস-৪০০ রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি মূল ভিত্তি। কুরস্ক এবং ক্রিমিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল সুরক্ষিত রাখতে এই ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘ পরিসরে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও প্রতিরোধ করার সক্ষমতা এবং প্যান্টসিরের মতো অন্যান্য সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয় করার সক্ষমতার কারণে এটি একটি স্তরীভূত প্রতিরক্ষা দিতে পারে। এ কারণেই রাশিয়া এখনো এটির ওপর এতটা নির্ভরশীল।
এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রপ্তানি বাজারও বেশ বড়। ভারতের মতো দেশগুলো নিজ নিজ প্রেক্ষাপটে এস-৪০০-এর কার্যকারিতার কথা জানায়। যেমন, অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এস-৪০০ পাকিস্তানি বিমান হামলা প্রতিহত করেছে। এটি ইঙ্গিত করে, এই সিস্টেমের প্রযুক্তি সঠিক প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কাস্টমাইজেশনের ভিত্তিতে কার্যকর হতে পারে।
তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় এস-৪০০ হিমশিম খাওয়ার কিছু বাস্তব কারণ রয়েছে:
কৌশলগত অভিযোজন: ইউক্রেন এটিএসিএমএস, স্টর্ম শ্যাডো এবং ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সক্ষমতা, দ্রুতগতি এবং অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে এস-৪০০ এর দুর্বলতা কাজে লাগাচ্ছে।
লজিস্টিক চাপ: রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক একটি বিশাল ফ্রন্ট জুড়ে বিস্তৃত। কর্মী ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কারণে অপারেশনাল প্রস্তুতি ধীর গতির হয়ে গেছে ধারণা করা হয়। রাডার সিস্টেম বা যন্ত্রাংশ কারখানার মতো সহায়তা অবকাঠামোতে আঘাত এস-৪০০-এর কার্যকারিতা আরও দুর্বল করেছে।
প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব: যদিও এস-৪০০ উন্নত, কিন্তু এটিএসিএমএস এবং স্টর্ম শ্যাডোর মতো পশ্চিমা অস্ত্রগুলো একই ধরনের সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এস-৪০০-এর ৪০ এন৬ এম ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯২ এন ৬ রাডার শক্তিশালী কিন্তু অভ্রান্ত নয়। বিশেষ করে পুরোনো প্রযুক্তির কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে এই রাডার ততটা কার্যকর নাও হতে পারে।
ফ্রেন্ডলি ফায়ারের ঝুঁকি: ২০২৫ সালে একটি এফ-১৬-সহ ইউক্রেনের কিছু ক্ষতির কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়, রাশিয়ার বা এমনকি ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভুল লক্ষ্য শনাক্তের কারণে এমনটি ঘটেছে। বাস্তবে সেটিই ঘটে থাকলে, এস-৪০০ ব্যবস্থা কার্যকর আছে এমন স্থলে একটি বিশৃঙ্খল যুদ্ধ পরিবেশের নির্দেশক এটি।
শেষ কথা
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি এস-৪০০ বা যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়টের মতো উন্নত সিস্টেমগুলোও অভ্রান্ত নয়। কোনো সিস্টেমই শতভাগ হুমকি প্রতিহত করতে পারে না। বিশেষ করে আক্রমণগুলো যখন হয় বিচিত্র। এস-৪০০-এর কিছু ব্যর্থতা কিন্তু এর সামগ্রিক অকার্যকারিতা বোঝায় না। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ইউক্রেনের ঘাম ছুটছে। তবে, এটি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উচ্চ খরচ (প্রতি ব্যাটারির জন্য প্রায় ২০ কোটি ডলার) এবং কৌশলগত প্রতিরক্ষার জন্য এটিরও ওপরেই রাশিয়ার নির্ভরশীলতা সামগ্রিক ক্ষতি বাড়িয়েই তোলে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট সিস্টেমগুলো কিনঝালের মতো রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবুও সেগুলোকে এখনো কার্যকর বলেই মনে করা হয়। এতে অনুমান করা যায়, এস-৪০০-এর সমস্যাগুলো সিস্টেমের অন্তর্নিহিত ত্রুটি বা দুর্বলতা নয়, বরং অপারেশনাল এবং কৌশলগত সমস্যাগুলো যেমন সঠিক স্থানে ও সঠিকভাবে মোতায়েন না করা, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ বা অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে ঘটছে।
ফলে এস-৪০০ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্পূর্ণ ‘ব্যর্থ’ হয়েছ এটি বলা যাবে না। বলা যেতে পারে, খ্যাতির তুলনায় পারফরমেন্স কিছুটা কম। ইউক্রেনীয় হামলা, বিশেষ করে এটিএসিএমএস এবং ড্রোনের বিরুদ্ধে এর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এর ফলে কুরস্ক, ক্রিমিয়া এবং বেলগোরোদে এস-৪০০ সিস্টেম এবং এর সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া গতকাল ১ জুন যে কৌশলে ড্রোন হামলা হয়েছে সেখানে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কিছুই করার ছিল না।
পুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও ‘রুশ আগ্রাসনের নতুন যুগে’ প্রতিরক্ষা খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার (২ জুন) প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় (এসডিআর) উঠে এসেছে পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন ও গোলাবারুদ তৈরির নতুন কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা।
১০ ঘণ্টা আগেসত্য কী? অধিকাংশ মানুষের কাছে সত্য মানে হলো, যা বাস্তব তথ্যের সঙ্গে মিলে। অবশ্য আজকাল ‘বিকল্প সত্য’ নামে নতুন এক ধারণা অনেকে হাজির করছেন। সে যাই হোক, অভিজ্ঞতা বলে, সত্য শুধু বস্তুনিষ্ঠ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, সত্য প্রকাশের উপযুক্ত লগ্ন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই জরুরি।
১৪ ঘণ্টা আগেভারত-মিয়ানমার সীমান্তে প্রস্তাবিত ১ হাজার মাইল দীর্ঘ বেড়া সেখানকার সাপ্তাহিক আয়োজন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অভিবাসন, ঐতিহাসিক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ব্যাহত করার হুমকি দিচ্ছে। এসবই করা হচ্ছে নিরাপত্তার নামে। ভারত সরকার মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের তেমন কোনো সম্পৃক্ততা ছাড়াই এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে