আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল শুক্রবার মধ্য এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এক মহাপরিকল্পনা উন্মোচন ও উপস্থাপন করেছেন। এর আওতায় এই অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বাণিজ্য জোরদার করা হবে। উদ্দেশ্য, ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার প্রভাববলয়ে থাকা অঞ্চলটিতে চীনকে নতুন নেতৃত্বের ভূমিকায় নিয়ে আসা। খবর রয়টার্সের।
উত্তর-পূর্ব চীনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী চায়না-সেন্ট্রাল এশিয়া সামিটে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে উন্নয়ন-কৌশল সমন্বয় করতে এবং সবার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে চীন প্রস্তুত।
পরে মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সি চিন পিং বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন ছয়টি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন প্রেরণা জুগিয়েছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় জোরালো ইতিবাচক শক্তির উন্মেষ ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে ও গভীরভাবে পরিপূরক ও উচ্চস্তরের সম-অংশীদারত্বমূলক সহযোগিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলব।’
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকার কারণে মধ্য এশিয়া থেকে রাশিয়া অনেকটা মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। আবার আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিও নিঃশেষ হয়েছে। ফলে এই সম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা এই অঞ্চলে চীন রাজনৈতিক প্রভাব ও জ্বালানিসম্পদের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রেখেছে।
শক্তিশালী বাণিজ্য করিডরের নেটওয়ার্ক থাকা এই পাঁচ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র অন্য কোথাও বিঘ্ন ঘটলে জ্বালানি, খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চীনকে বিকল্প পথের সুযোগ দেয়।
মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সির সমর্থন ও সহযোগিতার অঙ্গীকারগুলো গতকাল থেকে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-৭ দেশের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে চীনের ‘নেতিবাচক’ চিত্রের বিপরীতটাই উপস্থাপন করবে। একই সঙ্গে অঞ্চলটির প্রতি চীনের সমর্থন তাঁর জবরদস্তিমূলক কূটনীতির মার্কিন অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেও উপস্থাপিত হবে।
সি বলেন, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর উচিত আস্থা আরও গভীর করা এবং সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, জাতীয় মর্যাদা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের মতো মৌলিক স্বার্থে ‘সুস্পষ্ট ও জোরালো সমর্থন’ দেওয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হলেও ইউক্রেনের কথা উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে আইন প্রয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর স্থাপনা নির্মাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে চীন প্রস্তুত।
শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধু নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চীন দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি এবং আন্তসীমান্ত পরিবহনের মাত্রা বাড়াবে। তিনি যোগ করেন, এটি মধ্য এশিয়ায় চীনা অর্থায়নে পরিচালিত ব্যবসাগুলোকে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, ওয়্যারহাউস নির্মাণে এবং পর্যটন প্রচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করতে দেশটিকে উৎসাহিত করবে।
সি বলেন, ‘আমাদের যৌথ সহযোগিতা এবং মধ্য এশিয়ার উন্নয়ন জোরদার করার জন্য চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে মোট ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থায়ন সহায়তা ও অনুদান দেবে।’
তথ্য বলছে, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার গত বছরের বাণিজ্য ৭০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে, যার মধ্যে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কাজাখস্তান। এর কারণ হলো, অঞ্চলটির সঙ্গে চীন বৃহত্তর খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার সন্ধানে পারস্পরিক সংযোগ আরও গভীর করতে চায়।
সি জানান, চীন ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে প্রাকৃতিক পাইপলাইনের লাইন-ডি নির্মাণের কাজ বেগবান করা হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদে কাসপিয়ান সাগরকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডর নির্মাণ এবং চীন ও ইউরোপের ট্রেন পরিবহনসেবা বাড়ানোর জন্য পরিবহনকেন্দ্র বিনির্মাণে দেশটি প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা জোগাবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল শুক্রবার মধ্য এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এক মহাপরিকল্পনা উন্মোচন ও উপস্থাপন করেছেন। এর আওতায় এই অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বাণিজ্য জোরদার করা হবে। উদ্দেশ্য, ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার প্রভাববলয়ে থাকা অঞ্চলটিতে চীনকে নতুন নেতৃত্বের ভূমিকায় নিয়ে আসা। খবর রয়টার্সের।
উত্তর-পূর্ব চীনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী চায়না-সেন্ট্রাল এশিয়া সামিটে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে উন্নয়ন-কৌশল সমন্বয় করতে এবং সবার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে চীন প্রস্তুত।
পরে মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সি চিন পিং বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন ছয়টি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন প্রেরণা জুগিয়েছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় জোরালো ইতিবাচক শক্তির উন্মেষ ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে ও গভীরভাবে পরিপূরক ও উচ্চস্তরের সম-অংশীদারত্বমূলক সহযোগিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত গড়ে তুলব।’
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকার কারণে মধ্য এশিয়া থেকে রাশিয়া অনেকটা মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। আবার আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিও নিঃশেষ হয়েছে। ফলে এই সম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা এই অঞ্চলে চীন রাজনৈতিক প্রভাব ও জ্বালানিসম্পদের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রেখেছে।
শক্তিশালী বাণিজ্য করিডরের নেটওয়ার্ক থাকা এই পাঁচ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র অন্য কোথাও বিঘ্ন ঘটলে জ্বালানি, খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চীনকে বিকল্প পথের সুযোগ দেয়।
মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সির সমর্থন ও সহযোগিতার অঙ্গীকারগুলো গতকাল থেকে জাপানে অনুষ্ঠিত জি-৭ দেশের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে চীনের ‘নেতিবাচক’ চিত্রের বিপরীতটাই উপস্থাপন করবে। একই সঙ্গে অঞ্চলটির প্রতি চীনের সমর্থন তাঁর জবরদস্তিমূলক কূটনীতির মার্কিন অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেও উপস্থাপিত হবে।
সি বলেন, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর উচিত আস্থা আরও গভীর করা এবং সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, জাতীয় মর্যাদা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের মতো মৌলিক স্বার্থে ‘সুস্পষ্ট ও জোরালো সমর্থন’ দেওয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হলেও ইউক্রেনের কথা উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে আইন প্রয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর স্থাপনা নির্মাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে চীন প্রস্তুত।
শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধু নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চীন দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি এবং আন্তসীমান্ত পরিবহনের মাত্রা বাড়াবে। তিনি যোগ করেন, এটি মধ্য এশিয়ায় চীনা অর্থায়নে পরিচালিত ব্যবসাগুলোকে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, ওয়্যারহাউস নির্মাণে এবং পর্যটন প্রচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করতে দেশটিকে উৎসাহিত করবে।
সি বলেন, ‘আমাদের যৌথ সহযোগিতা এবং মধ্য এশিয়ার উন্নয়ন জোরদার করার জন্য চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে মোট ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থায়ন সহায়তা ও অনুদান দেবে।’
তথ্য বলছে, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার গত বছরের বাণিজ্য ৭০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে, যার মধ্যে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কাজাখস্তান। এর কারণ হলো, অঞ্চলটির সঙ্গে চীন বৃহত্তর খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার সন্ধানে পারস্পরিক সংযোগ আরও গভীর করতে চায়।
সি জানান, চীন ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে প্রাকৃতিক পাইপলাইনের লাইন-ডি নির্মাণের কাজ বেগবান করা হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদে কাসপিয়ান সাগরকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডর নির্মাণ এবং চীন ও ইউরোপের ট্রেন পরিবহনসেবা বাড়ানোর জন্য পরিবহনকেন্দ্র বিনির্মাণে দেশটি প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা জোগাবে।
‘বাসুধৈব কুটুম্বকম’—বিশ্ব একটি পরিবার, এই মহৎ বার্তা দিয়েই ভারত নিজ দেশে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বের সামনে নিজ দেশের দর্শন তুলে ধরেছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। একটি জাতিকে নির্মূল করার যুদ্ধে মদদ দিয়ে, যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করে, এমনকি শিশুদের ওপর বোমাবর্ষণকারী এক...
৮ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে এবার ট্রাম্প প্রশাসন হাত মেলাচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। এমনকি দেশটির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে আসছে শিথিলতা, হচ্ছে প্রত্যাহারও।
১ দিন আগেআফ্রিকার খনিজ-সমৃদ্ধ দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোকে ঘিরে শুরু হয়েছে ভূরাজনৈতিক নতুন মেরুকরণ। রুয়ান্ডার সঙ্গে ৩০ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে শান্তি চুক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পেছনে রয়েছে মার্কিন শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ...
২ দিন আগে১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই সকালে ছাদখোলা বিলাসবহুল গাড়িতে করে সস্ত্রীক বসনিয়া প্রবেশ করেন ফার্দিনান্দ। সারায়েভোর সড়কে গাড়ি পৌঁছালে তাঁদের দেখতে সড়কের দুপাশে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ।
২ দিন আগে