অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন। কারণ, ট্রাম্প ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
জানা গেছে, চীনের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ডগুলো দুটি ধাপে ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ইস্যু করা ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। আর এর বার্ষিক সুদের হার হবে ৪ দশমিক ২৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ইস্যু করা ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালে। এই ক্ষেত্রে সুদের হার ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সুদের এই হারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডের তুলনায় মাত্র ১-৩ বেসিস পয়েন্ট (০.০১ %-০. ০৩ %) বেশি। অথচ সুইজারল্যান্ডের মতো ট্রিপল-এ রেটেড দেশগুলো সাধারণত ১০-২০ বেসিস পয়েন্ট বেশি সুদ প্রদান করে।
দ্য নিউজ উইক জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের তুলনায় বেসিস পয়েন্টের ব্যবধান খুব বেশি না হলেও চীনের বিক্রি করা বন্ডের অভূতপূর্ব চাহিদা দেখা গেছে। মাত্র দুই বিলিয়ন ডলারের বন্ডের জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে। এই চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি নিলামের সাধারণ চাহিদার তুলনায় ২০ গুণ বেশি।
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের নীতি বিশ্লেষক মার্ক জফ বলেছেন, ‘চীনের ১-৩ বেসিস পয়েন্টের মধ্যে বন্ড বিক্রি করার বিষয়টি পশ্চিমা রেটিং সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের প্রতি বাজারের আস্থাহীনতাকে নির্দেশ করে।’
এদিকে অর্থনীতিবিদ এবং উদ্যোক্তা আরনো বার্ট্রান্ড বলেছেন, চীন সৌদি আরবে বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। সাধারণত বন্ড ইস্যু লন্ডন বা নিউইয়র্কের মতো আর্থিক কেন্দ্রে হয়। তবে সৌদি আরব পেট্রোডলার ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। দেশটিতে তেলের দাম শুধু ডলারে মূল্যায়ন করা হয়।
বার্ট্রান্ড মনে করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীন দেখিয়েছে তারা ডলার লিকুইডিটির একটি বিকল্প ব্যবস্থাপনার ভূমিকা নিতে সক্ষম। যদি দেশটি বড় পরিসরে এমন বন্ড ইস্যু করে, যেমন ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তবে সৌদি আরবের মতো দেশগুলো তাদের রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড থেকে চীনা বন্ডে স্থানান্তর করতে পারে।
বার্ট্রান্ড বলেন, এভাবে চীন তাদের অতিরিক্ত ডলার ব্যবহার করে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যুক্ত থাকা অংশীদারদের সাহায্য করতে পারে। ওই অংশীদারেরা পশ্চিমা ঋণদাতাদের কাছে ডলারনির্ভর ঋণে আবদ্ধ। তবে বন্ডের মাধ্যমে এই দেশগুলো চীনকে ডলারের বিকল্প হিসেবে চীনা মুদ্রা ইউয়ান, কৌশলগত সম্পদ বা বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে ঋণ শোধ করতে পারে।
চীন বন্ড বিক্রি করার উদ্যোগটি এমন এক সময়ে নিয়েছে যখন ট্রাম্প চীনের আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং শৌওয়েন বলেছেন, নতুন শুল্ক আরোপ করলে তা মার্কিন ভোক্তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। স্থিতিশীল বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশ্লেষক ডেভিড স্টিনসন মত দিয়েছেন, ট্রাম্পকে হুমকি দিতেই যে চীন মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে, বিষয়টি এমন নয়। বরং এটি চীনের ডলার আয়ের সম্ভাব্য হ্রাসের কারণে তাদের মজুত বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।
যা হোক, চীনের নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বার্তা হয়েছে। বার্তাটি হলো—ডলারনির্ভর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীন আরও প্রভাবশালী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন। কারণ, ট্রাম্প ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
জানা গেছে, চীনের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ডগুলো দুটি ধাপে ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ইস্যু করা ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। আর এর বার্ষিক সুদের হার হবে ৪ দশমিক ২৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ইস্যু করা ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালে। এই ক্ষেত্রে সুদের হার ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সুদের এই হারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডের তুলনায় মাত্র ১-৩ বেসিস পয়েন্ট (০.০১ %-০. ০৩ %) বেশি। অথচ সুইজারল্যান্ডের মতো ট্রিপল-এ রেটেড দেশগুলো সাধারণত ১০-২০ বেসিস পয়েন্ট বেশি সুদ প্রদান করে।
দ্য নিউজ উইক জানিয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের তুলনায় বেসিস পয়েন্টের ব্যবধান খুব বেশি না হলেও চীনের বিক্রি করা বন্ডের অভূতপূর্ব চাহিদা দেখা গেছে। মাত্র দুই বিলিয়ন ডলারের বন্ডের জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে। এই চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি নিলামের সাধারণ চাহিদার তুলনায় ২০ গুণ বেশি।
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের নীতি বিশ্লেষক মার্ক জফ বলেছেন, ‘চীনের ১-৩ বেসিস পয়েন্টের মধ্যে বন্ড বিক্রি করার বিষয়টি পশ্চিমা রেটিং সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের প্রতি বাজারের আস্থাহীনতাকে নির্দেশ করে।’
এদিকে অর্থনীতিবিদ এবং উদ্যোক্তা আরনো বার্ট্রান্ড বলেছেন, চীন সৌদি আরবে বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। সাধারণত বন্ড ইস্যু লন্ডন বা নিউইয়র্কের মতো আর্থিক কেন্দ্রে হয়। তবে সৌদি আরব পেট্রোডলার ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। দেশটিতে তেলের দাম শুধু ডলারে মূল্যায়ন করা হয়।
বার্ট্রান্ড মনে করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীন দেখিয়েছে তারা ডলার লিকুইডিটির একটি বিকল্প ব্যবস্থাপনার ভূমিকা নিতে সক্ষম। যদি দেশটি বড় পরিসরে এমন বন্ড ইস্যু করে, যেমন ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তবে সৌদি আরবের মতো দেশগুলো তাদের রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড থেকে চীনা বন্ডে স্থানান্তর করতে পারে।
বার্ট্রান্ড বলেন, এভাবে চীন তাদের অতিরিক্ত ডলার ব্যবহার করে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যুক্ত থাকা অংশীদারদের সাহায্য করতে পারে। ওই অংশীদারেরা পশ্চিমা ঋণদাতাদের কাছে ডলারনির্ভর ঋণে আবদ্ধ। তবে বন্ডের মাধ্যমে এই দেশগুলো চীনকে ডলারের বিকল্প হিসেবে চীনা মুদ্রা ইউয়ান, কৌশলগত সম্পদ বা বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে ঋণ শোধ করতে পারে।
চীন বন্ড বিক্রি করার উদ্যোগটি এমন এক সময়ে নিয়েছে যখন ট্রাম্প চীনের আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং শৌওয়েন বলেছেন, নতুন শুল্ক আরোপ করলে তা মার্কিন ভোক্তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। স্থিতিশীল বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশ্লেষক ডেভিড স্টিনসন মত দিয়েছেন, ট্রাম্পকে হুমকি দিতেই যে চীন মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে, বিষয়টি এমন নয়। বরং এটি চীনের ডলার আয়ের সম্ভাব্য হ্রাসের কারণে তাদের মজুত বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।
যা হোক, চীনের নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বার্তা হয়েছে। বার্তাটি হলো—ডলারনির্ভর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীন আরও প্রভাবশালী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
৯ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
১২ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ট্রাম্প ও তাঁর দলের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয়ভারের বড় অংশ বহনে রাজি নয়।
১৭ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ওই ঘটনাকে ‘ওভাল অফিসে জেলেনস্কির ওপর নির্মম তিরস্কার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ওই কোকেনসেবী ভাঁড়ের মুখের ওপর সত্যিটা বলে দিয়েছেন যে, কিয়েভ সরকার তৃতীয়...
২ দিন আগে