Ajker Patrika

সুইডেন ও ডেনমার্কে কেন কোরআন নিয়ে সংকট 

ডয়চে ভেলে
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ২০: ২১
সুইডেন ও ডেনমার্কে কেন কোরআন নিয়ে সংকট 

ডেনমার্ক ও সুইডেনের ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কয়েকটি কপি পুড়িয়েছেন৷এতে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ৷ তারা এমন কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ওই দেশ দুটির প্রতি দাবি জানিয়েছে ৷

দুই দেশের সরকারই কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি বন্ধ করার জন্য নতুন আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে৷ 

কিন্তু এমন পরিকল্পনার সমালোচকেরা বলছেন, দুই দেশের সংবিধানে বাক্স্বাধীনতা দেওয়া আছে এবং সেটি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ ওই স্বাধীনতাকে খর্ব করবে৷ 

সুইডেনে গত এক মাসে অন্তত তিনবার কোরআন পোড়ানোর পেছনে ছিলেন ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা ৷ তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চান এবং কোরআনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান৷ 

মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন

গত সপ্তাহে ডেনমার্কে অন্তত ১০ কপি কোরান পোড়ানো হয়েছে ৷ এই নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে পাকিস্তানেওএকই সময়ে ডেনমার্কে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি চরম ডানপন্থী গোষ্ঠী তাদের মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়িয়েছে ৷ নরডিক দেশগুলোতে ‘ইসলামাইজেশন' চলছে বলে তারা মনে করেন৷ 

গত সপ্তাহে ডেনমার্কে অন্তত ১০ কপি কোরআন পোড়ানো হয়েছে৷ ড্যানিশ-সুইডিশ চরম ডানপন্থী অ্যাকটিভিস্ট রাসমুস পালুডেন ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত কোরআন পুড়িয়ে আসছেন ৷ তিনি বলেন, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করায় তিনি তুরস্কের ওপর ক্ষিপ্ত৷ 

বিশ্বের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন ৷ দেশ দুটি বলেছে, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তারা কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে৷ 

ড্যানিশ ও সুইডিশ সরকার বলছে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি ইতিমধ্যে কিছুটা সীমিত অবস্থায় আছে ৷ কারণ জাতি ও লিঙ্গ বিচারে কাউকে অবমাননা করা অবৈধ৷

সুইডেনের ঘটনায় প্রতিবাদ বাংলাদেশেওতবে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করা যায় এমন কোনো আইন ওই দুই দেশে নেই ৷ সুইডেন ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে ৷ ডেনমার্ক করেছে ২০১৭ সালে৷ 

সুইডেনে বিক্ষোভের স্থলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে ৷ আর ডেনমার্কে বিক্ষোভের বিষয়টি শুধু পুলিশকে অবহিত করলেই চলে৷ 

জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আইনে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন ৷ তবে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো অবৈধ করার বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের নতুন সতর্কতা

কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

নিহত ১১, আহত ৫০, ভারতের সেই মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বিশ্বকাপ

এক টন কয়লাও ইসরায়েলে যাবে না, নির্দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত