আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তির ফলে বৈশ্বিক শস্য ও তেলবীজ বাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শস্য ও কৃষিপণ্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও রাশিয়ার মতো সরবরাহকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ তাদের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক কমানোর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্ধিত কৃষিপণ্য কেনার বিষয়ে একমত হয়েছে। আঞ্চলিক শস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডও তাদের নিজ নিজ চুক্তির অধীনে খাদ্যশস্যের ক্রয় বাড়াতে পারে। সিডনির আইকন কমোডিটিজের পরিচালক ওলে হাউ বলেন, ‘মার্কিন কৃষি রপ্তানি এশিয়ায় স্পষ্টভাবে বাজার দখল করতে চলেছে। বাণিজ্য চুক্তিগুলো একদিকে চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে মার্কিন গম, ভুট্টা ও সয়ামিলের কম দামও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী রপ্তানিকারকদের চেয়ে সস্তা।’
এশিয়া একটি প্রধান খাদ্য আমদানিকারক অঞ্চল এবং এটি বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। জনসংখ্যা ও আয় বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গম, ভুট্টা ও সয়ামিল আমদানির প্রায় ৩০ শতাংশ এশিয়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মার্কিন শস্যের এই ঢেউ প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য মূল্য কমাতে বাধ্য করবে। সেই সঙ্গে নতুন বাজার খুঁজতে গিয়ে দীর্ঘ দূরত্বে শস্য পরিবহনের খরচও বাড়বে।
গত দশকে কৃষ্ণসাগর ও দক্ষিণ আমেরিকার সরবরাহকারীরা এশিয়ার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। ইন্দোনেশিয়ার গম-ময়দা উৎপাদক সমিতির তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে ইন্দোনেশিয়ায় ইউক্রেন, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়ার কারণে মার্কিন গমের হিস্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
সিঙ্গাপুরের দুজন শস্য ব্যবসায়ী জানান, ইন্দোনেশিয়ার আটা-ময়দার কলগুলো গত জুলাই থেকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন মার্কিন গম কিনেছে। দেশটির অ্যাসোসিয়েশনটি শুল্ক কমানোর আলোচনার অংশ হিসেবে বছরে ১০ লাখ টন মার্কিন গম কেনার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ৬ লাখ ৯৩ হাজার টন গম বিক্রি করেছে। অস্ট্রেলিয়া সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার চাহিদার প্রায় এক-চতুর্থাংশ গম সরবরাহ করে। তবে নতুন চুক্তির কারণে কয়েক লাখ টন বিক্রয় হারাতে পারে দেশটি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টন মার্কিন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় কোনো ক্রয় না করলেও ২০ জুলাই বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে বছরে ৭ লাখ টন মার্কিন গম আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভিয়েতনাম পশুখাদ্যের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। দেশটি মার্কিন গম, ভুট্টা ও সয়ামিল আমদানি করবে। গত জুনে ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সেখানকার ফার্মগুলো ২ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে। এর মধ্যে আইওয়া থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে—ভুট্টা, গম, শুকনো পাতনকৃত শস্য (মূলত পশুখাদ্য) ও সয়াবিন খাবার।
দুই সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যবসায়ীর মতে, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনও মার্কিন ভুট্টার প্রধান আমদানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। একজন ব্যবসায়ী জানান, থাইল্যান্ড তাদের বর্তমান কৃষ্ণসাগরের ফিড গম এবং এশিয়ার ভুট্টার বিকল্প হিসেবে ১০ লাখ টনের বেশি মার্কিন ফিড ভুট্টা কিনতে পারে।
মার্কিন সয়াবিন রপ্তানি কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক টিমোথি লোহ বলেন, ‘ফলপ্রসূ বাণিজ্য আলোচনা হয়েছে, যা আমাদের অঞ্চলে মার্কিন পণ্যের বাজারকে শক্তিশালী করার সুযোগ এনে দিয়েছে।’
বর্তমানে কিছু মার্কিন কৃষিপণ্য অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই সপ্তাহে মার্কিন নরম সাদা গম প্রতি টন প্রায় ২৮০ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়েছে, যা একই মানের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের গমের সমান। মার্কিন ভুট্টা দক্ষিণ আমেরিকার পণ্যের চেয়ে প্রতি টনে ১০-১৫ ডলার কম এবং মার্কিন সয়ামিল প্রতিদ্বন্দ্বী সরবরাহকারীদের তুলনায় ৫ ডলার ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তির ফলে বৈশ্বিক শস্য ও তেলবীজ বাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শস্য ও কৃষিপণ্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও রাশিয়ার মতো সরবরাহকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ তাদের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক কমানোর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্ধিত কৃষিপণ্য কেনার বিষয়ে একমত হয়েছে। আঞ্চলিক শস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডও তাদের নিজ নিজ চুক্তির অধীনে খাদ্যশস্যের ক্রয় বাড়াতে পারে। সিডনির আইকন কমোডিটিজের পরিচালক ওলে হাউ বলেন, ‘মার্কিন কৃষি রপ্তানি এশিয়ায় স্পষ্টভাবে বাজার দখল করতে চলেছে। বাণিজ্য চুক্তিগুলো একদিকে চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে মার্কিন গম, ভুট্টা ও সয়ামিলের কম দামও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী রপ্তানিকারকদের চেয়ে সস্তা।’
এশিয়া একটি প্রধান খাদ্য আমদানিকারক অঞ্চল এবং এটি বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। জনসংখ্যা ও আয় বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গম, ভুট্টা ও সয়ামিল আমদানির প্রায় ৩০ শতাংশ এশিয়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মার্কিন শস্যের এই ঢেউ প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য মূল্য কমাতে বাধ্য করবে। সেই সঙ্গে নতুন বাজার খুঁজতে গিয়ে দীর্ঘ দূরত্বে শস্য পরিবহনের খরচও বাড়বে।
গত দশকে কৃষ্ণসাগর ও দক্ষিণ আমেরিকার সরবরাহকারীরা এশিয়ার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। ইন্দোনেশিয়ার গম-ময়দা উৎপাদক সমিতির তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে ইন্দোনেশিয়ায় ইউক্রেন, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়ার কারণে মার্কিন গমের হিস্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
সিঙ্গাপুরের দুজন শস্য ব্যবসায়ী জানান, ইন্দোনেশিয়ার আটা-ময়দার কলগুলো গত জুলাই থেকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন মার্কিন গম কিনেছে। দেশটির অ্যাসোসিয়েশনটি শুল্ক কমানোর আলোচনার অংশ হিসেবে বছরে ১০ লাখ টন মার্কিন গম কেনার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ৬ লাখ ৯৩ হাজার টন গম বিক্রি করেছে। অস্ট্রেলিয়া সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার চাহিদার প্রায় এক-চতুর্থাংশ গম সরবরাহ করে। তবে নতুন চুক্তির কারণে কয়েক লাখ টন বিক্রয় হারাতে পারে দেশটি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টন মার্কিন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় কোনো ক্রয় না করলেও ২০ জুলাই বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে বছরে ৭ লাখ টন মার্কিন গম আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভিয়েতনাম পশুখাদ্যের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। দেশটি মার্কিন গম, ভুট্টা ও সয়ামিল আমদানি করবে। গত জুনে ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সেখানকার ফার্মগুলো ২ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে। এর মধ্যে আইওয়া থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে—ভুট্টা, গম, শুকনো পাতনকৃত শস্য (মূলত পশুখাদ্য) ও সয়াবিন খাবার।
দুই সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যবসায়ীর মতে, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনও মার্কিন ভুট্টার প্রধান আমদানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। একজন ব্যবসায়ী জানান, থাইল্যান্ড তাদের বর্তমান কৃষ্ণসাগরের ফিড গম এবং এশিয়ার ভুট্টার বিকল্প হিসেবে ১০ লাখ টনের বেশি মার্কিন ফিড ভুট্টা কিনতে পারে।
মার্কিন সয়াবিন রপ্তানি কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক টিমোথি লোহ বলেন, ‘ফলপ্রসূ বাণিজ্য আলোচনা হয়েছে, যা আমাদের অঞ্চলে মার্কিন পণ্যের বাজারকে শক্তিশালী করার সুযোগ এনে দিয়েছে।’
বর্তমানে কিছু মার্কিন কৃষিপণ্য অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই সপ্তাহে মার্কিন নরম সাদা গম প্রতি টন প্রায় ২৮০ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়েছে, যা একই মানের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের গমের সমান। মার্কিন ভুট্টা দক্ষিণ আমেরিকার পণ্যের চেয়ে প্রতি টনে ১০-১৫ ডলার কম এবং মার্কিন সয়ামিল প্রতিদ্বন্দ্বী সরবরাহকারীদের তুলনায় ৫ ডলার ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিজয়ের ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে। বেইজিং, মস্কো ও ওয়াশিংটনে আয়োজিত বহুল আলোচিত বিজয়-উদ্যাপন মিছিলগুলো যেন বন্ধুত্ব আর ধারাবাহিকতার প্রতীকী চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু এই জাঁকজমকের আড়ালে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে যুদ্ধপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা, যা একসময় বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার নিশ্চিত করেছেন, তিনি লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে। তারা জানায়, মার্কিন প্রশাসনের কৌশল মূলত
৯ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর আর্থিক শক্তি অনেকটাই তাদের তেলের ওপর নির্ভরশীল। আর রাশিয়ার এই তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত। বর্তমানে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া থেকে। ওয়াশিংটনের যুক্তি, রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ হলে মস্কোর আর্থিক সামর্থ্য কমবে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি
২১ ঘণ্টা আগেকিন্তু এখন সেই সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কাবুলে হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের পারস্পরিক প্রত্যাশার অমিল এবং একে অপরের সামর্থ্যের প্রতি অসম্মান—এই দুই কারণে আগের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।
১ দিন আগে