Ajker Patrika

দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ /গণ-অভ্যুত্থানে বিদেশি অর্থায়ন তত্ত্বের অসারতা

শাহাদাত স্বাধীন
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ফাইল ছবি
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ফাইল ছবি

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সমাজ একটি ক্রমবর্ধমান দমবন্ধ রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি গভীর হতাশা জমা হচ্ছিল–ক্রোধ সর্বদা দৃশ্যমান না হলেও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির আড়ালে সর্বদা উপস্থিত ছিল।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র কঠোর নিয়ন্ত্রণের মডেলে চলছিল। শেখ হাসিনার সরকার ভিন্নমত দমনে দ্বিধা করেনি, যা বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুমকে স্বাভাবিক করে তুলেছিল। হাসিনার শাসনামলে ১ হাজার ৯২৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ১ হাজার ৬৭৬টি গুমের অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধী, কর্মী এবং ভিন্ন মতাদর্শের সমালোচকদের ওপর নিষ্ঠুর দমনপীড়ন চালানো হয়েছিল। অনেককে গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়েছিল, যেগুলো ‘আয়না ঘর’ নামে কুখ্যাত।

হাসিনার নিয়ন্ত্রণ শুধু ভৌত জগতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ভার্চুয়াল জগতেও বিস্তৃত ছিল। ২০১৮ সালের একপক্ষীয় নির্বাচনের আগে, তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করেন, যা সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের লক্ষ্য করে প্রণীত। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই আইনের অধীনে ১ হাজার ১০৯টি মামলা করা হয়, যার ফলে ১৬১ জন বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং ১৩৮ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হন।

২০২৪ সালে ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকদের নেতৃত্বে একটি গণ–অভ্যুত্থান শুরু হয়। ৫ আগস্ট প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এর মাধ্যমে তাঁর প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তবে তাঁর প্রস্থান এসেছে অনেক প্রাণের বিনিময়ে। এই সময় সরকারের দমনপীড়নে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং ১৯ হাজার মানুষ আহত হয়। শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে হাসিনার সরকার মরিয়া চেষ্টা করেছিল।

বিপ্লব প্রায়শই একটি অস্থির শূন্যতা রেখে যায়, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। পরবর্তীতে বিপ্লবের কৃতিত্বের দাবি নিয়ে গোষ্ঠীগত বিরোধ দেখা দেয়। মূলত প্রতিবিপ্লব এবং গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার মুহূর্তে এমনটি হয়েছে। সিরিয়ার সংঘাত এর একটি মর্মান্তিক অনুস্মারক। কীভাবে আরব বসন্তের মতো বিপ্লবগুলো দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যেতে পারে সেটিও স্মরণযোগ্য।

৮ আগস্ট, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এই সরকার: দেশের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা, শাসন ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা এবং তরুণ–যুবকদের আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা–এর প্রাথমিক অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে। এই বাধা সত্ত্বেও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহযুদ্ধ বা সম্প্রদায়গত সংঘাতের সম্ভাবনা রোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। এই অর্জন উপেক্ষা করা যায় না।

বৈশ্বিক শক্তি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত স্বীকৃতি এবং সমর্থন সত্ত্বেও, ভারত শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব দেখিয়েছে। এটি নয়াদিল্লির ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের ধারাবাহিকতাকেই চিহ্নিত করে, যারা দীর্ঘদিন ধরে হাসিনার প্রতি অটল সমর্থন দিয়ে এসেছে। তাঁর (শেখ হাসিনা) বাবার যুগ থেকে ভারতের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল, এমনকি ১৯৭৫ সালে তাঁর পরিবার খুন হওয়ার পর ছয় বছর সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর আওয়ামী লীগের ১ হাজারের বেশি নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ঢাকায় ক্ষমতার এই আকস্মিক পরিবর্তন নয়াদিল্লির জন্য একটি বড় বৈদেশিক নীতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া আউটলেটগুলো বাংলাদেশের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদেশি হস্তক্ষেপের গুঞ্জন

ভূ–রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে, পশ্চিমা–সমর্থিত শাসন পরিবর্তনের অভিযোগ প্রচারিত হতে শুরু করে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সাবেক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের রাজনীতিকে ‘অস্থিতিশীল’ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। তবে, এই ধরনের দাবিগুলো মূলত অভ্যুত্থানের স্বাভাবিক (অরগানিক) প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে। যারা ‘মনসুন বিপ্লব’ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, এটি দীর্ঘদিন ধরে জমছিল—বছরের পর বছর ধরে চলা পদ্ধতিগত নিপীড়ন, যুব আন্দোলন এবং সম্মিলিত চাপা ক্ষোভের মধ্যে এর শিকড় প্রোথিত ছিল।

এই আন্দোলন কোনো বিদেশি অর্থায়নে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে ঘটেনি। এটি বছরের পর বছর ধরে চলা দমনমূলক শাসন এবং হাসিনার নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে গড়ে ওঠা মতাদর্শগত ঐক্যের ফল। এই আন্দোলনের বীজ ২০১৮ সালেই বপন করা হয়েছিল, যখন দুটি উল্লেখযোগ্য যুব আন্দোলন—কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন—রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। যদিও হাসিনা গ্রেপ্তার এবং ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এই আন্দোলনগুলো দমন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে সেগুলো ২০২৪ সালের ঘটনার ভিত্তি তৈরি করেছিল।

২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া স্কুলছাত্ররা ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হয়ে উঠেছিল, যারা সংগঠিত করা, রাষ্ট্রীয় নজরদারি এড়ানো এবং একটি কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। মনসুন বিপ্লব শুরু হওয়ার সময়, তারা অতীতের ভুলগুলো থেকে শিখেছিল এবং নিশ্চিত করেছিল যে তাদের আন্দোলনের ঐক্য সহজে ভেঙে দেওয়া যাবে না।

বিক্ষোভগুলো মূলত অরগানিক ছিল, মানুষ স্বাধীনভাবে সংগঠিত হচ্ছিল। বিক্ষোভকারীরা বিদেশি আর্থিক সহায়তার পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার এবং স্থানীয় সংগঠনের ওপর নির্ভর করেছিল। তা ছাড়া, আন্দোলনটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি পেয়েছিল শুধু হাসিনা প্রশাসন হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো এবং দেহ পোড়ানোর মতো চরম বলপ্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর পর। এটি স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে আন্দোলনটি বিদেশি হস্তক্ষেপের পরিবর্তে ন্যায়বিচারের সম্মিলিত দাবির দ্বারা চালিত হয়েছিল।

আন্দোলনের বিস্তার এতটাই বিশাল ছিল যে বিদেশি কুশীলবদের কয়েকশ ডলার দিয়ে এটি সংগঠিত করার ধারণা অবান্তর। এটি ছিল একটি জনগণের আন্দোলন—যা বাংলাদেশি সমাজের প্রকৃত দাবির দ্বারা চালিত হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত স্বৈরশাসকের পতনের মাধ্যমে এর পরিণতি ঘটে।

মাইক বেনজ বিতর্ক

বিদেশি হস্তক্ষেপের দাবিগুলো একটি সন্দেহজনক উৎস থেকে এসেছে। এগুলোতে বেশ কয়েকটি তথ্যগত ভুল রয়েছে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তা মাইক বেনজ অভিযোগ করেন, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) গত বছর বাংলাদেশের শাসন পরিবর্তনে একটি ভূমিকা রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত রক্ষণশীল পডকাস্টার টাকার কার্লসনের সঙ্গে কথা বলার সময়, বেনজ দাবি করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল, কারণ তিনি চীনের প্রভাব মোকাবিলায় এই অঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছিলেন।

বেনজ দাবি করেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ইউএসএআইডি দ্বারা সমর্থিত যুক্তরাষ্ট্র–ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) বাংলাদেশের রাজনীতিকে ‘অস্থিতিশীল’ করার জন্য কাজ করেছিল। তিনি আরও দাবি করেন, মনসুন বিপ্লব এলজিবিটি কর্মী, জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং ছাত্র সংগঠন দ্বারা চালিত হয়েছিল, যারা ইউএসএআইডি থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল।

আইআরআই হাসিনা–বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল, বেনজের এই দাবি বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশে আইআরআই হাসিনার সরকারের পক্ষে সমীক্ষা প্রকাশের জন্য পরিচিত। ২০১৮ সালে যখন সমগ্র বাংলাদেশ হাসিনার দমনপীড়ন এবং গুমের নৈরাজ্যের মুখোমুখি, তখন ইনস্টিটিউটটি দাবি করেছিল যে,৬৬ শতাংশ বাংলাদেশি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করে। এই বৈধতা ২০১৮ সালে আরেকটি একদলীয় নির্বাচনের জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে সাহায্য করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, অনেক হাসিনা–বিরোধী কর্মী আইআরআইকে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য সমালোচনা করেছেন।

আন্দোলনটি এলজিবিটি কর্মীদের দ্বারা সমর্থিত ছিল, বেনজের এই দাবিও অপ্রমাণিত। বাংলাদেশ একটি গভীরভাবে রক্ষণশীল সমাজ, যেখানে এলজিবিটি অধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এলজিবিটি সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে নিজেকে চিহ্নিত করার ঘটনা এখানে বিরল। এলজিবিটি অধিকারের জন্য আন্দোলন ভারত এবং নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় খুবই কম। সামাজিক এবং আইনি সীমাবদ্ধতাগুলো বিবেচনা করে, এলজিবিটি কর্মীরা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন, এই অসম্ভব।

বাংলাদেশের জাতিগত সংখ্যালঘুরা, যারা জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম, দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংগ্রাম করে আসছে। তাদের সীমিত রাজনৈতিক প্রভাব এবং চলমান প্রান্তিকীকরণের কারণে এটি সম্ভব যে, তারা কোনো গণ–আন্দোলনের মূল অংশীদার হতে পারে।

বেনজের যুক্তি এই বাস্তবতাগুলোকে উপেক্ষা করে। পরিবর্তে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক আলাপকে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে।

বেনজের এসব যুক্তিকে বরং একটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এজেন্ডা উপস্থাপনের পাঁয়তারা বলেই মনে হয়। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঠিক বিবরণ উপস্থাপন করে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হওয়া সত্ত্বেও এলজিবিটি বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল শ্রোতাদের কাছে আবেদন তৈরির চেষ্টা করছেন বলে মনে হয়। তিনি ইউএসএআইডির সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিয়েছিলেন এমন সময়ে যখন ট্রাম্প প্রশাসন এই সংস্থার ওপর খড়গহস্ত হয়েছেন। বেনজের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে, যার লক্ষ্য শ্রোতা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মনোযোগ আকর্ষণ।

বাংলাদেশের মনসুন বিপ্লবের পেছনের বাস্তবতা

২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে বাংলাদেশের ঘটনাগুলো কোনো বিদেশি অর্থায়নে ষড়যন্ত্রের ফলাফল ছিল না। বরং এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণ–আন্দোলন যাতে ছাত্র, নাগরিক, নারী, সংখ্যালঘু এবং সমাজের সব স্তরের মানুষ জড়িত ছিল। এই আন্দোলনের পেছনের কারণ ছিল হাসিনা প্রশাসনের প্রতি গভীর হতাশা, এতে কোনো বহিরাগত প্রভাব ছিল না।

সামান্য বিদেশি টাকায় এত বড় আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করা মানে হলো সেসব মানুষের ত্যাগ এবং সংগ্রামকে খাটো করা, যারা তাঁদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন।

বেনজের দাবিগুলো আন্দোলনের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাঁর বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রকৃত গতিশীলতা প্রতিফলিত করার পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক আলাপ পরিবেশন করার সঙ্গে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয়। তবুও, এই আলাপ কিছু পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে মিলে যাওয়ায়, বেনজের মন্তব্যগুলো যোগ্যতার চেয়ে বেশি মনোযোগ পেয়েছে।

লেখক:

শাহাদাত স্বাধীন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্কলার, বর্তমানে নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গবেষণা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত