অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর গতকাল রোববার লন্ডনে এক হয়েছিলেন ইউরোপের নেতারা। এই বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের শিকার হওয়া দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য।
এর আগে জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফর একটি হতাশাজনক পরিণতি পেয়েছিল। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে আপসমূলক শান্তিচুক্তির জন্য চাপ দেন। ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না এবং ইউরোপের দেশগুলোকেই সামরিক দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—ইউরোপ কি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৯ সালে ন্যাটো সামরিক জোট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায় ইউরোপে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ হাজার সেনা স্থায়ীভাবে মোতায়েন ছিল। এ ছাড়া ১০ হাজার মার্কিন সেনা পোল্যান্ডে রোটেশনাল পদ্ধতিতে মোতায়েন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক বাজেট (২০২৪ সালে যা ছিল ৮৬০ বিলিয়ন ডলার) ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত সামরিক ব্যয়ের দ্বিগুণের বেশি।
ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে মোট ২০ লাখ সক্রিয় সেনা রয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কের আছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৪ লাখ ৮১ হাজার সেনা এবং পোল্যান্ডের আছে ২ লাখ ১৬ হাজার। আর ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের রয়েছে যথাক্রমে—২ লাখ ৫ হাজার, ১ লাখ ৮৬ হাজার এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার সেনা।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউরোপ থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেয়, তবে ইউরোপকে বড় ধরনের সামরিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। অর্থনৈতিক থিংক ট্যাংক ব্রুগেলের মতে, ইউরোপকে অন্তত ৫০টি নতুন ব্রিগেড গঠন করতে হবে।
বিবিসির তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নিষ্ক্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপের দেশগুলো ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের প্রতিরক্ষা খরচ জিডিপির ২.৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানিও তার সামরিক খাতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করেছে। ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য জার্মানির ভবিষ্যৎ বার্ষিক বাজেট ৮৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পরই ইউরোপের ন্যাটো সদস্যরা প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বর্তমানে ৩০টি ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যের মধ্যে ২২টি দেশ জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করছে।
এদিকে রাশিয়া বরাবরই ন্যাটোর সম্প্রসারণকে ইউক্রেনে আক্রমণের একটি কারণ হিসেবে দেখিয়ে আসছে। ১৯৪৯ সালে ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত ন্যাটো এখন ৩২টি সদস্যে পরিণত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৬টি দেশ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখা উচিত। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত করা হয়, তবে এটি ইউরোপের নিরাপত্তা পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলবে।’
ন্যাটো সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার অনুযায়ী—ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে ২০ লাখ সেনার পাশাপাশি রয়েছে ৭ হাজার যুদ্ধবিমান, ৬ হাজার ৮০০ ট্যাংক, ছয়টি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজসহ ২ হাজার ১৭০টি সামরিক জাহাজ। বিপরীতে রাশিয়ার আছে ১৩ লাখ ২০ হাজার সক্রিয় সেনা, ৪ হাজার ২৯২টি যুদ্ধবিমান, ৫ হাজার ৭৫০টি ট্যাংক এবং ৪৪৯টি নৌযান। বর্তমানে দেশটি বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া, জর্জিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল এবং মলদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইউরোপের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই পিছু হটে, তাহলে ইউরোপের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাজা কালাস বলেন, ‘সামরিক সক্ষমতায় বিনিয়োগ না করা হলে এটি আক্রমণকারীদের জন্য একটি বিপজ্জনক বার্তা পাঠাবে।’
ইউরোপ কি এককভাবে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পারবে? নানা সমীকরণের হিসাব মিলিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অস্পষ্ট। তবে এটি স্পষ্ট যে ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর গতকাল রোববার লন্ডনে এক হয়েছিলেন ইউরোপের নেতারা। এই বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের শিকার হওয়া দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য।
এর আগে জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফর একটি হতাশাজনক পরিণতি পেয়েছিল। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে আপসমূলক শান্তিচুক্তির জন্য চাপ দেন। ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না এবং ইউরোপের দেশগুলোকেই সামরিক দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—ইউরোপ কি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৯ সালে ন্যাটো সামরিক জোট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সোভিয়েত রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায় ইউরোপে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ হাজার সেনা স্থায়ীভাবে মোতায়েন ছিল। এ ছাড়া ১০ হাজার মার্কিন সেনা পোল্যান্ডে রোটেশনাল পদ্ধতিতে মোতায়েন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক বাজেট (২০২৪ সালে যা ছিল ৮৬০ বিলিয়ন ডলার) ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত সামরিক ব্যয়ের দ্বিগুণের বেশি।
ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে মোট ২০ লাখ সক্রিয় সেনা রয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কের আছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৪ লাখ ৮১ হাজার সেনা এবং পোল্যান্ডের আছে ২ লাখ ১৬ হাজার। আর ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের রয়েছে যথাক্রমে—২ লাখ ৫ হাজার, ১ লাখ ৮৬ হাজার এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার সেনা।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউরোপ থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেয়, তবে ইউরোপকে বড় ধরনের সামরিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। অর্থনৈতিক থিংক ট্যাংক ব্রুগেলের মতে, ইউরোপকে অন্তত ৫০টি নতুন ব্রিগেড গঠন করতে হবে।
বিবিসির তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নিষ্ক্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপের দেশগুলো ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের প্রতিরক্ষা খরচ জিডিপির ২.৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জার্মানিও তার সামরিক খাতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করেছে। ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য জার্মানির ভবিষ্যৎ বার্ষিক বাজেট ৮৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হতে পারে।
এক দশকের বেশি সময় আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পরই ইউরোপের ন্যাটো সদস্যরা প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বর্তমানে ৩০টি ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যের মধ্যে ২২টি দেশ জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করছে।
এদিকে রাশিয়া বরাবরই ন্যাটোর সম্প্রসারণকে ইউক্রেনে আক্রমণের একটি কারণ হিসেবে দেখিয়ে আসছে। ১৯৪৯ সালে ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত ন্যাটো এখন ৩২টি সদস্যে পরিণত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৬টি দেশ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখা উচিত। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত করা হয়, তবে এটি ইউরোপের নিরাপত্তা পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলবে।’
ন্যাটো সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার অনুযায়ী—ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে ২০ লাখ সেনার পাশাপাশি রয়েছে ৭ হাজার যুদ্ধবিমান, ৬ হাজার ৮০০ ট্যাংক, ছয়টি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজসহ ২ হাজার ১৭০টি সামরিক জাহাজ। বিপরীতে রাশিয়ার আছে ১৩ লাখ ২০ হাজার সক্রিয় সেনা, ৪ হাজার ২৯২টি যুদ্ধবিমান, ৫ হাজার ৭৫০টি ট্যাংক এবং ৪৪৯টি নৌযান। বর্তমানে দেশটি বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া, জর্জিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল এবং মলদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইউরোপের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই পিছু হটে, তাহলে ইউরোপের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাজা কালাস বলেন, ‘সামরিক সক্ষমতায় বিনিয়োগ না করা হলে এটি আক্রমণকারীদের জন্য একটি বিপজ্জনক বার্তা পাঠাবে।’
ইউরোপ কি এককভাবে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পারবে? নানা সমীকরণের হিসাব মিলিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অস্পষ্ট। তবে এটি স্পষ্ট যে ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ট্রাম্প ও তাঁর দলের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয়ভারের বড় অংশ বহনে রাজি নয়।
১২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ওই ঘটনাকে ‘ওভাল অফিসে জেলেনস্কির ওপর নির্মম তিরস্কার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ওই কোকেনসেবী ভাঁড়ের মুখের ওপর সত্যিটা বলে দিয়েছেন যে, কিয়েভ সরকার তৃতীয়...
১ দিন আগেবিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এটি সাধারণত স্বৈরশাসন, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা বা ব্যর্থ গণতন্ত্রের পতনের পর গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে