অনলাইন ডেস্ক
দিল্লিতে এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আম আদমি পার্টির (এএপি) দীর্ঘ ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে দলটি। বিশ্লেষকেরা বিজেপির বিপরীতে এএপির ভরাডুবির কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। মোটাদাগে পাঁচটি বিষয় সামনে এসেছে, বিশেষজ্ঞরা যেগুলোকে দলটির পরাজয়ের কারণ হিসেবে মনে করছেন।
আম আদমি পার্টির নেতারা একসময় ‘নতুন রাজনীতির’ অঙ্গীকার নিয়ে সামনে এসেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। অথচ তাঁরাই আজ নিজেদের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিযোগের ভারে নতজানু। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ কিদওয়াই এএপির পরাজয়ের পাঁচটি প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
১. প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জনগণকে নানা আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বিশেষ করে তিনি নারী ভোটারদের জন্য বিদ্যুৎ, পানি, পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
কিদওয়াই বলেন, ‘কেজরিওয়াল প্রচারের সময় এমন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলো আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে জনগণ ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তাঁর অনেক প্রতিশ্রুতিই ফাঁকা বুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সোরেন, ওমর আবদুল্লাহ বা সিদ্দারামাইয়া—এই নেতাদের মতো কেজরিওয়াল পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি।’
২. মধ্যবিত্তের সমর্থন হারানো
দিল্লির মধ্যবিত্ত শ্রেণি একসময় এএপিকে সমর্থন দিয়েছিল, বিশেষ করে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু এবার তারা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। এ বিষয়ে কিদওয়াই বলেন, ‘দিল্লির মহাশক্তি মধ্যবিত্ত শ্রেণি আগে বিজেপিকে কেন্দ্রে এবং এএপিকে রাজ্যে সমর্থন দিয়েছিল। এবার তারা এএপির পাশে থাকেনি, ফলে দলটির ভোট ৯ শতাংশ কমেছে। হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, সরকারি কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের মতো শিক্ষিত পেশাজীবীরা কেজরিওয়ালের আত্ম দুঃখবোধের রাজনীতি, সংঘাতমূলক অবস্থান এবং দুর্নীতির অভিযোগের কারণে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
৩. এএপি-কংগ্রেস জোট না হওয়া
কংগ্রেস ও এএপি দিল্লিতে জোট গড়তে ব্যর্থ হয়েছে, যা বিজেপির জন্য পরিস্থিতিকে আরও অনুকূল করেছে। কিদওয়াই বলেন, ‘৬৫টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, অর্থাৎ তাদের ভোট খুবই কম ছিল। কিন্তু এই স্বল্পসংখ্যক ভোটও এএপির ক্ষতি করেছে। রাজনীতিতে ২ যোগ ২ সব সময় ৪ হয় না। কেজরিওয়ালের পরাজয়ের ব্যবধান ও সন্দীপ দীক্ষিত যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন, তা দেখলেই স্পষ্ট হয়।’
৪. বিদ্যমান নাগরিক সমস্যা এএপির বিরুদ্ধে গেছে
২০২২ সালে দিল্লি পৌর করপোরেশন (এমসিডি) নির্বাচনে এএপি জয় পেয়েছিল। কিন্তু এরপর নাগরিক জীবনের সমস্যাগুলো জনজীবনে ফিরে আসে। কিদওয়াই বলেন, ‘দিল্লির বেহাল রাস্তা, অপরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত পানি ও নিকাশি সমস্যার মতো নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ ছিল। যদিও এসব সমস্যা পৌর করপোরেশনের আওতাভুক্ত, কিন্তু সাধারণ মানুষ দিল্লি সরকারকেই দায়ী করেছে। ফলে কেজরিওয়াল সরকার সব দোষের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’
৫. দুর্নীতির অভিযোগ ও ‘শীশ মহল’ বিতর্ক
দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এএপির বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু ‘শীশ মহল’ বিতর্ক কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত হেনেছে। কিদওয়াই বলেন, ‘কেজরিওয়াল সব সময় নিজেকে সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতেন। কিন্তু যখন শীশ মহল বিতর্ক সামনে এল, তখন তা তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ক্ষতি করে। তিনি অন্যান্য অভিযোগের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, কিন্তু শীশ মহল কাণ্ডে তিনি স্বচ্ছতা দেখাতে পারেননি। যদি এটি নির্দোষ কিছু হতো, তবে তিনি জনগণের জন্য তা খুলে দিতেন।’
আম আদমি পার্টির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেজরিওয়ালের একসময়ের রাজনৈতিক সহযোগী প্রশান্ত ভূষণও রশিদ কিদওয়াইয়ের মতোই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বে আম আদমি পার্টির ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে পরাজয়ের কারণ হিসেবে কেজরিওয়ালের ‘দম্ভ ও প্রচারণা’ এবং ‘বিকল্প রাজনীতির ধারণা থেকে সরে আসা’কে দায়ী করেছেন।
দলটির সাবেক নেতা ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই পরাজয়কে বিকল্প রাজনীতির স্বপ্ন দেখাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এএপি গঠিত হয়েছিল স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনীতির জন্য, কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল এটিকে দ্রুতই একনায়কতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও দুর্নীতিগ্রস্ত দলে পরিণত করেন। তিনি লোকপালের দাবি ত্যাগ করেন এবং দলের নিজস্ব লোকপালকে সরিয়ে দেন।’
প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, ‘কেজরিওয়াল নিজের জন্য ৪৫ কোটি টাকায় শীশ মহল তৈরি করেন এবং বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা শুরু করেন। তিনি এএপি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির ৩৩টি বিস্তারিত নীতিগত প্রতিবেদন বাতিল করেন, এই বলে যে—সময় এলে সুবিধাজনক নীতি গ্রহণ করা হবে।’
প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, ‘তিনি মনে করতেন, দম্ভ ও প্রচারের মাধ্যমে রাজনীতি করা সম্ভব।’ এই হারই আম আদমি পার্টির রাজনৈতিক যাত্রার শেষের সূচনা। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘এটাই এএপির পতনের সূচনা।’
স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘এএপির এই পরাজয় শুধু দলের জন্য নয়, বরং ১০-১২ বছর আগে যারা দেশে বিকল্প রাজনীতির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের সবার জন্য একটি বড় ধাক্কা।’
যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘এটি শুধু এএপির জন্য নয়, বরং দলটিকে সমর্থন করা সব রাজনৈতিক দলের জন্য এবং দেশের সমগ্র বিরোধী শিবিরের জন্যও একটি বড় ধাক্কা।’ তিনি অভিযোগ করেন, দলটি ক্ষমতায় আসার পরই বিকল্প রাজনীতি ত্যাগ করে শুধু কল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে তার সীমা ছাড়িয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
দিল্লিতে এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আম আদমি পার্টির (এএপি) দীর্ঘ ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে দলটি। বিশ্লেষকেরা বিজেপির বিপরীতে এএপির ভরাডুবির কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। মোটাদাগে পাঁচটি বিষয় সামনে এসেছে, বিশেষজ্ঞরা যেগুলোকে দলটির পরাজয়ের কারণ হিসেবে মনে করছেন।
আম আদমি পার্টির নেতারা একসময় ‘নতুন রাজনীতির’ অঙ্গীকার নিয়ে সামনে এসেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। অথচ তাঁরাই আজ নিজেদের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিযোগের ভারে নতজানু। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ কিদওয়াই এএপির পরাজয়ের পাঁচটি প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
১. প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জনগণকে নানা আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বিশেষ করে তিনি নারী ভোটারদের জন্য বিদ্যুৎ, পানি, পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
কিদওয়াই বলেন, ‘কেজরিওয়াল প্রচারের সময় এমন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলো আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে জনগণ ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তাঁর অনেক প্রতিশ্রুতিই ফাঁকা বুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সোরেন, ওমর আবদুল্লাহ বা সিদ্দারামাইয়া—এই নেতাদের মতো কেজরিওয়াল পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি।’
২. মধ্যবিত্তের সমর্থন হারানো
দিল্লির মধ্যবিত্ত শ্রেণি একসময় এএপিকে সমর্থন দিয়েছিল, বিশেষ করে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু এবার তারা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। এ বিষয়ে কিদওয়াই বলেন, ‘দিল্লির মহাশক্তি মধ্যবিত্ত শ্রেণি আগে বিজেপিকে কেন্দ্রে এবং এএপিকে রাজ্যে সমর্থন দিয়েছিল। এবার তারা এএপির পাশে থাকেনি, ফলে দলটির ভোট ৯ শতাংশ কমেছে। হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, সরকারি কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের মতো শিক্ষিত পেশাজীবীরা কেজরিওয়ালের আত্ম দুঃখবোধের রাজনীতি, সংঘাতমূলক অবস্থান এবং দুর্নীতির অভিযোগের কারণে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
৩. এএপি-কংগ্রেস জোট না হওয়া
কংগ্রেস ও এএপি দিল্লিতে জোট গড়তে ব্যর্থ হয়েছে, যা বিজেপির জন্য পরিস্থিতিকে আরও অনুকূল করেছে। কিদওয়াই বলেন, ‘৬৫টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, অর্থাৎ তাদের ভোট খুবই কম ছিল। কিন্তু এই স্বল্পসংখ্যক ভোটও এএপির ক্ষতি করেছে। রাজনীতিতে ২ যোগ ২ সব সময় ৪ হয় না। কেজরিওয়ালের পরাজয়ের ব্যবধান ও সন্দীপ দীক্ষিত যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন, তা দেখলেই স্পষ্ট হয়।’
৪. বিদ্যমান নাগরিক সমস্যা এএপির বিরুদ্ধে গেছে
২০২২ সালে দিল্লি পৌর করপোরেশন (এমসিডি) নির্বাচনে এএপি জয় পেয়েছিল। কিন্তু এরপর নাগরিক জীবনের সমস্যাগুলো জনজীবনে ফিরে আসে। কিদওয়াই বলেন, ‘দিল্লির বেহাল রাস্তা, অপরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত পানি ও নিকাশি সমস্যার মতো নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ ছিল। যদিও এসব সমস্যা পৌর করপোরেশনের আওতাভুক্ত, কিন্তু সাধারণ মানুষ দিল্লি সরকারকেই দায়ী করেছে। ফলে কেজরিওয়াল সরকার সব দোষের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’
৫. দুর্নীতির অভিযোগ ও ‘শীশ মহল’ বিতর্ক
দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এএপির বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু ‘শীশ মহল’ বিতর্ক কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত হেনেছে। কিদওয়াই বলেন, ‘কেজরিওয়াল সব সময় নিজেকে সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতেন। কিন্তু যখন শীশ মহল বিতর্ক সামনে এল, তখন তা তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ক্ষতি করে। তিনি অন্যান্য অভিযোগের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, কিন্তু শীশ মহল কাণ্ডে তিনি স্বচ্ছতা দেখাতে পারেননি। যদি এটি নির্দোষ কিছু হতো, তবে তিনি জনগণের জন্য তা খুলে দিতেন।’
আম আদমি পার্টির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেজরিওয়ালের একসময়ের রাজনৈতিক সহযোগী প্রশান্ত ভূষণও রশিদ কিদওয়াইয়ের মতোই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বে আম আদমি পার্টির ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে পরাজয়ের কারণ হিসেবে কেজরিওয়ালের ‘দম্ভ ও প্রচারণা’ এবং ‘বিকল্প রাজনীতির ধারণা থেকে সরে আসা’কে দায়ী করেছেন।
দলটির সাবেক নেতা ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই পরাজয়কে বিকল্প রাজনীতির স্বপ্ন দেখাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এএপি গঠিত হয়েছিল স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনীতির জন্য, কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল এটিকে দ্রুতই একনায়কতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও দুর্নীতিগ্রস্ত দলে পরিণত করেন। তিনি লোকপালের দাবি ত্যাগ করেন এবং দলের নিজস্ব লোকপালকে সরিয়ে দেন।’
প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, ‘কেজরিওয়াল নিজের জন্য ৪৫ কোটি টাকায় শীশ মহল তৈরি করেন এবং বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা শুরু করেন। তিনি এএপি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির ৩৩টি বিস্তারিত নীতিগত প্রতিবেদন বাতিল করেন, এই বলে যে—সময় এলে সুবিধাজনক নীতি গ্রহণ করা হবে।’
প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, ‘তিনি মনে করতেন, দম্ভ ও প্রচারের মাধ্যমে রাজনীতি করা সম্ভব।’ এই হারই আম আদমি পার্টির রাজনৈতিক যাত্রার শেষের সূচনা। প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘এটাই এএপির পতনের সূচনা।’
স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘এএপির এই পরাজয় শুধু দলের জন্য নয়, বরং ১০-১২ বছর আগে যারা দেশে বিকল্প রাজনীতির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের সবার জন্য একটি বড় ধাক্কা।’
যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘এটি শুধু এএপির জন্য নয়, বরং দলটিকে সমর্থন করা সব রাজনৈতিক দলের জন্য এবং দেশের সমগ্র বিরোধী শিবিরের জন্যও একটি বড় ধাক্কা।’ তিনি অভিযোগ করেন, দলটি ক্ষমতায় আসার পরই বিকল্প রাজনীতি ত্যাগ করে শুধু কল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে তার সীমা ছাড়িয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ২০২৫ সালের এই বাজেটে দিসানায়েকের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চলা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন টেক মোগল ইলন মাস্ক। রাজধানী নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ে শোরুম স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে টেসলা। পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াও জোরদার করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মাস্কের
১ দিন আগেবাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি এবং উচ্চ বৈদেশিক ঋণের চাপে রয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি এসব দেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার সক্ষমতাকে সীমিত করছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বেইজিং সফর শুরু করেছেন। এই দলে রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজের সদস্য, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকেরা রয়েছেন। এই দলটি গতকাল সোমবার ১০ দিনের সফরে চীন গেছে। প্রতিনিধি দলের এক নেতা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, তাঁরা চীন সরকার ও ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদ
৪ দিন আগে