আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বৈশ্বিক কৃষি বাণিজ্যে অন্যতম বড় অংশীদার ভারত। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে বিরূপ জলবায়ু পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বাড়ছে খাদ্যমূল্য।
ভারতে গত এক শতকের বেশি সময়ের মধ্যে শুষ্ক আবহাওয়ার রেকর্ড হয়েছে গত মাসে। এ মাসে দেশটিতে খাদ্যের দাম ১১ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
টমেটোর দাম কিছুটা কমতে না কমতেই গত জুন থেকে অভ্যন্তরীণ বাজারে রান্নার অপরিহার্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে এক-চতুর্থাংশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় ডালের দাম চলতি বছরের শুরুর চেয়ে এখন ২০ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত জুলাইয়ে তরকারি ও শাকসবজি দিয়ে তৈরি খাবারের খরচ এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদেরা এটিকে ‘কারি প্রবলেম’ নামে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ভারত এখন কারি প্রবলেমে পড়েছে।
চলতি বছর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। আবার আগামী বছরের গ্রীষ্মে হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত বছরের মে মাসে ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর রেশ শেষ হতে না হতেই গত মাসে আকস্মিকভাবে বাসমতি ছাড়া সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। আরও সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করা এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি বছর দেশটিতে চিনির উৎপাদন কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে কেয়ারএজ গ্রুপের মুখ্য অর্থনীতিবিদ রাজনি সিনহা বলেন, চিনি রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ভারত।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় সরকার আরও ব্যবস্থা নিতে পারে। এ প্রসঙ্গে গ্লোবাল ব্রোকারেজ নমুরা বলেন, চাল রপ্তানির ওপর অব্যাহত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম এখনো কমেনি। তাই সরকার আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আগ্রাসী সুরক্ষাব্যবস্থা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) অন্তত তা-ই মনে করে। বিশেষ করে চাল, চিনি ও পেঁয়াজের দামে তো প্রভাব পড়বেই। এর কারণ গত এক দশকে বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভারত। দেশটির দখলে চালের বাজারের ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া চিনি ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভারত।
চাল রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) চালের মূল্যসূচক গত জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ। এ প্রেক্ষাপটে এফএও বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্বের অন্য অঞ্চলের চালের মূল্যবৃদ্ধিতে চাপ বাড়িয়েছে।
ইফপ্রির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো জোসেফ ডব্লিউ গ্লবার বিবিসিকে বলেন, গত মাসে চাল রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর চালের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রভাবটা হতে পারে অত্যন্ত নেতিবাচক, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর। কারণ, জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং এফএওর চিহ্নিত করা ১৮টি ‘ক্ষুধার হটস্পটে’ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে।
এটিও লক্ষণীয় যে এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। আর এসব বাজারে ভারতই হলো অন্যতম বড় সরবরাহকারী।
ইফপ্রির তথ্যানুসারে, এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের ৪২টি দেশ তাদের মোট চাল আমদানির ৫০ শতাংশ ভারত থেকে করে থাকে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড কিংবা পাকিস্তান থেকে আমদানি করে ‘এ ঘাটতি সহজেই পূরণ করা’ সম্ভব নয়।
বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্য প্রভাবও রয়েছে। এফএওর বাজার ও বাণিজ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ উপালি গালকেতি বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর আমদানি ব্যয়ও বাড়বে, যা প্রকারান্তরে দেশগুলোর মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করবে।
তবে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। এর পেছনে কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার বিরূপ প্রভাবও বিদ্যমান।
বৈশ্বিক কৃষি বাণিজ্যে অন্যতম বড় অংশীদার ভারত। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে বিরূপ জলবায়ু পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বাড়ছে খাদ্যমূল্য।
ভারতে গত এক শতকের বেশি সময়ের মধ্যে শুষ্ক আবহাওয়ার রেকর্ড হয়েছে গত মাসে। এ মাসে দেশটিতে খাদ্যের দাম ১১ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
টমেটোর দাম কিছুটা কমতে না কমতেই গত জুন থেকে অভ্যন্তরীণ বাজারে রান্নার অপরিহার্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে এক-চতুর্থাংশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় ডালের দাম চলতি বছরের শুরুর চেয়ে এখন ২০ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত জুলাইয়ে তরকারি ও শাকসবজি দিয়ে তৈরি খাবারের খরচ এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদেরা এটিকে ‘কারি প্রবলেম’ নামে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ভারত এখন কারি প্রবলেমে পড়েছে।
চলতি বছর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। আবার আগামী বছরের গ্রীষ্মে হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত বছরের মে মাসে ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর রেশ শেষ হতে না হতেই গত মাসে আকস্মিকভাবে বাসমতি ছাড়া সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। আরও সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করা এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি বছর দেশটিতে চিনির উৎপাদন কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে কেয়ারএজ গ্রুপের মুখ্য অর্থনীতিবিদ রাজনি সিনহা বলেন, চিনি রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ভারত।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় সরকার আরও ব্যবস্থা নিতে পারে। এ প্রসঙ্গে গ্লোবাল ব্রোকারেজ নমুরা বলেন, চাল রপ্তানির ওপর অব্যাহত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম এখনো কমেনি। তাই সরকার আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আগ্রাসী সুরক্ষাব্যবস্থা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি) অন্তত তা-ই মনে করে। বিশেষ করে চাল, চিনি ও পেঁয়াজের দামে তো প্রভাব পড়বেই। এর কারণ গত এক দশকে বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ চাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভারত। দেশটির দখলে চালের বাজারের ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া চিনি ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভারত।
চাল রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) চালের মূল্যসূচক গত জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ। এ প্রেক্ষাপটে এফএও বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্বের অন্য অঞ্চলের চালের মূল্যবৃদ্ধিতে চাপ বাড়িয়েছে।
ইফপ্রির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো জোসেফ ডব্লিউ গ্লবার বিবিসিকে বলেন, গত মাসে চাল রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর চালের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রভাবটা হতে পারে অত্যন্ত নেতিবাচক, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর। কারণ, জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং এফএওর চিহ্নিত করা ১৮টি ‘ক্ষুধার হটস্পটে’ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে।
এটিও লক্ষণীয় যে এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। আর এসব বাজারে ভারতই হলো অন্যতম বড় সরবরাহকারী।
ইফপ্রির তথ্যানুসারে, এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের ৪২টি দেশ তাদের মোট চাল আমদানির ৫০ শতাংশ ভারত থেকে করে থাকে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড কিংবা পাকিস্তান থেকে আমদানি করে ‘এ ঘাটতি সহজেই পূরণ করা’ সম্ভব নয়।
বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির অন্য প্রভাবও রয়েছে। এফএওর বাজার ও বাণিজ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ উপালি গালকেতি বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর আমদানি ব্যয়ও বাড়বে, যা প্রকারান্তরে দেশগুলোর মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করবে।
তবে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। এর পেছনে কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার বিরূপ প্রভাবও বিদ্যমান।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
২ দিন আগে