আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পুরস্কার পেতে চান, তা তিনি কখনো গোপন করেননি। পুরস্কারটি হলো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। আজ সোমবার গাজা যুদ্ধের সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে জীবিত ও নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা নোবেল কমিটিতে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘গত এক বছরে বিশ্বের শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো অবদান আর কেউ রাখেননি। অনেকে শান্তি নিয়ে সুন্দরভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু তিনিই তা বাস্তবে অর্জন করেছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মাসের পর মাসের দুঃস্বপ্নের পর এবার প্রথমবারের মতো আমরা আশাবাদী যে আমাদের দুঃসহ সময় শেষ হতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত, শেষ জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনা, যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তবে যে বড় সংঘাতটি থামানোর প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন—রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন—তা এখনো অব্যাহত।
গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রথম দফার মধ্যস্থতা ব্যর্থ হয়েছিল। ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ শেষ করতে যে বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, তা ভেস্তে যায়। এবার ট্রাম্প হামাসের ‘হ্যাঁ, তবে’ ধরনের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়ে চাপ ফিরিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দিকে—যাতে শান্তিচুক্তি কার্যকর হয় এবং তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনাও জোরদার হয়।
গত মাসে জাতিসংঘের অধিবেশনে ট্রাম্প নিজের নাম প্রস্তাব করেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য। তিনি দাবি করেন, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসার পর তিনি বহু সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন।
তবে তাঁর এ দাবিগুলো অনেক দেশ বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছে। কারণ, যেসব সংঘাত তিনি শেষ করার কৃতিত্ব নিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই এখনো চলছে। সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলোর একটি—পূর্ব কঙ্গোতে সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘে ট্রাম্প আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তির কথাও উল্লেখ করেছিলেন, যদিও তিনি ভুল করে বলেছিলেন ‘আলবেনিয়া ও আবেরবাইজান’-এর মধ্যে চুক্তি হয়েছে। বাস্তবে সেই চুক্তি দুই দেশের কেউই এখনো অনুমোদন করেনি এবং আজারবাইজানের সংবিধান পরিবর্তনের দাবির কারণে সেটি ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতও হতবাক হয়েছিল ট্রাম্পের এমন দাবি শুনে যে, তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধ ঠেকিয়েছেন। পাকিস্তান অবশ্য ইতিমধ্যে ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করে তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা পেয়ে এর ফলও পেয়েছে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে ভারতের ওপর পড়েছে ট্রাম্পের শুল্কের খড়্গ।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতও ট্রাম্পকে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে বাস্তবে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা এখনো চলছে।
ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রও ১২ দিনের বোমাবর্ষণে অংশ নিয়েছিল এবং যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রতিশ্রুতি তখন পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গঠিত ও নরওয়ের সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্য আগামী শুক্রবারের মধ্যে ট্রাম্পের উদ্যোগ ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর শান্তি প্রচেষ্টার বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করবে। তারপর হয়তো জানা যাবে, ট্রাম্পের নোবেল আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কি না।
এদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারগুলোর কাছে ট্রাম্পই এখন শেষ ভরসা। তারা বিশ্বাস করে, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ট্রাম্পকে আরও সক্রিয়ভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তিনি নেতানিয়াহুর ওপরও চাপ বাড়িয়ে দিতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে যদি একটা শান্তিচুক্তি হয়, তবে ইসরায়েলের জিম্মি পরিবারগুলো প্রিয়জনদের পেতে পারে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবিও জোরালো হবে। এমনও হতে পারে, তিনি সেটি পেয়েও যেতে পারেন!
দ্য টাইম থেকে অনূদিত
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পুরস্কার পেতে চান, তা তিনি কখনো গোপন করেননি। পুরস্কারটি হলো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। আজ সোমবার গাজা যুদ্ধের সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে জীবিত ও নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা নোবেল কমিটিতে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘গত এক বছরে বিশ্বের শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো অবদান আর কেউ রাখেননি। অনেকে শান্তি নিয়ে সুন্দরভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু তিনিই তা বাস্তবে অর্জন করেছেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মাসের পর মাসের দুঃস্বপ্নের পর এবার প্রথমবারের মতো আমরা আশাবাদী যে আমাদের দুঃসহ সময় শেষ হতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত, শেষ জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনা, যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তবে যে বড় সংঘাতটি থামানোর প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন—রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন—তা এখনো অব্যাহত।
গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রথম দফার মধ্যস্থতা ব্যর্থ হয়েছিল। ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ শেষ করতে যে বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, তা ভেস্তে যায়। এবার ট্রাম্প হামাসের ‘হ্যাঁ, তবে’ ধরনের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়ে চাপ ফিরিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দিকে—যাতে শান্তিচুক্তি কার্যকর হয় এবং তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনাও জোরদার হয়।
গত মাসে জাতিসংঘের অধিবেশনে ট্রাম্প নিজের নাম প্রস্তাব করেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য। তিনি দাবি করেন, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসার পর তিনি বহু সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন।
তবে তাঁর এ দাবিগুলো অনেক দেশ বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর বলে মনে করছে। কারণ, যেসব সংঘাত তিনি শেষ করার কৃতিত্ব নিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই এখনো চলছে। সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলোর একটি—পূর্ব কঙ্গোতে সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘে ট্রাম্প আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তির কথাও উল্লেখ করেছিলেন, যদিও তিনি ভুল করে বলেছিলেন ‘আলবেনিয়া ও আবেরবাইজান’-এর মধ্যে চুক্তি হয়েছে। বাস্তবে সেই চুক্তি দুই দেশের কেউই এখনো অনুমোদন করেনি এবং আজারবাইজানের সংবিধান পরিবর্তনের দাবির কারণে সেটি ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতও হতবাক হয়েছিল ট্রাম্পের এমন দাবি শুনে যে, তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধ ঠেকিয়েছেন। পাকিস্তান অবশ্য ইতিমধ্যে ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করে তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা পেয়ে এর ফলও পেয়েছে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে ভারতের ওপর পড়েছে ট্রাম্পের শুল্কের খড়্গ।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতও ট্রাম্পকে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে বাস্তবে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা এখনো চলছে।
ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রও ১২ দিনের বোমাবর্ষণে অংশ নিয়েছিল এবং যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রতিশ্রুতি তখন পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গঠিত ও নরওয়ের সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্য আগামী শুক্রবারের মধ্যে ট্রাম্পের উদ্যোগ ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর শান্তি প্রচেষ্টার বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করবে। তারপর হয়তো জানা যাবে, ট্রাম্পের নোবেল আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কি না।
এদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারগুলোর কাছে ট্রাম্পই এখন শেষ ভরসা। তারা বিশ্বাস করে, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ট্রাম্পকে আরও সক্রিয়ভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তিনি নেতানিয়াহুর ওপরও চাপ বাড়িয়ে দিতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে যদি একটা শান্তিচুক্তি হয়, তবে ইসরায়েলের জিম্মি পরিবারগুলো প্রিয়জনদের পেতে পারে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবিও জোরালো হবে। এমনও হতে পারে, তিনি সেটি পেয়েও যেতে পারেন!
দ্য টাইম থেকে অনূদিত
ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর আর্থিক শক্তি অনেকটাই তাদের তেলের ওপর নির্ভরশীল। আর রাশিয়ার এই তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত। বর্তমানে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া থেকে। ওয়াশিংটনের যুক্তি, রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ হলে মস্কোর আর্থিক সামর্থ্য কমবে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি
১০ ঘণ্টা আগেকিন্তু এখন সেই সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কাবুলে হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের পারস্পরিক প্রত্যাশার অমিল এবং একে অপরের সামর্থ্যের প্রতি অসম্মান—এই দুই কারণে আগের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।
১৫ ঘণ্টা আগেগাজায় হত্যাযজ্ঞ অন্তত সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী ব্যক্তিদের বিনিময় শুরু হয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তাও এখন কিছুটা সহজে পৌঁছাতে পারছে বিপর্যস্ত গাজার মানুষের কাছে। এর জন্য আমরা সবাই কৃতজ্ঞ হতেই পারি। স্বাভাবিকভাবেই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প...
১৮ ঘণ্টা আগেএবার ট্রাম্প প্রশাসন শুধু পূর্বের রিপাবলিকান ধারা অব্যাহতই রাখেনি, বরং নারীর অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় নীতিকাঠামোই ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে ছয় দশকেরও বেশি সময়ের নীতিনির্দেশনা উল্টে গেছে।
২ দিন আগে