সম্পাদকীয়
‘ইস্কুল খুইলাছে রে মাওলা ইস্কুল খুইলাছে’—আর কদিন পর নতুন বছর শুরু হলে কিংবা স্কুলের ছুটি শেষ হলে হয়তো অনেকের মনে পড়বে জনপ্রিয় এই গানের কথা। গানটি গেয়েছিলেন ফিরোজ সাঁই। বাংলা লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গানকে পপসংগীতের আদল দিয়ে তিনি সত্তর ও আশির দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারিখ জানা না গেলেও তথ্য পাওয়া যায়, ফিরোজ সাঁই জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালে।
তিনি শুধু গানই গাইতেন না, গানের মাধ্যমে জীবনবোধ, শিকড় এবং মানুষের মধ্যে প্রেম ও মানবতার মর্মার্থ স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাঁর গানগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো গভীর ভাব ও সহজ-সরল উপস্থাপনা। এসব গানের সুরে যেমন থাকে এক গভীর আধ্যাত্মিকতা, তেমনি বাণীতে থাকে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। তিনি প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিল্পের মিশ্রণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন। আত্মার মুক্তি, মানবের সঙ্গে চিরন্তন সত্তার সম্পর্ক এবং জীবন-মৃত্যুর চক্র—এসব ছিল তাঁর গানের উপাদান—একাধারে দর্শন ও বিনোদনের এক দুর্লভ মেলবন্ধন।
‘বাপের কামাই খাইয়া কর
কতই বাহাদুরি।
নিজের ঘরে সিঁদ কাটিয়া
নিজেই কর চুরি।’
তাঁর লেখা ‘গন্ডগোলে পইড়া গেলে’ শিরোনামের গানটি যেন যে কোনো সময়ের দুর্নীতিবাজদের টনক নাড়া দেওয়ার জন্যই লিখেছেন। ‘স্বাদের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’, ‘মন তুই দেখলি না রে’, ‘আইছি একা যাইমু একা’, ‘ইঞ্জিন যদি চইলা যায়’ ইত্যাদি গান বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে কম জনপ্রিয় নয়। সব গানই ফিরোজ সাঁইয়ের লেখা, সুর করা এবং গাওয়া।
১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর। শিল্পকলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে বহু দর্শক-শ্রোতা-ভক্তের সামনে সেদিন ফিরোজ সাঁই গাইছিলেন তাঁর বহুলশ্রুত গান—‘এক সেকেন্ডের নাই ভরসা/বন্ধ হইবে রং-তামাশা/চক্ষু মুদিলে/হায়রে দম ফুরাইলে’। এই গান গাইতে গাইতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যেন গানটির সত্যতা প্রমাণ করে দিলেন।
‘ইস্কুল খুইলাছে রে মাওলা ইস্কুল খুইলাছে’—আর কদিন পর নতুন বছর শুরু হলে কিংবা স্কুলের ছুটি শেষ হলে হয়তো অনেকের মনে পড়বে জনপ্রিয় এই গানের কথা। গানটি গেয়েছিলেন ফিরোজ সাঁই। বাংলা লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গানকে পপসংগীতের আদল দিয়ে তিনি সত্তর ও আশির দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারিখ জানা না গেলেও তথ্য পাওয়া যায়, ফিরোজ সাঁই জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালে।
তিনি শুধু গানই গাইতেন না, গানের মাধ্যমে জীবনবোধ, শিকড় এবং মানুষের মধ্যে প্রেম ও মানবতার মর্মার্থ স্মরণ করিয়ে দিতেন। তাঁর গানগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো গভীর ভাব ও সহজ-সরল উপস্থাপনা। এসব গানের সুরে যেমন থাকে এক গভীর আধ্যাত্মিকতা, তেমনি বাণীতে থাকে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। তিনি প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিল্পের মিশ্রণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন। আত্মার মুক্তি, মানবের সঙ্গে চিরন্তন সত্তার সম্পর্ক এবং জীবন-মৃত্যুর চক্র—এসব ছিল তাঁর গানের উপাদান—একাধারে দর্শন ও বিনোদনের এক দুর্লভ মেলবন্ধন।
‘বাপের কামাই খাইয়া কর
কতই বাহাদুরি।
নিজের ঘরে সিঁদ কাটিয়া
নিজেই কর চুরি।’
তাঁর লেখা ‘গন্ডগোলে পইড়া গেলে’ শিরোনামের গানটি যেন যে কোনো সময়ের দুর্নীতিবাজদের টনক নাড়া দেওয়ার জন্যই লিখেছেন। ‘স্বাদের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’, ‘মন তুই দেখলি না রে’, ‘আইছি একা যাইমু একা’, ‘ইঞ্জিন যদি চইলা যায়’ ইত্যাদি গান বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে কম জনপ্রিয় নয়। সব গানই ফিরোজ সাঁইয়ের লেখা, সুর করা এবং গাওয়া।
১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর। শিল্পকলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে বহু দর্শক-শ্রোতা-ভক্তের সামনে সেদিন ফিরোজ সাঁই গাইছিলেন তাঁর বহুলশ্রুত গান—‘এক সেকেন্ডের নাই ভরসা/বন্ধ হইবে রং-তামাশা/চক্ষু মুদিলে/হায়রে দম ফুরাইলে’। এই গান গাইতে গাইতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যেন গানটির সত্যতা প্রমাণ করে দিলেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৩ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৭ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৮ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে