মোক্তার হোসেন
১৯৪৭ সাল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে ইংরেজদের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে নতুন সূর্যোদয় হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। দ্বিজাতিতত্ত্বের খড়ির দাগে সৃষ্টি হয়েছিল ভারত আর পাকিস্তান। সবার দুয়ারে নতুন সূর্যের কিরণ দ্যুতি ছড়ালেও এই তত্ত্বের গোলকধাঁধায় অদৃশ্য এক কালো ছায়ায় নতুন আলোর বিচ্ছুরণ দেখার সুযোগ হয়নি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের। শুভংকরের ফাঁকির প্রহসনে পূর্ব বাংলার নিরীহ জনগণের স্বাধীনতা আবারও থেকে গেছে অন্তরীণ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগণ স্থলাভিষিক্ত হন ইংরেজদের স্থানে। এই পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি জাতির আকাশে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার কালো এক অভিশপ্ত অধ্যায়ের। আর এই অধ্যায়ের প্রথম শিকার বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা।
সেই দিন অশুভ প্রেতাত্মা ঘোষণা করে—উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ছাত্রসমাজ। সমস্বরে স্লোগান তোলে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। আর চাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কারণ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব মানুষ আর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ শতাংশের ভাষা ছিল বাংলা।
এর পরও পূর্ব পাকিস্তানি শাসকেরা একদিকে চালিয়ে যায় তাদের হীন ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ সেই ষড়যন্ত্র রুখতে অব্যাহত রাখে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন। এভাবেই সংগ্রামে সংগ্রামে পার হয়ে যায় ৪৭-৫১।
নতুন পরাধীনতার দিন পঞ্জিকায় সাল তখন ১৯৫২, ফেব্রুয়ারি ২১; বাঙলা ৮ই ফাল্গুন। একদিকে দখিনা বাতাসে সুর তুলেছে ঋতুরাজ বসন্ত, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ স্লোগান ধরেছে–রাষ্ট্রভাষা বাঙলা চাই। সেদিন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কর্ণকূহরে প্রবেশ করেনি বসন্তরে হাওয়ায় মিশে যাওয়া সংগ্রামী জনতার স্লোগান। বাঙালির কণ্ঠ রোধে বেছে নেয় তারা অত্যাচারের নতুন কৌশল। উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অংশ হিসেবে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, এই আইন জারি করেছে কার বিরুদ্ধে। তারা ভুলে গিয়েছিল, সেদিনের ফাল্গুন সাজতে চেয়েছিল লাল পলাশের রক্তিম আভায়। শিমুলের ডালে ডালে গান গাইতে চেয়েছিল হলদে পাখি। পাতাঝরার দিনের শেষে সেদিনের ফাল্গুন পসরা সাজাতে চেয়েছিল নতুন সবুজ পাতার। কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে নব আনন্দে প্রেমের কবিতা লিখতে চেয়েছিল সেদিনের বসন্ত। এই ১৪৪ ধারা কি ছিল সেসবের বিরুদ্ধে?
প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালের সূর্য ছড়াচ্ছিল সোনালি আলো। আর সেই আলোয় মমতামাখা মায়ের মুখের দিকে স্বচ্ছ চোখে অপলক তাকাতে চেয়েছিল অবুঝ শিশুটি। বহমান নদীর স্রোতের ধারা সেদিন বয়ে চলেছিল মোহনার দিকে প্রতিদিনের মতো। দখিনা ঝিরঝির বাতাসে যখন বসন্তের ফুলের সুবাস বয়ে চলেছিল বাংলার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। ঠিক তখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া ১৪৪ ধারা ছিল একেবারেই তুচ্ছ খড়কুটোর মতো। ততক্ষণে ছাত্রসমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে সাধারণ মানুষ। রাস্তার টোকাইয়ের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে দিয়েছে ইটের দেয়ালে প্রাচুর্যে বেড়ে ওঠা শিশুটিও। তেমনিভাবে নদীর স্রোতের সঙ্গে দখিনা বাতাস মিশে সৃষ্টি করেছিল প্রলয়। মুহূর্তেই ঢাকার রাজপথে জমে থাকা সহস্র বাধার দেয়াল ভেঙে চৌচির।
এসবের মধ্যে থেমে ছিল না পাকিস্তানি নরপিশাচদের হিংস্র থাবা। আঁচড়ে আঁচড়ে তারা বিক্ষত করেছে সালাম, বরকত, রফিক, শফিকের বুক। বিক্ষত বুকের প্রতিটি রক্তের ফোঁটা তখনো স্লোগান দিচ্ছিল—রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজের উত্তর তোরণে তখন মৃত্যুর মিছিল। তপ্ত দুপুর সেদিন স্তব্ধ হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতার উত্তপ্ত স্লোগানে। দাবি আদায়ের সংগ্রামে বাংলার আপামর জনতার সঙ্গে তাল মিলিয়েছিল সেদিনের বসন্ত। আর সেই বসন্তের পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া অঞ্জলি পেতে নিয়েছে শহীদের রক্তের প্রতিটি কণা। এখনো প্রতিটি ফাল্গুনে তাদের রক্তের আভায় বসন্ত রাঙিয়ে তোলে বাংলার মাঠঘাট-প্রান্তর। আর ফুলে ফুলে প্রতিটি ভ্রমর এখন গুনগুন করে মায়ের ভাষায় গান গেয়ে যায় ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে।
তাই এখন আর পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুর অনাগত শিশুটির ভাবতে হয় না জন্মের পরে সে কোন ভাষায় কথা বলবে। কারণ বায়ান্নর ৮ই ফাল্গুনে ভাষার সংগ্রামে সে ফিরে পেয়েছে তার আজন্ম অধিকার। সারা পৃথিবী এখন সুর মিলিয়ে গেয়ে চলেছে ৮ই ফাল্গুনের গান। আর এই ফাল্গুনের সুরের মূর্ছনায় বাঙালির ভাষার সংগ্রামের বীরত্বগাঁথা বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। সহস্রকাল পরও প্রভাতফেরিতে বাংলার পথে প্রান্তরে গাইবে সবাই—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’
১৯৪৭ সাল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে ইংরেজদের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে নতুন সূর্যোদয় হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। দ্বিজাতিতত্ত্বের খড়ির দাগে সৃষ্টি হয়েছিল ভারত আর পাকিস্তান। সবার দুয়ারে নতুন সূর্যের কিরণ দ্যুতি ছড়ালেও এই তত্ত্বের গোলকধাঁধায় অদৃশ্য এক কালো ছায়ায় নতুন আলোর বিচ্ছুরণ দেখার সুযোগ হয়নি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের। শুভংকরের ফাঁকির প্রহসনে পূর্ব বাংলার নিরীহ জনগণের স্বাধীনতা আবারও থেকে গেছে অন্তরীণ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগণ স্থলাভিষিক্ত হন ইংরেজদের স্থানে। এই পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি জাতির আকাশে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার কালো এক অভিশপ্ত অধ্যায়ের। আর এই অধ্যায়ের প্রথম শিকার বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা।
সেই দিন অশুভ প্রেতাত্মা ঘোষণা করে—উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ছাত্রসমাজ। সমস্বরে স্লোগান তোলে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। আর চাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কারণ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব মানুষ আর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ শতাংশের ভাষা ছিল বাংলা।
এর পরও পূর্ব পাকিস্তানি শাসকেরা একদিকে চালিয়ে যায় তাদের হীন ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ সেই ষড়যন্ত্র রুখতে অব্যাহত রাখে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন। এভাবেই সংগ্রামে সংগ্রামে পার হয়ে যায় ৪৭-৫১।
নতুন পরাধীনতার দিন পঞ্জিকায় সাল তখন ১৯৫২, ফেব্রুয়ারি ২১; বাঙলা ৮ই ফাল্গুন। একদিকে দখিনা বাতাসে সুর তুলেছে ঋতুরাজ বসন্ত, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ স্লোগান ধরেছে–রাষ্ট্রভাষা বাঙলা চাই। সেদিন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কর্ণকূহরে প্রবেশ করেনি বসন্তরে হাওয়ায় মিশে যাওয়া সংগ্রামী জনতার স্লোগান। বাঙালির কণ্ঠ রোধে বেছে নেয় তারা অত্যাচারের নতুন কৌশল। উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অংশ হিসেবে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, এই আইন জারি করেছে কার বিরুদ্ধে। তারা ভুলে গিয়েছিল, সেদিনের ফাল্গুন সাজতে চেয়েছিল লাল পলাশের রক্তিম আভায়। শিমুলের ডালে ডালে গান গাইতে চেয়েছিল হলদে পাখি। পাতাঝরার দিনের শেষে সেদিনের ফাল্গুন পসরা সাজাতে চেয়েছিল নতুন সবুজ পাতার। কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে নব আনন্দে প্রেমের কবিতা লিখতে চেয়েছিল সেদিনের বসন্ত। এই ১৪৪ ধারা কি ছিল সেসবের বিরুদ্ধে?
প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালের সূর্য ছড়াচ্ছিল সোনালি আলো। আর সেই আলোয় মমতামাখা মায়ের মুখের দিকে স্বচ্ছ চোখে অপলক তাকাতে চেয়েছিল অবুঝ শিশুটি। বহমান নদীর স্রোতের ধারা সেদিন বয়ে চলেছিল মোহনার দিকে প্রতিদিনের মতো। দখিনা ঝিরঝির বাতাসে যখন বসন্তের ফুলের সুবাস বয়ে চলেছিল বাংলার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। ঠিক তখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া ১৪৪ ধারা ছিল একেবারেই তুচ্ছ খড়কুটোর মতো। ততক্ষণে ছাত্রসমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে সাধারণ মানুষ। রাস্তার টোকাইয়ের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে দিয়েছে ইটের দেয়ালে প্রাচুর্যে বেড়ে ওঠা শিশুটিও। তেমনিভাবে নদীর স্রোতের সঙ্গে দখিনা বাতাস মিশে সৃষ্টি করেছিল প্রলয়। মুহূর্তেই ঢাকার রাজপথে জমে থাকা সহস্র বাধার দেয়াল ভেঙে চৌচির।
এসবের মধ্যে থেমে ছিল না পাকিস্তানি নরপিশাচদের হিংস্র থাবা। আঁচড়ে আঁচড়ে তারা বিক্ষত করেছে সালাম, বরকত, রফিক, শফিকের বুক। বিক্ষত বুকের প্রতিটি রক্তের ফোঁটা তখনো স্লোগান দিচ্ছিল—রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজের উত্তর তোরণে তখন মৃত্যুর মিছিল। তপ্ত দুপুর সেদিন স্তব্ধ হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতার উত্তপ্ত স্লোগানে। দাবি আদায়ের সংগ্রামে বাংলার আপামর জনতার সঙ্গে তাল মিলিয়েছিল সেদিনের বসন্ত। আর সেই বসন্তের পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া অঞ্জলি পেতে নিয়েছে শহীদের রক্তের প্রতিটি কণা। এখনো প্রতিটি ফাল্গুনে তাদের রক্তের আভায় বসন্ত রাঙিয়ে তোলে বাংলার মাঠঘাট-প্রান্তর। আর ফুলে ফুলে প্রতিটি ভ্রমর এখন গুনগুন করে মায়ের ভাষায় গান গেয়ে যায় ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে।
তাই এখন আর পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুর অনাগত শিশুটির ভাবতে হয় না জন্মের পরে সে কোন ভাষায় কথা বলবে। কারণ বায়ান্নর ৮ই ফাল্গুনে ভাষার সংগ্রামে সে ফিরে পেয়েছে তার আজন্ম অধিকার। সারা পৃথিবী এখন সুর মিলিয়ে গেয়ে চলেছে ৮ই ফাল্গুনের গান। আর এই ফাল্গুনের সুরের মূর্ছনায় বাঙালির ভাষার সংগ্রামের বীরত্বগাঁথা বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। সহস্রকাল পরও প্রভাতফেরিতে বাংলার পথে প্রান্তরে গাইবে সবাই—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...’
১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
১ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৪ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৮ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
১২ দিন আগে