রেমিট্যান্স

র‍েমিট্যান্সে হুন্ডির থাবা। রপ্তানি পণ্যের দামও পুরোটা আসছে না। কিন্তু আমদানির দায় শোধ না করে উপায় নেই। এতে চাপ বেড়েছে রিজার্ভের ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আকু পেমেন্টের পর দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘প্রবাসীরা যে দেশে টাকা পাঠায় সেটা প্রতি মাসে সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২১৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু সরকারবিরোধীরা সব বিষয়ে মিথ্যাচার করছে। এগুলো জঘন্য মিথ্যাচার, তাই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’ 

দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে মারাত্মক সংকটে নিমজ্জমান তার সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপজ্জনক পতনের ধারা, টাকার হিসাবে ডলারের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স প্রেরণে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন

ডলার-সংকটের চরম মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। একইসঙ্গে পোশাকে ভর করে রপ্তানি আয়ও গত বছরের তুলনায় ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। এর ফলে ঈদ ঘিরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভারে চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের প্রকাশিত তথ্য থেকে জ

রেমিট্যান্সে খরা অনেক দিন থেকেই। ডলার-সংকটের সময়ে কাঙ্ক্ষিত দর নেই বলে প্রবাসীরা বৈধ পথের চেয়ে হুন্ডিতেই বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঈদ ঘিরে দুই মাস ধরে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। গত মাসের ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারি মাসেও এ ধারা বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি ফে

দেশে রেমিট্যান্স এবং বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়াতে এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।  এনআরবি সিআইপি (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি, কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন্স) অ্যাসোসিয়েশন হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি ব্যক্তিদের একটি

দেশে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ৯ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৬৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৭ কোটি ডলারের বেশি। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন

ডলার-সংকটের মাঝেই সুখবর বয়ে আনল প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। নতুন বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি অব্যাহত থাকলে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অবশেষে সেই ধারণাই সত্যি হলো। জানুয়ারি মাসের পুরো সময়ে ২০১ কোটি ডলার বা ২

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের আহরিত রেমিট্যান্স দেশে আহরিত মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ আর ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসন বাড়লেও সে পরিমাণ রেমিট্যান্স বাড়েনি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অভিবাসন বেড়েছে ১৩ শতাংশ, কিন্তু রেমিট্যান্স বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ

চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৬ দিনে বৈধপথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে দৈনিক আসছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

শুধু অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। অন্য কোনো কাজ নেই। মোবাইল অ্যাপে হিসাব দেখাবে। ব্যাংকে রেমিট্যান্স আকারে প্রতি মাসে ঢুকবে লাভের টাকা। ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেই মাসে মাসে আসবে ১১ হাজার ২০০ টাকা।

সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সংশোধিত ফি বাংলাদেশের জন্য ১৩ হাজার থেকে ১১ হাজার ৭৫০ রিয়েল করা হয়েছে। টাকার মান অনুযায়ী এই হিসাবটি দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৮০ থেকে ফি কমিয়ে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৫ করা হয়েছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ডলার-সংকট রয়েই গেছে। এ সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক এলসি খুলতে ও নিষ্পত্তি করতে পারছে না। আমদানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জরুরি পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নির্বাচন শেষ। এবার সামনে আসছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ। ডলার-সংকটে রিজার্ভ কমে ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে। রেমিট্যান্স আসার হার বাড়লেও এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে আসেনি। রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি। খরচ মেটাতে ধার বাড়ছে ও টাকা ছাপাতে হচ্ছে সরকারকে।

দেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আশানুরূপ বাড়েনি। ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা তার আগের বছরের

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। প্রবাসী আয় বাড়াতে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নানা উদ্যোগের ফলে বেড়েছে প্রবাসীর সংখ্যা।