এসি মিলান

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইতালিয়ান সুপারকাপের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। গতকাল সুপারকাপের ফাইনালে এসি মিলানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা। দলের হয়ে গোল ৩টি করেন ফেদেরিকো ডিমার্কো, এডেন জেঁকো ও লাউতারো মার্টিনেজ।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রোমাঞ্চকর রাতের অপেক্ষা ফুরাতে চলেছে ফুটবল অনুরাগীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। সপ্তাহখানেক আগে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে মিমের প্রতিযোগিতা।

ফোরজা মিলান, ফোরজা মিলান (এগিয়ে চলো মিলান)…। মিলান নগরীর প্রাণকেন্দ্র পিয়াৎসা দুয়োমোয় এখন শুধু একটিই কলরব। আট থেকে আশি সেখানে মিলেমিশে একাকার। বলতে গেলে পুরো উৎসবের রংটাই হয়ে গেছে এসি মিলানের ঐতিহ্যবাহী লাল।

এক সময়ের পরাশক্তি তারা। শক্তি হারিয়ে ধুঁকছিল অনেক দিন ধরে। লম্বা সময় দিগ্ভ্রান্ত হয়ে ছুটছিল এসি মিলান। অবশেষে অন্ধকার টানেলের শেষে গিয়ে আলোর দেখা পেল মিলান। জিতলেই শিরোপা, এমন সমীকরণে সাসুলোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সিরি ‘আ’র শিরোপার দেখা পেল মিলান। 

রোমাঞ্চকর ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৪-২ হারিয়ে ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান। দীর্ঘ ১১ বছর পর এই শিরোপার স্বাদ পেল তারা। ইতালিয়ান কাপে এটি ইন্টারের

স্প্যানিশ লা লিগা, জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা ভাগ্য নিষ্পত্তি হয়ে গেছে আগেই। বাকি আছে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ রোমাঞ্চ। শুক্রবার রাতে সিরি’এ লিগ রোমাঞ্চ তো প্রায় শেষ করে দিচ্ছিল

কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের প্রথম লেগটা হলো নিষ্ফলা। দ্বিতীয় লেগ নিয়ে তাই বাড়তি রোমাঞ্চ ছিল। সে আশার গুঁড়েবালি। মিলান ডার্বির ফিরতি লেগটার নিষ্পত্তি হলো বড্ড এক তরফাভাবে। মঙ্গলবার রাতে সান সিরোতে এসি মিলানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ইন্টার মিলান।

‘কিছু মানুষ মনে করে ফুটবল হলো জীবন-মরণ সমস্যা। তাদের এ আচরণ আমার পছন্দ নয়। তাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, এটা তার চেয়ে বেশি কিছু।’ লিভারপুল কিংবদন্তি বিল শাঙ্কলির এই উক্তিটি কখনো বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে।