কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ক্রমেই মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। মানুষের কাজের ধরন ও জীবনযাত্রার অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে এআই। তবে এই প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক শ্মিট। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের ক্ষতি করতে পারে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রগুলো’। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন তিনি।
২০০১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গুগলের শীর্ষ পদে ছিলেন প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার এরিক শ্মিট। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ এআই নিয়ে যে ঝুঁকির কথা আলোচনা করে, তা নিয়ে আমার মূল ভয় নেই, আমি চরম ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।’
বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া, ইরান এমনকি রাশিয়া এই প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং তা অপব্যবহার করে জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
এ ছাড়া প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এআই মডেল বিকাশের ওপর নজরদারি করতে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি। তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলেও সতর্ক করেন শ্মিট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মাইক্রোচিপের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে একমত হয়েছেন গুগলের এই সাবেক সিইও। এই চিপগুলো সবচেয়ে উন্নত এআই সিস্টেমগুলোর জন্য শক্তি সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, গবেষণায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের অগ্রগতি ধীর করার উদ্দেশ্যে মাইক্রোচিপের রপ্তানি ১৮টি দেশের বাইরে বাকি সব দেশকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ বদলাতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
‘দুর্বৃত্ত দেশগুলো’ সম্পর্কে শ্মিট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া, ইরান বা রাশিয়া সম্পর্কে ভাবুন, যারা কিছু খারাপ উদ্দেশ্য হাসিল করতে কাজ করছে।’
তিনি টুডে প্রোগ্রামের উপস্থাপক অমল রাজনকে বলেন, এই প্রযুক্তি এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যে, তারা সহজেই এটি গ্রহণ করতে পারে এবং এর অপব্যবহার করে বাস্তব জীবনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এআই সিস্টেম ভুল হাতে চলে যায়, তাহলে তা অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে এবং একজন খারাপ ব্যক্তি একটি মারাত্মক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করে হামলা চালাতে পারে।’
এআইয়ের ঝুঁকি বোঝাতে তিনি ওসামা বিল লাদেনের কথাও তুলে ধরেন। ২০০১ সালের ৯/১১ আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন বিন লাদেন। আল-কায়দা সন্ত্রাসীরা বিমান ছিনতাই করে হাজার হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হত্যা করেছিল।
শ্মিট এআই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি এবং অত্যধিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে একটি সুষম সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
শ্মিট দাবি করেন, ‘এআই ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি মূলত বেসরকারি কোম্পানিগুলোর হাতেই গড়ে উঠবে। তবে, সরকারের উচিত আমাদের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা।’
এর পাশাপাশি স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপরও আলোকপাত করেছেন শ্মিট। স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করার প্রতি সমর্থন জানান তিনি এবং শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ১৬ বছরের কম বয়সীদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষেও মতামত দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, স্মার্টফোন ব্যবহার শিশুর জন্য নিরাপদ হতে পারে, তবে এটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।’
২০২৪ সালে ১৬ বছরের নিচে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আইন পাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ।
এদিকে সম্প্রতি ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষিত আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সনদে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এআই উন্নয়নে উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ওই ঘোষণায় ফ্রান্স, চীন, ভারতসহ ৬০টি দেশ স্বাক্ষর করেছে।
৬০টি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মূল লক্ষ্যসমূহ হলো—এআই প্রযুক্তির সমতা ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা; এআই উন্নয়নকে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত করা এবং মানুষ ও পরিবেশের জন্য টেকসই এআই নিশ্চিত করা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ক্রমেই মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। মানুষের কাজের ধরন ও জীবনযাত্রার অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে এআই। তবে এই প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক শ্মিট। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের ক্ষতি করতে পারে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রগুলো’। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন তিনি।
২০০১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গুগলের শীর্ষ পদে ছিলেন প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার এরিক শ্মিট। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ এআই নিয়ে যে ঝুঁকির কথা আলোচনা করে, তা নিয়ে আমার মূল ভয় নেই, আমি চরম ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।’
বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া, ইরান এমনকি রাশিয়া এই প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং তা অপব্যবহার করে জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
এ ছাড়া প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এআই মডেল বিকাশের ওপর নজরদারি করতে সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি। তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলেও সতর্ক করেন শ্মিট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মাইক্রোচিপের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে একমত হয়েছেন গুগলের এই সাবেক সিইও। এই চিপগুলো সবচেয়ে উন্নত এআই সিস্টেমগুলোর জন্য শক্তি সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, গবেষণায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের অগ্রগতি ধীর করার উদ্দেশ্যে মাইক্রোচিপের রপ্তানি ১৮টি দেশের বাইরে বাকি সব দেশকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ বদলাতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
‘দুর্বৃত্ত দেশগুলো’ সম্পর্কে শ্মিট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া, ইরান বা রাশিয়া সম্পর্কে ভাবুন, যারা কিছু খারাপ উদ্দেশ্য হাসিল করতে কাজ করছে।’
তিনি টুডে প্রোগ্রামের উপস্থাপক অমল রাজনকে বলেন, এই প্রযুক্তি এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যে, তারা সহজেই এটি গ্রহণ করতে পারে এবং এর অপব্যবহার করে বাস্তব জীবনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এআই সিস্টেম ভুল হাতে চলে যায়, তাহলে তা অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে এবং একজন খারাপ ব্যক্তি একটি মারাত্মক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করে হামলা চালাতে পারে।’
এআইয়ের ঝুঁকি বোঝাতে তিনি ওসামা বিল লাদেনের কথাও তুলে ধরেন। ২০০১ সালের ৯/১১ আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন বিন লাদেন। আল-কায়দা সন্ত্রাসীরা বিমান ছিনতাই করে হাজার হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হত্যা করেছিল।
শ্মিট এআই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি এবং অত্যধিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে একটি সুষম সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
শ্মিট দাবি করেন, ‘এআই ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি মূলত বেসরকারি কোম্পানিগুলোর হাতেই গড়ে উঠবে। তবে, সরকারের উচিত আমাদের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা।’
এর পাশাপাশি স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপরও আলোকপাত করেছেন শ্মিট। স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করার প্রতি সমর্থন জানান তিনি এবং শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ১৬ বছরের কম বয়সীদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষেও মতামত দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, স্মার্টফোন ব্যবহার শিশুর জন্য নিরাপদ হতে পারে, তবে এটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।’
২০২৪ সালে ১৬ বছরের নিচে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আইন পাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ।
এদিকে সম্প্রতি ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষিত আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সনদে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এআই উন্নয়নে উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ওই ঘোষণায় ফ্রান্স, চীন, ভারতসহ ৬০টি দেশ স্বাক্ষর করেছে।
৬০টি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মূল লক্ষ্যসমূহ হলো—এআই প্রযুক্তির সমতা ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা; এআই উন্নয়নকে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত করা এবং মানুষ ও পরিবেশের জন্য টেকসই এআই নিশ্চিত করা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
২ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৪ দিন আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ দিন আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫ দিন আগে