স্পোর্টস ডেস্ক
রবার্তো ব্যাজ্জোর পেনাল্টি মিসের ঘটনা এখন রূপকথার গল্পের অংশ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে আকাশের ঠিকানায় বল পাঠিয়ে ইতালির শিরোপাটাই ফসকে দিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েও সমর্থকদের কাছে ‘ডিভাইন পনিটেল’ হয়ে থাকলেন এ ট্র্যাজিক হিরো।
ব্যাজ্জোর ক্যারিয়ারে পেনাল্টি নিয়ে এটিই একমাত্র গল্প নয়। ১৯৯০ সালের আরও একটি বিখ্যাত পেনাল্টির ঘটনায় জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। সেবার পেনাল্টি নিতেই অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এই ইতালিয়ান তারকা।
ফিওরেন্তিনার হয়ে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খেলেন ব্যাজ্জো। দলবদলে তাঁকে কিনে নেয় ইউরোপের পরাশক্তি জুভেন্টাস। ব্যাজ্জোর মোটেই ইচ্ছে ছিল না ফিওরেন্তিনার ঘর ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার। কিন্তু বড় কিছু অর্জন করতে হলে বড় ক্লাবে যাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। সময়ের রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ব্যাজ্জোকে দলে টেনেছিল ‘তুরিনের বুড়ি’রা। ব্যাজ্জোর দলবদল নিয়ে ইতালিয়ান এক পত্রিকা লিখেছিল, শক্তির জন্য জুভেন্টাসে যাওয়া, ভালোবাসার জন্য নয়।
ব্যাজ্জোর দলবদল থেকে বড় অঙ্ক হাতে এলেও তাঁর কোনো বিকল্প আনতে পারেনি ফিওরেন্তিনা। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ফুঁসছিল ফিওরেন্তিনার সমর্থকেরা। যার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে আর্তেমিও ফেন্সিন্তে স্টেডিয়ামে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ‘পার্পল’দের লিগ ম্যাচে।
ম্যাচের আগেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল তাসকানের বাতাসে। ব্যাজ্জোর উদ্দেশ্যে একটানা দুয়ো দিয়ে যাচ্ছিল ফিওরেন্তিনার সমর্থকরা। বিপরীতে ন্যূনতম কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাননি এই ফরোয়ার্ড। খেলা শুরুর পর দুয়োর মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ব্যাজ্জোর পায়ে বল যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছিল পার্পল সমর্থকেরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ১–০ গোলে পিছিয়ে যায় জুভেন্টাস। নাটকীয়তা বাড়ে ৫১ মিনিটে জুভরা পেনাল্টি পেলে। ডি–বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন ব্যাজ্জো। তুরিনের ক্লাবটির হয়ে এর আগে পেনাল্টিতে পাঁচটি গোল আদায় করেন এই তারকা। কিন্তু ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ব্যাজ্জোর বদলে পেনাল্টি নিতে গিয়ে মিস করেন লুইগি ডি অ্যাগোস্টিনি। এই ঘটনার ১৩ মিনিট পর ব্যাজ্জোকে তুলে নেন জুভ কোচ লুইগি মাইফ্রেডি।
যখন মাঠ ছেড়ে যাচ্ছিলেন দুয়োধ্বনিতে ফেটে পড়ছিল গোটা ফেসিন্তে স্টেডিয়াম। অবস্থা এতই বেগতিক ছিল যে, বেঞ্চে বসে খেলা দেখার চেয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাজ্জো। বিমর্ষ এই তারকা যখন টানেলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন তখন গ্যালারি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ছুড়ে মারছিলেন দর্শকেরা। কেউ একজন সে সময় ফিওরেন্তিনার বেগুনি রঙের স্কার্ফও ছুড়ে মারেন। দলবদলের সময় জুভেন্টাসের স্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানালেও ফিওরেন্তিনার স্কার্ফকে ফিরিয়ে দিতে পারেননি তিনি। সেটি হাতে তুলে নেন।
স্কার্ফ হাতে তুলে নিতেই বদলে যায় গ্যালারির দৃশ্যপট। মুহূর্তের মধ্যে দুয়োধ্বনি পরিণত হয় প্রশংসাধ্বনিতে। ম্যাচের পর জুভ কোচ অবশ্য বলেন, ব্যাজ্জোর পেনাল্টি না নেওয়াটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। তাঁর পেনাল্টি নেওয়ার মানসিকতা সম্পর্কে জানতেন ফিওরেন্তিনা গোলরক্ষক মারেগিনি।
অতিথি হয়ে এর পর আরও অনেকবার ফিওরেন্তিনার মাঠে আসেন ব্যাজ্জোও। কিন্তু প্রথমবার খেলতে আসার সেই অভিজ্ঞতা হয়তো কখনোই ভুলতে পারবেন না।
রবার্তো ব্যাজ্জোর পেনাল্টি মিসের ঘটনা এখন রূপকথার গল্পের অংশ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে আকাশের ঠিকানায় বল পাঠিয়ে ইতালির শিরোপাটাই ফসকে দিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েও সমর্থকদের কাছে ‘ডিভাইন পনিটেল’ হয়ে থাকলেন এ ট্র্যাজিক হিরো।
ব্যাজ্জোর ক্যারিয়ারে পেনাল্টি নিয়ে এটিই একমাত্র গল্প নয়। ১৯৯০ সালের আরও একটি বিখ্যাত পেনাল্টির ঘটনায় জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। সেবার পেনাল্টি নিতেই অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এই ইতালিয়ান তারকা।
ফিওরেন্তিনার হয়ে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খেলেন ব্যাজ্জো। দলবদলে তাঁকে কিনে নেয় ইউরোপের পরাশক্তি জুভেন্টাস। ব্যাজ্জোর মোটেই ইচ্ছে ছিল না ফিওরেন্তিনার ঘর ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার। কিন্তু বড় কিছু অর্জন করতে হলে বড় ক্লাবে যাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। সময়ের রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ব্যাজ্জোকে দলে টেনেছিল ‘তুরিনের বুড়ি’রা। ব্যাজ্জোর দলবদল নিয়ে ইতালিয়ান এক পত্রিকা লিখেছিল, শক্তির জন্য জুভেন্টাসে যাওয়া, ভালোবাসার জন্য নয়।
ব্যাজ্জোর দলবদল থেকে বড় অঙ্ক হাতে এলেও তাঁর কোনো বিকল্প আনতে পারেনি ফিওরেন্তিনা। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ফুঁসছিল ফিওরেন্তিনার সমর্থকেরা। যার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে আর্তেমিও ফেন্সিন্তে স্টেডিয়ামে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ‘পার্পল’দের লিগ ম্যাচে।
ম্যাচের আগেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল তাসকানের বাতাসে। ব্যাজ্জোর উদ্দেশ্যে একটানা দুয়ো দিয়ে যাচ্ছিল ফিওরেন্তিনার সমর্থকরা। বিপরীতে ন্যূনতম কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাননি এই ফরোয়ার্ড। খেলা শুরুর পর দুয়োর মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ব্যাজ্জোর পায়ে বল যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছিল পার্পল সমর্থকেরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ১–০ গোলে পিছিয়ে যায় জুভেন্টাস। নাটকীয়তা বাড়ে ৫১ মিনিটে জুভরা পেনাল্টি পেলে। ডি–বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন ব্যাজ্জো। তুরিনের ক্লাবটির হয়ে এর আগে পেনাল্টিতে পাঁচটি গোল আদায় করেন এই তারকা। কিন্তু ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ব্যাজ্জোর বদলে পেনাল্টি নিতে গিয়ে মিস করেন লুইগি ডি অ্যাগোস্টিনি। এই ঘটনার ১৩ মিনিট পর ব্যাজ্জোকে তুলে নেন জুভ কোচ লুইগি মাইফ্রেডি।
যখন মাঠ ছেড়ে যাচ্ছিলেন দুয়োধ্বনিতে ফেটে পড়ছিল গোটা ফেসিন্তে স্টেডিয়াম। অবস্থা এতই বেগতিক ছিল যে, বেঞ্চে বসে খেলা দেখার চেয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাজ্জো। বিমর্ষ এই তারকা যখন টানেলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন তখন গ্যালারি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ছুড়ে মারছিলেন দর্শকেরা। কেউ একজন সে সময় ফিওরেন্তিনার বেগুনি রঙের স্কার্ফও ছুড়ে মারেন। দলবদলের সময় জুভেন্টাসের স্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানালেও ফিওরেন্তিনার স্কার্ফকে ফিরিয়ে দিতে পারেননি তিনি। সেটি হাতে তুলে নেন।
স্কার্ফ হাতে তুলে নিতেই বদলে যায় গ্যালারির দৃশ্যপট। মুহূর্তের মধ্যে দুয়োধ্বনি পরিণত হয় প্রশংসাধ্বনিতে। ম্যাচের পর জুভ কোচ অবশ্য বলেন, ব্যাজ্জোর পেনাল্টি না নেওয়াটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। তাঁর পেনাল্টি নেওয়ার মানসিকতা সম্পর্কে জানতেন ফিওরেন্তিনা গোলরক্ষক মারেগিনি।
অতিথি হয়ে এর পর আরও অনেকবার ফিওরেন্তিনার মাঠে আসেন ব্যাজ্জোও। কিন্তু প্রথমবার খেলতে আসার সেই অভিজ্ঞতা হয়তো কখনোই ভুলতে পারবেন না।
বছরখানেকও হয়নি। এর মধ্যেই অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল ছেত্রী। এমনটাই জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। আগামী ২৫ মার্চ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। শিলংয়ে অনুষ্ঠিতব্য সেই ম্যাচেই ভারতের জার্সিতে দেখা যেতে পারে...
৯ ঘণ্টা আগেভারত নাকি নিউজিল্যান্ড—চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা উঠবে কার হাতে? সেই উত্তর মিলবে আগামী ৯ মার্চ। এর আগে ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা দিয়েছে আইসিসি।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
১১ ঘণ্টা আগেএশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে অম্ল-মধুর এক দিন পার করল বাংলদেশ নারী দল। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়াকে। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখে ম্যাট ছাড়ে ৫২-১২ পয়েন্ট ব্যবধানের জয় নিয়ে।
১১ ঘণ্টা আগে