Ajker Patrika

দুয়ার খুলতে পারে অমিত-নাঈমের, বাদ পড়ার শঙ্কায় জাকির-জয়-দীপু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৪৪
দুয়ার খুলতে পারে নাঈম-অমিতের। ছবি: সংগৃহীত
দুয়ার খুলতে পারে নাঈম-অমিতের। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই মাসের বিরতির পর ২০ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজও এখন খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না বাংলাদেশের ক্রিকেটে। খোদ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার মনে করেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজগুলোয় ভালোভাবে বিশ্রামনীতি কাজে লাগাতে পারে বিসিবি।

কিন্তু বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট জিম্বাবুয়েকেও হালকাভাবে দেখতে চায় না; বরং সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার নীতিতেই জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে খেলতে চায় বাংলাদেশ। কারণও আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করলে কৃতিত্ব সেভাবে মিলবে না। কিন্তু খারাপ করলেই সমালোচনার তির ছুটে যাবে। এ ধরনের সিরিজে কি ভিন্ন কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব হয়? সদ্য লম্বা মেয়াদে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স গত পরশু আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘না, এটা আরেকটা সিরিজ। আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেটা আমরা ক্যারিবীয় সফরে (গত ডিসেম্বরে) খেলেছি। ওই পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে হবে।’

ঈদের ছুটি শেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিসিবির অফিশিয়াল কার্যক্রম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সিলেট টেস্টের দল ঘোষণা হতে পারে সোম বা মঙ্গলবার। কোচ সিমন্স চলে আসবেন বুধবারের মধ্যেই। সিলেটে ১১ এপ্রিল শুরু হবে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প। যাঁদের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ থাকবে না, এমন ক্রিকেটাররা সিলেটে চলে যাবেন ১০ এপ্রিল। টানা চার মাস সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করতে হচ্ছে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রায় ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্পেই লাল বলে নিজেদের তৈরি করবেন শান্তরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট সামনে রেখে নির্বাচকেরা দল প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এই সিরিজে দলে ফিরছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর মিস করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তবে আলোচনায় আছেন কয়েকজন নতুন মুখ; যাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালোভাবে নির্বাচকদের ভাবনায় জায়গা করে নিয়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শান্তর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে শান্ত ফেরায় তাঁর কাঁধেই হয়তো নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হবে। শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে সামান্য সংশয়ের কারণ, ২০২৪ সালের শুরুতে বিসিবি শান্তকে অধিনায়ক করেছিল ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। এখনো তিনি চালিয়ে যাবেন কি না, এ ব্যাপারে বিসিবি আনুষ্ঠানিক কিছু না জানানোয় এই সংশয় তৈরি হয়েছে। অধিনায়কত্ব নিয়ে সংশয়ে আছেন খোদ শান্তও।

ঘরের মাঠে আসন্ন টেস্ট সিরিজে উইকেটকিপার-ব্যাটার লিটন দাসকে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানা গেছে। তিনি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) করাচি কিংসের হয়ে পুরো মৌসুম খেলতে এরই মধ্যে বিসিবির ছাড়পত্র (এনওসি) পেয়েছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে নির্বাচকেরা ব্যাটিং লাইনআপে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের কথা ভাবছেন; বিশেষ করে ছন্দে হারিয়ে ফেলা ব্যাটারদের জায়গায় ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার চিন্তা রয়েছে তাঁদের। আর এখানেই আলোচনায় আছেন নাঈম শেখ ও অমিত হাসান।

নাঈম শেখ ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিসিএল ও জাতীয় লিগ মিলিয়ে গত তিন মাসে দেড় হাজারের কাছাকাছি রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। অমিত সবশেষ জাতীয় লিগে ৭ ম্যাচে ৭৮.৫০ গড়ে করেছেন ৭৮৫ রান। লম্বা ইনিংস খেলার সামর্থ্য ও ধারাবাহিকতা তাঁকে জায়গা করে দিতে পারে জাতীয় দলে। অন্যদিকে ছন্দ হারিয়ে ফেলা জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপু, মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে সংশয়ে পড়েছে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল। ছন্দ হারানো ব্যাটারদের জায়গায় ভালো শুরু পেতে ওপেনিংয়ে অমিত-নাঈমের অন্তর্ভুক্তি হতে পারে এই সিরিজের দল ঘোষণায় বিশেষ চমক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত