নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একটু এদিক-ওদিক হলেই তামিম ইকবাল চলে যেতেন না ফেরার দেশে। তামিম যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন, সেই মুহূর্তে আকরাম খানও ছিলেন ভীষণ দুশ্চিন্তায়। সেই উৎকণ্ঠার মুহূর্তে আকরামকে জানানো হয়েছিল, তামিম আর নেই!
আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা আর অপেক্ষার এক দীর্ঘ সময় পার করেছেন আকরাম খান। সোমবার বিকেলে মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। দ্রুতই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে ঘটে এক ভয়াবহ বিভ্রান্তি—প্রথমে মিরপুরে আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে লাল-সবুজ দলের টি-টেন ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আকরাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালককে বেশির ভাগ প্রশ্নই করা হয়েছে তামিমকে নিয়ে। কেপিজে হাসপাতালে যখন তাঁর চিকিৎসা চলছিল, ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে আকরাম বলেন, ‘তামিমের অসুস্থতার খবর শুনে যে ভয় পেয়েছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি কথা বলতে, যখন আমি খবরটা পেয়েছিলাম, ভীষণ রকম দুঃসংবাদ ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, তামিম আর নেই।’
তামিম নেই, এটা শুনে শোকে তখন স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন আকরাম। নিজের কানকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বিসিবি পরিচালক। ভাতিজা তামিম কেমন আছেন—প্রতিটা মুহূর্তেই এমন দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল বিসিবি পরিচালককে। উৎকণ্ঠার সেই মুহূর্তের কথা চিন্তা করে আকরাম আজ বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে রওনা দিলাম, কিন্তু পথ যেন শেষই হচ্ছিল না। প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল, সব ঠিক তো? তামিম কেমন আছে? দূর থেকে অপেক্ষা করাটা ছিল এক অস্থির সময়।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে পরশু মুখোমুখি হয়েছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান। সেদিন টসের সময় মোহামেডান অধিনায়ক তামিম সুস্থ থাকলেও ফিল্ডিংয়ের সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। হেলিকপ্টারে আনা হলেও সেখানে ওঠার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তড়িঘড়ি করে বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে যাওয়ার সময় সিপিআর দিচ্ছিলেন মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম। পরে কেপিজে হাসপাতালে এনজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর যখন জানতে পেরেছিলেন তামিম বেঁচে আছেন, সেই মুহূর্তে স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলেন আকরাম।
কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের যেভাবে চিকিৎসা করেছিলেন, গতকাল সেটির প্রশংসা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর। তামিমের চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আকরামও। বিসিবির পরিচালক বলেন, ‘ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে রোগী ফেরানোর সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কিন্তু তামিম সৌভাগ্যবান; কারণ, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেয়েছে।’
বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তামিম। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পর আকরাম বলেছেন, ‘আগামী দু-তিন দিন যদি অবস্থা স্থিতিশীল থাকে, তাহলে তাকে বাসায় নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনাও আছে।’
আরও খবর পড়ুন:
একটু এদিক-ওদিক হলেই তামিম ইকবাল চলে যেতেন না ফেরার দেশে। তামিম যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন, সেই মুহূর্তে আকরাম খানও ছিলেন ভীষণ দুশ্চিন্তায়। সেই উৎকণ্ঠার মুহূর্তে আকরামকে জানানো হয়েছিল, তামিম আর নেই!
আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা আর অপেক্ষার এক দীর্ঘ সময় পার করেছেন আকরাম খান। সোমবার বিকেলে মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। দ্রুতই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে ঘটে এক ভয়াবহ বিভ্রান্তি—প্রথমে মিরপুরে আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে লাল-সবুজ দলের টি-টেন ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আকরাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালককে বেশির ভাগ প্রশ্নই করা হয়েছে তামিমকে নিয়ে। কেপিজে হাসপাতালে যখন তাঁর চিকিৎসা চলছিল, ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে আকরাম বলেন, ‘তামিমের অসুস্থতার খবর শুনে যে ভয় পেয়েছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি কথা বলতে, যখন আমি খবরটা পেয়েছিলাম, ভীষণ রকম দুঃসংবাদ ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, তামিম আর নেই।’
তামিম নেই, এটা শুনে শোকে তখন স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন আকরাম। নিজের কানকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বিসিবি পরিচালক। ভাতিজা তামিম কেমন আছেন—প্রতিটা মুহূর্তেই এমন দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল বিসিবি পরিচালককে। উৎকণ্ঠার সেই মুহূর্তের কথা চিন্তা করে আকরাম আজ বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে রওনা দিলাম, কিন্তু পথ যেন শেষই হচ্ছিল না। প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল, সব ঠিক তো? তামিম কেমন আছে? দূর থেকে অপেক্ষা করাটা ছিল এক অস্থির সময়।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে পরশু মুখোমুখি হয়েছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান। সেদিন টসের সময় মোহামেডান অধিনায়ক তামিম সুস্থ থাকলেও ফিল্ডিংয়ের সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। হেলিকপ্টারে আনা হলেও সেখানে ওঠার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তড়িঘড়ি করে বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে যাওয়ার সময় সিপিআর দিচ্ছিলেন মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম। পরে কেপিজে হাসপাতালে এনজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর যখন জানতে পেরেছিলেন তামিম বেঁচে আছেন, সেই মুহূর্তে স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলেন আকরাম।
কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের যেভাবে চিকিৎসা করেছিলেন, গতকাল সেটির প্রশংসা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর। তামিমের চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আকরামও। বিসিবির পরিচালক বলেন, ‘ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে রোগী ফেরানোর সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কিন্তু তামিম সৌভাগ্যবান; কারণ, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেয়েছে।’
বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তামিম। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পর আকরাম বলেছেন, ‘আগামী দু-তিন দিন যদি অবস্থা স্থিতিশীল থাকে, তাহলে তাকে বাসায় নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনাও আছে।’
আরও খবর পড়ুন:
লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইউরোপ পর্ব শেষ হয়েছে অনেক দিন আগে। তবে ‘কে সেরা’—এটা নিয়ে এই দুই কিংবদন্তির ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে কথার লড়াই জমে ওঠে। দুই জনের দ্বৈরথ দেখতে অনেকেই মুখিয়ে থাকেন। যদি রোনালদো, মেসি এক দলে খেলেন, তাহলে সেটা তো স্বপ্নের মতো!
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুহাম্মদ আব্বাসের শুরুটা হয়েছে অসাধারণ। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে চালিয়েছেন তাণ্ডব। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংই মূলত ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেচার-ছক্কার বন্যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মাঠেই ভক্ত-সমর্থকেরা পান প্রচুর বিনোদন। এছাড়াও মাঠ ও মাঠের বাইরে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যেগুলো হাসির খোরাক জোগায়। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবরা এবার ঘটিয়েছেন মজার এক কাণ্ড। সামাজিক মাধ্যমে রোহিতদের এই ঘটনা ভাইরাল।
৪ ঘণ্টা আগেএক খেলার তারকাদের ম্যাচ দেখতে অন্য খেলার তারকাদের যাওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহাম মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে বসে দেখেছেন বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। এবার নোভাক জোকোভিচের খেলা গ্যালারিতে বসে দেখেছেন লিওনেল মেসি।
৬ ঘণ্টা আগে