নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের সংবিধান-রাজনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সংস্কার করা। সেই লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনগুলো অনেক প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া এসব সংস্কার করাও কঠিন। কিন্তু সংবিধান থেকে শুরু করে নির্বাচনসহ অনেক বিষয়ে প্রধান দলগুলোর অবস্থানে বেশ ফারাক লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে ঐকমত্য কমিশন করে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এই মতৈক্য ঘোচানোর চেষ্টা চলছে। তারপরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ।
বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে সংস্কার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। সংস্কার অবশ্যই দরকার। তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। এ জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার দরকার, তা করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির এই মতের সঙ্গে মিল নেই তাদের একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর। নির্বাচনের আগেই সংস্কারের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে যাচ্ছে দলটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে তারা। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতের নেতারা। জামায়াতের এই দাবির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বিএনপির নেতারা।
অন্য দিকে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বরাবরই সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির বক্তব্য—সংস্কার ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ অবস্থানে অনড় থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে মত দিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
সংস্কার বিষয়ে মতভিন্নতা দূর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতভিন্নতা দূর করতে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াসহ যোগাযোগ করছে কমিশন।
সর্বশেষ গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হলো, যেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই ছিল সংস্কার। সেই আলোচনার পরেও সংস্কার প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে দলগুলো।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, মূলত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কারগুলো করে ফেলা, তারপর দ্রুত নির্বাচন করা, এরপর একটি সংসদের মাধ্যমে বাড়তি সংস্কার করা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটাই আমরা বলেছি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। যত দিন যাবে, এই ষড়যন্ত্র আরও ডালপালা মেলার সুযোগ পাবে। যে কারণে সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করতে রাজি নয় বিএনপি।
তাই আগের অবস্থানে থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যেও অনেক দলই সংস্কার, সংলাপকে নির্বাচন বিলম্বের কারণ মনে করছে। দলগুলোর একাধিক নেতা বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপটা কেন দেওয়া হচ্ছে না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, সেজন্য অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির উদ্দেশে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণপরিষদ, উপজেলা এসব বাদ দেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য গ্রামেগঞ্জে যান এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে প্রার্থী দেন। সংসদে যান, সেখানেই হবে মূল সংস্কার। ভোটকেন্দ্রের সংস্কার করেন। আর যাঁরা ভোট নেবেন, তাঁরা যেন হাসিনার মতো রাতে ভোট না করে সে ব্যবস্থা করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা ভালো নির্বাচন হোক। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার, সেইটুকু করা হোক।’
এদিকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনে মতামত দিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিশেষ কোনো মতামত নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘গণপরিষদ প্রশ্নে আমাদের কোনো মতামত নেই। মতামত অনেক রকম আসছে, কমিশনও বলছে, গণপরিষদ আর জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা আছে। গণপরিষদ হয় একটা নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য। সংবিধান তো জাতীয় সংসদেও প্রণয়ন করা যায়। এসব বিষয়ে আমরা আমাদের সুবিধা-অসুবিধা উল্লেখ করে পরামর্শ দিয়েছি। এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব রিপোর্টের ভিত্তিতে সব দলের সঙ্গে বসবে, ওয়ান টু ওয়ান কথা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
দেশের বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটা নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এটা ভয়াবহ। প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় রদবদল হয়েছে। বিএনপির অনেকেই সেখানে এসেছে। তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় অসহযোগিতা করে, তাহলে সেটা তো দেরি হবে।
অনেক রাজনৈতিক দল সরকারকে সহায়তা না করে বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন করছে জানিয়ে সামান্থা বলেন, অসহযোগিতা থাকলে সময়মতো নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে। বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা না করে দলীয় স্বার্থ চিন্তা করা হলে তো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কার নিয়ে ন্যাশনাল চার্টার তৈরি করা এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আমাদের প্রস্তাব। সরকার একটা ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে নিশ্চয় একটা ঐকমত্য তৈরি হবে। তবে এসব বিষয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কার চায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়ে এসেছে দলগুলো।
তবে সংস্কার বিষয়ে দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা যেটা জানাবে তখনই আমরা বিবেচনায় নেব, আলোচনা করব। তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে।’
আজ ১৭ মার্চ। শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৬তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘যে সরকারই নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবে, তাদের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শহীদ, গুম, খুনের ঘটনার বিচার করতে হবে।’ আজ রোববার রাজধানীর হোটেল লেক শোরে এক ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেমব সৃষ্টিকারীরা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জমিন প্রস্তুত করছে বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও গ্রেপ্তারচেষ্টার নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশব্যাপী নারী নিপীড়ন বন্ধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মুখপত্র সাপ্তাহিক একতায় সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানি চলাকালে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগে