কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রথম অস্থায়ী সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমানসহ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সবাই কিশোরগঞ্জের মানুষ উল্লেখ করে এই জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোর হলেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলো সব সময় কিশোরগঞ্জই পায়—এটা হলো বাস্তবতা। আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেব। সেই সাথে সকলের জন্য ভোট চাওয়ার জন্য। কারণ, কিশোরগঞ্জ সব সময় আওয়ামী লীগ, নৌকা মার্কা, নৌকা (নাও) বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী প্রচারণা সভায় যুক্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মানুষের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেল। তবে কিশোরগঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়, সেখানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু সে সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম সাহেবই কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং দেশের বিজয় এনে দেন।’
ভার্চুয়ালি প্রচার সভায় কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নৌকা পেয়েছেন জাকিয়া নূর লিপি। সে সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে বিদেশে ছিল। আওয়ামী লীগের ডাকে সে চলে আসে। রেহানার ডাকে সে চলে আসে। সে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ছিল।’ আবারও তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত তাঁর হাত দিয়েই করা হয়েছে। খুনিদের ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করে জিয়াউর রহমান যে তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল, সে আইন পার্লামেন্টে বাতিল করা হয়। যে খুনিদের বিচার করা সম্ভব হয়েছিল সেখানে আব্দুল কাহার আকন্দের বিরাট অবদান আছে। যার জন্য আব্দুল কাহার আকন্দকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। সেখানে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বারবার দিতে হচ্ছে। নৌকা যারা রয়েছে, তাদের জন্য এটা খুব দুঃখের। তবে এবারই শেষ! ভবিষ্যতে কাউকে দেওয়া হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এখান থেকে হামিদ সাহেব বারবার জয় লাভ করেছেন। কখনো নৌকার বাইরে যায়নি। এই জায়গাটার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্য থাকবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে আফজাল হোসেন বাজিতপুরে আমাদের পার্টির প্রেসিডেন্ট।’ তাঁকেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন সে মনে হয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। খেলাও চলছে, তা ছাড়া এলাকাতেও আছে।’ কিশোরগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন এই বার্তা এলাকায় এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রথম অস্থায়ী সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমানসহ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সবাই কিশোরগঞ্জের মানুষ উল্লেখ করে এই জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোর হলেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলো সব সময় কিশোরগঞ্জই পায়—এটা হলো বাস্তবতা। আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেব। সেই সাথে সকলের জন্য ভোট চাওয়ার জন্য। কারণ, কিশোরগঞ্জ সব সময় আওয়ামী লীগ, নৌকা মার্কা, নৌকা (নাও) বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী প্রচারণা সভায় যুক্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মানুষের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেল। তবে কিশোরগঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়, সেখানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু সে সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম সাহেবই কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং দেশের বিজয় এনে দেন।’
ভার্চুয়ালি প্রচার সভায় কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নৌকা পেয়েছেন জাকিয়া নূর লিপি। সে সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে বিদেশে ছিল। আওয়ামী লীগের ডাকে সে চলে আসে। রেহানার ডাকে সে চলে আসে। সে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ছিল।’ আবারও তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত তাঁর হাত দিয়েই করা হয়েছে। খুনিদের ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করে জিয়াউর রহমান যে তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল, সে আইন পার্লামেন্টে বাতিল করা হয়। যে খুনিদের বিচার করা সম্ভব হয়েছিল সেখানে আব্দুল কাহার আকন্দের বিরাট অবদান আছে। যার জন্য আব্দুল কাহার আকন্দকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। সেখানে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বারবার দিতে হচ্ছে। নৌকা যারা রয়েছে, তাদের জন্য এটা খুব দুঃখের। তবে এবারই শেষ! ভবিষ্যতে কাউকে দেওয়া হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এখান থেকে হামিদ সাহেব বারবার জয় লাভ করেছেন। কখনো নৌকার বাইরে যায়নি। এই জায়গাটার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্য থাকবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে আফজাল হোসেন বাজিতপুরে আমাদের পার্টির প্রেসিডেন্ট।’ তাঁকেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন সে মনে হয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। খেলাও চলছে, তা ছাড়া এলাকাতেও আছে।’ কিশোরগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন এই বার্তা এলাকায় এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে গতকাল সোমবার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসলাম এ হুমকি দেন।
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য। কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দিল্লি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ চলমান থাকবে। যারাই আপস করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগর এলাকায় নিহত আজাদ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিম
১ দিন আগে