Ajker Patrika

‘টিকা নিয়ে আর কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই’

উত্তরা-বিমানবন্দর প্রতিবেদক
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৮: ৫৭
Thumbnail image

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো  সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে আজ শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আজ শনিবার  বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে জাপান থেকে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কোভ্যাক্সের আওতায় অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০টি ডোজ উপহারের টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।টিকাবাহী বিমানটি জাপানের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। 

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের সব কাগজপত্র তৈরি আছে। চুক্তিপত্রও পেয়েছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। যেকোনো মুহূর্তে আমরা যৌথ উৎপাদনে চলে যাব।’
 
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে ৩০ লাখ টিকা উপহার স্বরূপ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপান। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০টি ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে। পর্যায়ক্রমে আরও টিকা দেবে দেশটি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশে অনেক পুরোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক।’ 

টিকা তৈরি বিষয়ে যৌথ উৎপাদন না কি বোতলজাত করণের কাজ হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের বাল্ক মেডিসিন পাঠাবে, আমদের এখানে লেভেলিং করা হবে।’ 

 এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দেশে আমরা অধিকতর হাসপাতাল বেড, ভেন্টিলেশন বানাতে পারি। অধিকতর করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে পারি। কিন্তু এই মহামারিকে দূরে রাখার জন্য যে টা প্রয়োজন তা হলো, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা ঝুঁকিতে পড়ছেন।  তাই দেশ বাসীর কাছে আমার আকুল আবেদন নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের নাগরিকদের জন্য সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ’

 এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে করোনা প্রতিরোধের জন্য অনেক বাংলাদেশি নাগরিক অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে টিকা দান কর্মসূচি চালু থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য জাপান বাংলাদেশের বন্ধুদের কাছে এই টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশকে সহযোগীর জন্য সব সময় জাপান প্রস্তুত রয়েছে। 

 জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রথম দফায় কোভ্যাক্সের আওতায় অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে জাপান। আমরা পর্যায়ক্রমে মোট ৩০ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার দেব। আগামী মাসে আরও টিকা দেওয়া হবে বলেনও জানান জাপান রাষ্ট্রদূত। 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত