Ajker Patrika

মার্কিন পদকের জন্য মনোনীত জুলাই কন্যারা, প্রত্যাখ্যান উমামার

অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন পদকের জন্য মনোনীত জুলাই কন্যারা, প্রত্যাখ্যান উমামার

বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বাংলাদেশি নারীদের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ডস নামের এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ উমামা ফাতেমা।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় দুপুর ১টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প স্টেট ডিপার্টমেন্টে এই পদক বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

এতে আরও বলা হয়, এ নিয়ে ১৯ তম বারের মতো এই পদক দেওয়া হচ্ছে। আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ড বিশ্বের সেই নারীদের স্বীকৃতি দেয়, যারা প্রায়ই চরম ব্যক্তিগত ঝুঁকি ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ব্যতিক্রমী সাহস, শক্তি ও নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৯০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি নারীকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। বিদেশে অবস্থিত মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলো তাদের নিজ নিজ স্বাগতিক দেশ থেকে একজন সাহসী নারীকে মনোনীত করে এবং চূড়ান্ত মনোনীতদের নির্বাচন ও অনুমোদন করেন ঊর্ধ্বতন ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশি নারীদের এই পদক দেওয়ার বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একদল সাহসী নারী ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন। হুমকি ও সহিংসতার পরও নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরুষ বিক্ষোভকারীদের মাঝে দাঁড়িয়ে তারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছেন।

যখন তাদের পুরুষ সহকর্মীরা গ্রেপ্তার হন, তখন এই নারীরা ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার সময়ও সেন্সরশিপের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে যোগাযোগ বজায় রাখা এবং বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করেন। অনিশ্চয়তার মধ্যে এই নারীদের সাহস ও নিঃস্বার্থতা ছিল সাহসের সঠিক সংজ্ঞা।

এদিকে, বাংলাদেশের নারীরা এই পদক পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘অসীম সাহসিকতার প্রতীক আমাদের জুলাই কন্যাদের প্রতি, ২০২৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার অর্জন করায় তোমাদের সবাইকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

অপরদিকে, এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘নারী আন্দোলনকারীদের কালেকটিভ স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নারকীয় হামলাকে প্রত্যক্ষভাবে এন্ডোর্স করে যাওয়ার জন্য এওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হয়েছে।’

উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করে পুরস্কারটি ইসরায়েলের হামলাকে যে প্রক্রিয়ায় জাস্টিফাই করেছে তা পুরস্কারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক মানবাধিকার (ভূমির অধিকার) থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান রেখে এই পুরস্কার আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের ১৮ বছরের সেই অপেক্ষা তবে ফুরোচ্ছে

চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে সিঁধ কেটে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঈদগাহে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান: আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

রাজধানীতে পুরোনো আবহের ঈদ এবং রক্ষণশীলতার ঘোমটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত