নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে? নাকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আমার হাত দিয়ে এই দেশের কোনো সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
আজ বুধবার গণভবনে সুইজারল্যান্ড ও কাতারে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২০০১ সালে আমিও ক্ষমতায় আসতে পারতাম মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় আসতে পারতাম। আর এখন যদি বলি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কারও কাছে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কাউকে আক্রমণ করবে—এ ধরনের কাজ আমরা হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বাস করি।’
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যে ১১ লাখ শরণার্থী এসেছে, তারপরও তাদের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। এরা যাতে ফেরত যায় তার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুরোধ করছি। আমরা কিন্তু ঝগড়া বা যুদ্ধ করিনি। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—এই নীতিতে বিশ্বাস করি। তা মেনে চলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে বিএনপিসহ কিছু দল মাঠে নেমেছে, তাদের অসুবিধা কোথায়? সমস্যাটা কী? মানুষ দুই বেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছে। এত মুদ্রাস্ফীতির পরেও মানুষের খাবারের অভাব হচ্ছে না। হ্যাঁ, একটু চাপে আছে মানুষ, সেই কষ্টটা আমি বুঝি। তাই আমাদের প্রচেষ্টা আছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। তাই যতটা সহজ করা দরকার সেটা করে যাচ্ছি। আগে তো মানুষ খেতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে যেখানে মাটি দিয়ে হেঁটে যেত হতো সেন্ডেল জোড়া বগলদাবা করে, এখন সেখানে হয় ভ্যানে যাচ্ছে, না হয় স্যান্ডেল পরে। মানুষের তো একজোড়া স্যান্ডেলও ছিল না। এখন তো পাচ্ছে। কার জন্য পাচ্ছে? আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই সম্ভব। সাড়ে ১৪ বছর আমরা অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন, অপপ্রচার মোকাবিলা করেই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সেটাই মানুষ চাইবে? নাকি আবার সেই সন্ত্রাসের যুগে প্রবেশ করবে, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির যুগে প্রবেশ করবে? সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। তারা করুক, কী করবে।’
এ সময় এক সাংবাদিক (সোহেল সানী) মাইক ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে থাকেন। তিনি অভিযোগ করেন, একটা প্রশ্ন আছে আমার, কিন্তু এখানে তো (গণভবন) সুযোগ দেওয়া হয় না প্রশ্ন করার, কথা বলার। কিন্তু আমরা যারা কলাম লিখি...
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি তো দেখি বিএনপির লোকদের মতো সারা দিন মাইক লাগিয়ে বলছেন কথা বলতে দেয় না। আপনি তো কথা বলতেছেন রে ভাই। ঠেকাল কে? বাধা দিয়েছে কেউ?’ তখন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের সদস্যরা বলেন, তাঁরা বাধা দেননি।
পরে ওই সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে আমরা কি আসা করতে পারি, দেশটি আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে যে ভূমিকা রাখছে তার নিন্দা করবে? যা আমাদের নির্বাচনের জন্য ভূমিকা রাখবে?
পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উত্তরে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সদ্ভাব রয়েছে। তাদের নিজের সার্বভৌমত্ব আছে। কাজেই তারা কী করবে-না করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। শুধু এইটুকু বলতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে? নাকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আমার হাত দিয়ে এই দেশের কোনো সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
আজ বুধবার গণভবনে সুইজারল্যান্ড ও কাতারে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২০০১ সালে আমিও ক্ষমতায় আসতে পারতাম মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় আসতে পারতাম। আর এখন যদি বলি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কারও কাছে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কাউকে আক্রমণ করবে—এ ধরনের কাজ আমরা হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বাস করি।’
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যে ১১ লাখ শরণার্থী এসেছে, তারপরও তাদের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। এরা যাতে ফেরত যায় তার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুরোধ করছি। আমরা কিন্তু ঝগড়া বা যুদ্ধ করিনি। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—এই নীতিতে বিশ্বাস করি। তা মেনে চলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে বিএনপিসহ কিছু দল মাঠে নেমেছে, তাদের অসুবিধা কোথায়? সমস্যাটা কী? মানুষ দুই বেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছে। এত মুদ্রাস্ফীতির পরেও মানুষের খাবারের অভাব হচ্ছে না। হ্যাঁ, একটু চাপে আছে মানুষ, সেই কষ্টটা আমি বুঝি। তাই আমাদের প্রচেষ্টা আছে। মানুষের দুঃখ-কষ্টটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। তাই যতটা সহজ করা দরকার সেটা করে যাচ্ছি। আগে তো মানুষ খেতে পারত না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে যেখানে মাটি দিয়ে হেঁটে যেত হতো সেন্ডেল জোড়া বগলদাবা করে, এখন সেখানে হয় ভ্যানে যাচ্ছে, না হয় স্যান্ডেল পরে। মানুষের তো একজোড়া স্যান্ডেলও ছিল না। এখন তো পাচ্ছে। কার জন্য পাচ্ছে? আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই সম্ভব। সাড়ে ১৪ বছর আমরা অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন, অপপ্রচার মোকাবিলা করেই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সেটাই মানুষ চাইবে? নাকি আবার সেই সন্ত্রাসের যুগে প্রবেশ করবে, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির যুগে প্রবেশ করবে? সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। তারা করুক, কী করবে।’
এ সময় এক সাংবাদিক (সোহেল সানী) মাইক ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে থাকেন। তিনি অভিযোগ করেন, একটা প্রশ্ন আছে আমার, কিন্তু এখানে তো (গণভবন) সুযোগ দেওয়া হয় না প্রশ্ন করার, কথা বলার। কিন্তু আমরা যারা কলাম লিখি...
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি তো দেখি বিএনপির লোকদের মতো সারা দিন মাইক লাগিয়ে বলছেন কথা বলতে দেয় না। আপনি তো কথা বলতেছেন রে ভাই। ঠেকাল কে? বাধা দিয়েছে কেউ?’ তখন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের সদস্যরা বলেন, তাঁরা বাধা দেননি।
পরে ওই সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে আমরা কি আসা করতে পারি, দেশটি আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে যে ভূমিকা রাখছে তার নিন্দা করবে? যা আমাদের নির্বাচনের জন্য ভূমিকা রাখবে?
পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উত্তরে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সদ্ভাব রয়েছে। তাদের নিজের সার্বভৌমত্ব আছে। কাজেই তারা কী করবে-না করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। শুধু এইটুকু বলতে পারি।’
শুভ সন্ধ্যা, আজ রোববার ২ ফেব্রুয়ারি। শীতের দাপট কমতে শুরুতে, তবে সকালে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ঢাকায় ইজতেমাসহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় যানজটে চরম ভোগান্তি হয়েছে। রাজধানীতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এর অন্যতম কারণ। এছাড়া দেশ-বিদেশে দিনভর
১ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ফুলকপি। ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে...
১ ঘণ্টা আগেসরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবির যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানান, সাত কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলছে, তবে শুধু তিতুমীর কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে কলেজের সামনে
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে। যারা আহত হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতি প্রবণ। তাদের বিষয়টি অতি গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে...
২ ঘণ্টা আগে