আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ আর মিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আজ মিসরে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু উল্লেখ করেছেন যে ছুটির শুরুর সময়ের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
আজ সোমবার সকালে হোয়াইট হাউস এবং মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছিল, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
হামাসের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী প্রথম বাসটি এখন গাজায় পৌঁছেছে। এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
এদিকে, ইসরায়েল থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো রামাল্লায় পৌঁছায়। আল–জাজিরা জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের মুক্তি দেওয়া কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে বহনকারী বাস রামাল্লায় পৌঁছেছে।
এর আগে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ কারাগার থেকে মুক্ত বন্দিদের নিয়ে আরও কয়েকটি বাস গাজার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ইসরায়েল থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো রামাল্লায় পৌঁছেছে। আল–জাজিরা জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের মুক্তি দেওয়া কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে বহনকারী বাস রামাল্লায় পৌঁছেছে।
এর আগে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ কারাগার থেকে মুক্ত বন্দিদের নিয়ে আরও কয়েকটি বাস গাজার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ইসরায়েল দ্বিতীয় দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের নাম প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হামাসের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২০ জন জিম্মির নাম নিশ্চিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন—
এইতান মোর
গালি বারম্যান
জিভ বারম্যান
ওমরি মিরান
আলন ওহেল
গাই গিলবোয়া-দালাল
মাতান আংগ্রেস্ত
এলকানা বোহবত
আভিনাতান অর
ইয়োসেফ-হাইম ওহানা
এভিয়াতার ডেভিড
রোম ব্রাসলাবস্কি
সেগেভ কালফন
মাকসিম হারকিন
বার কুপারস্টেইন
এইতান হর্ন
এরিয়েল কুনিও
ডেভিড কুনিও
মাতান জাঙ্গাউকার
নিমরদ কোহেন
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল–সিসির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার লোহিত সাগর তীরের রিসোর্ট শহর শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে অংশ নেবেন।
মিসরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও ওই সম্মেলনে অংশ নেবেন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শত শত মানুষ উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছে হাজারো ফিলিস্তিনি। যেকোনো মুহূর্তে তাদের স্বজনেরা ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
রামাল্লা থেকে বিবিসির সাংবাদিক টম ব্যাটম্যানকে ২৪ বছর বয়সী আমর আবদুল্লাহ জানান, তিনি অপেক্ষা করছেন তাঁর চাচাতো ভাই রাশিদ ওমরের জন্য। ৪৮ বছর বয়সী রাশিদকে ২০০৫ সালের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ইসরায়েলি আদালত তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আমর বলেন, ‘সে এখন স্বাধীনতা আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত।’ তিনি কোলাহলপূর্ণ এক কনফারেন্স হলে এই কথা বলেন, যেখানে আরও অনেক পরিবার অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার আশায়। উপস্থিত অনেকেই উদ্বিগ্ন, তবে একই সঙ্গে স্বস্তি ও আনন্দে ভরপুর—যুদ্ধের সম্ভাব্য অবসান তাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
আমর বলেন, ‘আমি শান্তি চাই। আমি সুখী, নিরাপদ ও শান্ত জীবনে বাঁচতে চাই—অধিকারের শৃঙ্খল আর দখলের ভয় ছাড়া।’
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে থাকা সব জীবিত ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। হামাস আরও জানিয়েছে, নিহত বন্দিদের দেহ পরে হস্তান্তর করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আজ ২০ জন জীবিত বন্দির হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল। সঙ্গে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মরদেহও ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গাজার নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থা কীভাবে নিশ্চিত হবে, পরবর্তী পথ কী—এসব বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি খুব বেশি কিছু বলেননি। তাঁর কাছে বিবিসির সাংবাদিক টম ব্যাটম্যান জানতে চান, তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় থাকা বহুজাতিক বাহিনী বা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ) কেমন হবে?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা হবে বড়, শক্তিশালী একটা বাহিনী।’ তবে যোগ করেন, এটি ‘প্রায় ব্যবহারই করতে হবে না’, কারণ ‘সবাই ঠিকমতো আচরণ করবে, সবাই জানে তাদের জায়গা কোথায়।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি পরিষদ খুব দ্রুতই গঠিত হবে, যা গাজা পরিচালনা করবে।
তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি দ্বিতীয় দফার আলোচনার অংশ হওয়ার কথা, আর হামাস আগেই এই ধারণা প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প এতে নিরুৎসাহিত নন। তিনি বলেন, ‘সবাই এতে অংশ নিতে চায়। আমি বিশ্বের সব নেতার কাছ থেকেই ফোন পাচ্ছি।’
বারবারই তিনি ফিরে আসছিলেন একই কথায়—‘এটা ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে এক অসাধারণ সাফল্য’ এবং ‘একটা অনন্য সময়ের মুহূর্ত।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন জিম্মির প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে, যাদের আজ সকালে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, মুক্তির পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করছেন আলোন ওহেল। এ ছাড়া যমজ দুই ভাই গালি ও জিভ বর্মানকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গেছে।
আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন গালি বর্মান ও গাই গিলবোয়া-দালাকে।
গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সাময়িক সময়ের জন্য অস্ত্র হাতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে পৌঁছে এমন কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে গাজা সফরে যেতে চান কিনা সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেতে পারলে আমি ‘গর্ববোধ’ করব।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সফর করতে চাই, অন্তত আমি গাজায় পা রাখতে চাই।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রেডক্রস গাজায় আরও জিম্মিদের গ্রহণ করবে। তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেডক্রস (আইসিআরসি) আরও জিম্মিকে গ্রহণের জন্য দক্ষিণ গাজার আরেকটি স্থানে যাচ্ছে।
এর প্রথম দফায় ৭ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে হামাস।
আল-জাজিরার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রেড ক্রসের গাড়িগুলো এখন মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ শহরে উপস্থিত রয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসেও জিম্মিদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত রেডক্রস।
২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মধ্যে ১০৮ জনকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে মুক্তি দেওয়ার জন্য রেডক্রসের বেশ কয়েকটি ওফারের ইসরায়েলি কারাগারে পৌঁছেছে।
লাইভ ভিজ্যুয়ালে দেখা যাচ্ছে, এয়ার ফোর্স ওয়ানের উড়োজাহাজটি ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন। এরপর তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির শীর্ষ সম্মেলনে সহসভাপতিত্ব করতে মিসরে যাবেন।
ইসরায়েলে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে জিম্মি নেপালি ছাত্র বিপিন জোশি বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ নেই।
ধন প্রসাদ পণ্ডিত বিবিসি নেপালিকে জানিয়েছেন, জোশির দেহাবশেষ উদ্ধার করা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
জোশি ইসরায়েলের 'লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং' স্কিমের অধীনে কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বিবিসিকে জানিয়েছেন, নেপালি ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তাঁদের জানিয়েছেন যে জোশি জীবিত ২০ জনের তালিকায় নেই।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রেড ক্রসের একটি বাস এবং আরও বেশ কয়েকটি রেড ক্রসের গাড়ি পৌঁছেছে। তবে সেসব গাড়িতে কী আছে তা নিশ্চিত নয়।
ফিলিস্তিনিরা আজ নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে বন্দীদের বিনিময়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে আজ মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। আজ বেলা ১টার মধ্যে বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার কথা।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিশাল জনতা জড়ো হচ্ছে। সেখানে শিগগিরই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে শত শত মুক্ত ফিলিস্তিনি পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
তাঁদের মধ্যে শুধু গাজা থেকেই রয়েছেন ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি। আরও ২৫০ জন যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
এর মধ্যে ১৩৫ জনকে গাজায় পাঠানো হবে অথবা বিদেশে নির্বাসিত করা হবে, ১০০ জনকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ১৫ জনকে পূর্ব জেরুজালেমে মুক্তি দেওয়া হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি তৃতীয় দিনের মতো কার্যকর থাকার মধ্যে জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে প্রথম দফায় সাতজন জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যদিও আইসিআরসি বা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। তবে এই অপারেশনের সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, রেড ক্রস গাজার প্রথম জিম্মি হস্তান্তরের স্থলে পৌঁছেছে।
আইসিআরসি জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা জিম্মি বা বন্দী মুক্তির সময় কোনো ফুটেজ সরবরাহ করবে না।
এই জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে রেড ক্রস। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে বন্দী বিনিময়ের জন্য মোট ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। বর্তমানে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে এখনো এই ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (আইসিআরসি) জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তি তদারকি করার জন্য তারা ‘একটি বহু পর্যায়ের প্রক্রিয়া’ শুরু করেছে।
ইসরায়েল ও মিসর সফরের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
অতীতে, যখন বন্দী বিনিময় হতো, তখন সেটি ছিল একটি দীর্ঘ, টানাপোড়েনপূর্ণ প্রক্রিয়া। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের সময়সূচি অনুসারে দ্রুত প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর, যখন তিনি মিসরে যাবেন। সেখানে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ট্রাম্প।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা তথ্য পেয়েছে যে রেড ক্রসের বাসগুলো উত্তর গাজার একটি সভাস্থলে যাচ্ছে। সেখানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে।
সামরিক বাহিনী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জিম্মিকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত যাদের শিগগিরই রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা দেবেন।
হারজোগ বলেছেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ড, ‘ঐতিহাসিক’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইরানে মার্কিন হামলাসহ ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের ‘অটল সমর্থনের’ স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হবে।
জেরুজালেম পোস্ট এবং ওয়াইনেট নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আজ ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে তাঁদের বৈঠকে হারজোগ ট্রাম্পকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করবেন।
আজ ইসরায়েলি সংসদে ট্রাম্পের ভাষণ দেওয়ারও কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার মিসরের শারম আল-শেখ পৌঁছেছেন। আজ সেখানে গাজার শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে আসছে। যুক্তরাজ্যই ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য একটি জাতীয় আবাস’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়ার ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীর নাম প্রকাশ করেছে হামাস।
রেড ক্রস মুক্তি তদারকি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি বন্দীদের গাজা অথবা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসরায়েলের ওফার কারাগারে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গাড়ি অপেক্ষা করছে।
এর আগে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস।
হামাস বলছে, মারওয়ান বারগুতির নাম মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তালিকায় আরেকজন নেতা ছিলেন, আহমেদ সাদাত। তিনি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা। স্পষ্টতই হামাসের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য রয়েছে। তিনিও বিনিময় তালিকায় থাকছেন না।
তবে এ ক্ষেত্রে বারগুতির গুরুত্ব অনেক। ২০০২ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০০৪ সালে পাঁচজন ইসরায়েলিকে হত্যার পরিকল্পনার জন্য ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এই দুজনের কাউকেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
হামাস কর্তৃক প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, আজ মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের মধ্যে রয়েছেন—এলকানা বোহবোট, মাতান অ্যাংরেস্ট, আভিনাতান ওর, ইয়োসেফ-হাইম ওহানা, অ্যালোন ওহেল, এভিয়াতার দাভুদ, গাই গিলবোয়া-দালাল, রম ব্রাস্লাভস্কি এবং যমজ সন্তান গালি ও জিভ বারম্যান।
আরও রয়েছেন আইতান মোর, সেগেভ কালফন, ম্যাক্সিম হারকিন, আইতান হর্ন, বার কুপারশটাইন, ওমরি মিরান এবং ভাই ডেভিড কুনিও ও এরিয়েল কুনিও।
ইসরায়েলি সেনা নিমরোদ কোহেন এবং মাতান জাঙ্গাউকারও তালিকায় রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের (আইসিআরসি) বাসগুলো ইসরায়েলের ওফের সামরিক কারাগারে পৌঁছেছে। সেখান থেকে ১০৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে আনা হবে।
নেগেভের কটজিওট কারাগার থেকে আরও ১৪২ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে গাজায় অথবা নির্বাসনে যাওয়ার জন্য মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।