সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় শতভাগ ফসলহানির পর হাওর অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে সরকার। ঠিকাদারের পরিবর্তে বাঁধ নির্মাণে গঠন করা হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। কিন্তু এসব কমিটিও সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে পারছে না।
সুনামগঞ্জে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে এ বছর ৭২৪টি প্রকল্পে ১১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু এতেও কাজ শেষ করতে পারেনি পিআইসিগুলো।
এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টি হলে বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। এমন শঙ্কা থেকে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ শেষ করার দাবি এবং নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কাজ করে থাকেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এতেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। ‘যাঁর জমি তিনিও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য থাকবেন’—নীতিমালায় এমন কথা বলা হলেও বাস্তবে সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতাদের।
এ নিয়ে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নুর আহমদ বলেন, ‘আমরা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি, হাওরের বাঁধের কাজে কৃষকের যুক্ততা নামে মাত্র। বাস্তবে এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। এবার যদি বাঁধ ভেঙে ফসলহানি হয়, তাহলে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।’
ঠিকাদার আর পিআইসিদের মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করে মানববন্ধনে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহসভাপতি আলী হায়দার বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ২০১৭ সালের পর ঠিকাদারি প্রথা বাতিল হওয়ায় পিআইসি ভালো কাজ করবে। কিন্তু ঠিকাদার আর পিআইসি একই রকম কাজ করে আসছে। ঠিকাদারদের মতো পিআইসিদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। তিনি বলেন, ‘পাউবো ও প্রশাসনের দাবি হাওরে ৮৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান বলছে, এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজও হয়নি। এবার বাঁধের ক্ষতি হলে কাউকেই ছাড় দিয়ে কথা বলব না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় শতভাগ বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর কাবিটা নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এর পর থেকে বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করে আসছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। এই ব্যবস্থায় জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা কর্মকর্তারা প্রকল্পের সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন।
২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় শতভাগ ফসলহানির পর হাওর অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে সরকার। ঠিকাদারের পরিবর্তে বাঁধ নির্মাণে গঠন করা হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। কিন্তু এসব কমিটিও সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে পারছে না।
সুনামগঞ্জে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে এ বছর ৭২৪টি প্রকল্পে ১১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ গত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু এতেও কাজ শেষ করতে পারেনি পিআইসিগুলো।
এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টি হলে বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। এমন শঙ্কা থেকে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ শেষ করার দাবি এবং নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কাজ করে থাকেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এতেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। ‘যাঁর জমি তিনিও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য থাকবেন’—নীতিমালায় এমন কথা বলা হলেও বাস্তবে সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতাদের।
এ নিয়ে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নুর আহমদ বলেন, ‘আমরা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি, হাওরের বাঁধের কাজে কৃষকের যুক্ততা নামে মাত্র। বাস্তবে এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। এবার যদি বাঁধ ভেঙে ফসলহানি হয়, তাহলে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।’
ঠিকাদার আর পিআইসিদের মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করে মানববন্ধনে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহসভাপতি আলী হায়দার বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ২০১৭ সালের পর ঠিকাদারি প্রথা বাতিল হওয়ায় পিআইসি ভালো কাজ করবে। কিন্তু ঠিকাদার আর পিআইসি একই রকম কাজ করে আসছে। ঠিকাদারদের মতো পিআইসিদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। তিনি বলেন, ‘পাউবো ও প্রশাসনের দাবি হাওরে ৮৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান বলছে, এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজও হয়নি। এবার বাঁধের ক্ষতি হলে কাউকেই ছাড় দিয়ে কথা বলব না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় শতভাগ বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর কাবিটা নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এর পর থেকে বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করে আসছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। এই ব্যবস্থায় জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা কর্মকর্তারা প্রকল্পের সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪