রাজিব আহমদ, বালাগঞ্জ
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় একমাত্র শ্রেণিকক্ষ নিয়ে চলছে গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় স্কুল ভবন নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়। ফলে একটি শ্রেণিকক্ষেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিকে চারজন শিক্ষক থাকার নিয়ম থাকলেও রয়েছেন মাত্র দুজন। তার মধ্যে একজন শিক্ষিকা রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ফলে একজন শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়ার খবর শুনে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও পরে আর ভবন নির্মাণ করা হয়নি। হাওর এলাকার কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণে পুনরায় বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো গ্রামের নাম গৌরীপুর। এই গ্রামটি বছরের সাত-আট মাস পানিবন্দী থাকে। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গৌরীপুর গ্রামের অবস্থান। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক।
শুকনো মৌসুমে হেঁটে আর বর্ষায় নৌকায় চলাচল করে গ্রামের বাসিন্দারা। হাওর এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ খুব কম। সুযোগ–সুবিধা কম হওয়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও বেশি। যদিও গৌরীপুর গ্রামে ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ইংরেজি এল বর্ণ আকারে ছোট্ট একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়টি গঠিত। এই কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয়রা জানান, ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন কয়েক বছর আগে ১ একর ৫ শতক জমি স্কুলের নামে দান করেন। ২০১৬-১৭ সালে সরকার বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দেয়। তবু নির্মিত হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমী সেন বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি যোগদান করি। চারজন শিক্ষকের পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য। বর্তমানে সহকারী শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। আমাকে একাই সবকিছু সামাল দিতে হচ্ছে। এক রুমের এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।’
রিমী সেন আরও বলেন, বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে। রোদ-বৃষ্টিতে বাচ্চাদের বাইরে বসিয়ে রাখতে হয়। এক শ্রেণিতে গাদাগাদি করে পাঠদান করতে হয়। নেই অফিস রুম। বেঞ্চে বসে অফিসের কাজ করতে হয়।’
বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকীব ভূইয়া বলেন, ‘তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কথা ছিল। বিদ্যালয়ের জন্য মাটি ভরাটের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে ভবন নির্মাণ হয়নি। পিইডিপি-৪-এর আওতায় ভবন নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এসআরএমজি কিবরিয়া বলেন, ‘নিচতলা ফাঁকা রেখে নতুন নকশায় (হাওর ডিজাইন) ভবন অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় একমাত্র শ্রেণিকক্ষ নিয়ে চলছে গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় স্কুল ভবন নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়। ফলে একটি শ্রেণিকক্ষেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিকে চারজন শিক্ষক থাকার নিয়ম থাকলেও রয়েছেন মাত্র দুজন। তার মধ্যে একজন শিক্ষিকা রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ফলে একজন শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়ার খবর শুনে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও পরে আর ভবন নির্মাণ করা হয়নি। হাওর এলাকার কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণে পুনরায় বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো গ্রামের নাম গৌরীপুর। এই গ্রামটি বছরের সাত-আট মাস পানিবন্দী থাকে। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গৌরীপুর গ্রামের অবস্থান। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক।
শুকনো মৌসুমে হেঁটে আর বর্ষায় নৌকায় চলাচল করে গ্রামের বাসিন্দারা। হাওর এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ খুব কম। সুযোগ–সুবিধা কম হওয়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও বেশি। যদিও গৌরীপুর গ্রামে ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ইংরেজি এল বর্ণ আকারে ছোট্ট একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়টি গঠিত। এই কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয়রা জানান, ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন কয়েক বছর আগে ১ একর ৫ শতক জমি স্কুলের নামে দান করেন। ২০১৬-১৭ সালে সরকার বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দেয়। তবু নির্মিত হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিমী সেন বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি যোগদান করি। চারজন শিক্ষকের পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য। বর্তমানে সহকারী শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। আমাকে একাই সবকিছু সামাল দিতে হচ্ছে। এক রুমের এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।’
রিমী সেন আরও বলেন, বেঞ্চ-টেবিল নেই বললেই চলে। রোদ-বৃষ্টিতে বাচ্চাদের বাইরে বসিয়ে রাখতে হয়। এক শ্রেণিতে গাদাগাদি করে পাঠদান করতে হয়। নেই অফিস রুম। বেঞ্চে বসে অফিসের কাজ করতে হয়।’
বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকীব ভূইয়া বলেন, ‘তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৩) আওতায় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কথা ছিল। বিদ্যালয়ের জন্য মাটি ভরাটের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে ভবন নির্মাণ হয়নি। পিইডিপি-৪-এর আওতায় ভবন নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এসআরএমজি কিবরিয়া বলেন, ‘নিচতলা ফাঁকা রেখে নতুন নকশায় (হাওর ডিজাইন) ভবন অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪