সম্পাদকীয়
শুধু সৌদি আরবেই বাস করেন ২৮ লাখ বাংলাদেশি। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এই সংখ্যক মানুষ একটা গ্রাম কিংবা একটা ছোট শহরে থাকতে পারে। এবার আরও বাংলাদেশিদের সে দেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে সৌদি আরব। কেননা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে পরিশ্রমী ও দক্ষ হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, বাংলাদেশের দক্ষ কর্মী এবং বিনিয়োগে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য সে দেশের দরজা উন্মুক্ত; অর্থাৎ চাকরির জন্য শুধু শ্রমিক নন, বিনিয়োগকারীরাও সুযোগ পাবেন সেখানে ব্যবসা করার। সৌদি আরবে অবকাঠামো, ভবন নির্মাণ, কৃষি, বস্ত্র, মাছ ধরা এবং খামারের মতো অসংখ্য খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যেমন কাজ করতে পারবেন, তেমনি বিনিয়োগকারীরাও তাঁদের অর্থ লগ্নি করতে পারবেন।
সেখানকার ‘নিওম’ শহরের মতো বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে বিপুল জনশক্তির প্রয়োজন। আর সে জন্যই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিদেশি কর্মী, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের আরও বেশি সুযোগ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পেশাদারেরা অগ্রাধিকার পাবেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়ও।
এ খবর নতুন নয় যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক যান প্রবাসে কাজ করতে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এগুলোর মধ্যে আবার সৌদি আরবেই যান বেশিসংখ্যক মানুষ। অনেক পাড়া-মহল্লায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ না কেউ সৌদি আরবে বাস করছেন কাজের উদ্দেশ্যে। এবার ঢাকায় নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে হয়তো আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আগ্রহী হবেন সে দেশে কাজ করতে যেতে।
রাষ্ট্রদূত এসা আল-দুহাইলান অনুরোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যেন প্রশিক্ষণ দিয়ে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানো হয়। এতে উপকার দুই দেশেরই। সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি এবং এ-ও স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক বিদেশে গেলে দেশেরও লাভ বৈকি। অর্থনীতিতে শুধু বিদেশকে নয়, দেশকেও প্রবাসীরা সমৃদ্ধ করেন। তাঁদের পাঠানো অর্থ দিয়ে দেশে তাঁদের সংসার যেমন চলে, তেমনি দেশটা সচল রাখতেও সাহায্য করে। এখানে রেমিট্যান্সের বিষয়টা আর ব্যাখ্যা না করলেও চলে।
অথচ দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে এই প্রবাসীদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হয় না। বিমানবন্দরে তাঁদের হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিমানবন্দরের কোনো কোনো অসাধু কর্মকর্তা প্রবাসীদের মালপত্র থেকে কোনো না কোনো জিনিস সরিয়ে নেন, অথবা বিমানবন্দর চত্বরে থাকা প্রতারক চক্র তাঁদের কোনো একটা ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের অর্থ। কিন্তু এ রকম আচরণ তাঁদের প্রাপ্য নয়।
শুধু ধন্যবাদ দিলেই চলবে না, তাঁদের নিরাপত্তাটাও নিশ্চিত করতে হবে—শুধু প্রবাসী কর্মীদের জন্য না, নির্বিশেষে সবার জন্য, সবখানে। এমন বাংলাদেশ চাওয়াটা নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু নয়?
শুধু সৌদি আরবেই বাস করেন ২৮ লাখ বাংলাদেশি। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এই সংখ্যক মানুষ একটা গ্রাম কিংবা একটা ছোট শহরে থাকতে পারে। এবার আরও বাংলাদেশিদের সে দেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে সৌদি আরব। কেননা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে পরিশ্রমী ও দক্ষ হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, বাংলাদেশের দক্ষ কর্মী এবং বিনিয়োগে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য সে দেশের দরজা উন্মুক্ত; অর্থাৎ চাকরির জন্য শুধু শ্রমিক নন, বিনিয়োগকারীরাও সুযোগ পাবেন সেখানে ব্যবসা করার। সৌদি আরবে অবকাঠামো, ভবন নির্মাণ, কৃষি, বস্ত্র, মাছ ধরা এবং খামারের মতো অসংখ্য খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যেমন কাজ করতে পারবেন, তেমনি বিনিয়োগকারীরাও তাঁদের অর্থ লগ্নি করতে পারবেন।
সেখানকার ‘নিওম’ শহরের মতো বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে বিপুল জনশক্তির প্রয়োজন। আর সে জন্যই দেশটির কর্তৃপক্ষ বিদেশি কর্মী, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের আরও বেশি সুযোগ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পেশাদারেরা অগ্রাধিকার পাবেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়ও।
এ খবর নতুন নয় যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক যান প্রবাসে কাজ করতে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এগুলোর মধ্যে আবার সৌদি আরবেই যান বেশিসংখ্যক মানুষ। অনেক পাড়া-মহল্লায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ না কেউ সৌদি আরবে বাস করছেন কাজের উদ্দেশ্যে। এবার ঢাকায় নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে হয়তো আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আগ্রহী হবেন সে দেশে কাজ করতে যেতে।
রাষ্ট্রদূত এসা আল-দুহাইলান অনুরোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যেন প্রশিক্ষণ দিয়ে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানো হয়। এতে উপকার দুই দেশেরই। সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি এবং এ-ও স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক বিদেশে গেলে দেশেরও লাভ বৈকি। অর্থনীতিতে শুধু বিদেশকে নয়, দেশকেও প্রবাসীরা সমৃদ্ধ করেন। তাঁদের পাঠানো অর্থ দিয়ে দেশে তাঁদের সংসার যেমন চলে, তেমনি দেশটা সচল রাখতেও সাহায্য করে। এখানে রেমিট্যান্সের বিষয়টা আর ব্যাখ্যা না করলেও চলে।
অথচ দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে এই প্রবাসীদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হয় না। বিমানবন্দরে তাঁদের হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিমানবন্দরের কোনো কোনো অসাধু কর্মকর্তা প্রবাসীদের মালপত্র থেকে কোনো না কোনো জিনিস সরিয়ে নেন, অথবা বিমানবন্দর চত্বরে থাকা প্রতারক চক্র তাঁদের কোনো একটা ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের অর্থ। কিন্তু এ রকম আচরণ তাঁদের প্রাপ্য নয়।
শুধু ধন্যবাদ দিলেই চলবে না, তাঁদের নিরাপত্তাটাও নিশ্চিত করতে হবে—শুধু প্রবাসী কর্মীদের জন্য না, নির্বিশেষে সবার জন্য, সবখানে। এমন বাংলাদেশ চাওয়াটা নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু নয়?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪