বান্দরবান প্রতিনিধি
টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে প্রচুর জনসমাগম ঘটেছে। বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটকদেরও আকর্ষণ বাড়াতে সরকারি পর্যটনকেন্দ্রে বিজয় দিবসের দিন গত বৃহস্পতিবার বিনা মূল্যে প্রবেশের ঘোষণার পর পর্যটকের আগমন আরও বেড়ে গেছে।
এ দিকে টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানের সবগুলো আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট পর্যটকে পরিপূর্ণ। কোনো হোটেল-রিসোর্টই খালি নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও মানুষের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে শুক্রবার দুপুরে জানান, টানা তিন দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছে। একসঙ্গে এত বিপুল পর্যটকের আগমন এর আগে চোখে পড়েনি। প্রায় দেড় বছর করোনাকালে পর্যটন বন্ধ ছিল, গত সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর একসঙ্গে লম্বা ছুটি পাওয়া বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
ইনচার্জ আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবান শহরের নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেকসহ আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটক আসছেন। তিনি বলেন, তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবান জেলা ও উপজেলায় এক লাখের বেশি মানুষের আগমন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা, তাঁদের ঘুরে বেড়াতে সহায়তাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করছেন পর্যটন পুলিশের সদস্যরা।
পর্যটকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বান্দরবানে পাহাড়, নীলাকাল, লেক, ঝুলন্ত সেতু, কেব্ল কার, বিভিন্ন রাইড রয়েছে। তাই তাঁরা বান্দরবানকেই বেশি পছন্দ করছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে নিরাপদ বোধ করেন তাঁরা।
মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক রশিদ আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চারজনের পরিবার নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা। মেঘলায় ৫০ টাকা টিকিট কিনে প্রবেশ করার পর কেব্ল কারে ৫০ টাকা দিয়ে চড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এটা বাড়তি আনন্দ, যা অন্যখানে নেই। এ ছাড়া মেঘলার লেকে স্পিডবোটে ঘুরে বেড়ানো, ঝুলন্ত সেতু দিয়ে পারাপারে আলাদা মজা আছে। ঝুলন্ত সেতু সত্যিই ঝুলন্ত।
অন্য পর্যটক আবদুর রহিম বলেন, তিনি সিলেট থেকে বান্দরবান বেড়াতে এসেছেন। মেঘলার নাম অনেক বছর শুনলেও এবারই প্রথম বান্দরবানে বেড়াতে এসে তাই মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রকেই গুরুত্ব দিয়ে আগে ঘোরার জন্য পছন্দ করেন। এর ওপর বিজয় দিবসের দিন বিনা মূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাওয়াটা ছিল ভাগ্যের ব্যাপার! জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বান্দরবানকে পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার যে ভালো উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।
বান্দরবানে পর্যটকদের বিপুল উপস্থিতির কথা বিবেচনা করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-রিসোর্ট এবং পর্যটন বহনকারী গাড়িগুলোকে।
হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই লোকজন হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ পাওয়া নিশ্চিত করতে রুম বুকিং দিয়ে রেখেছেন। তাঁর মালিকানাধীন পালকি হোটেলের সব কক্ষ আগেই বুকিং হয়ে যায়। এ দিকে করোনা পরিস্থিতি সতর্কতার কারণে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলছে।
টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে প্রচুর জনসমাগম ঘটেছে। বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটকদেরও আকর্ষণ বাড়াতে সরকারি পর্যটনকেন্দ্রে বিজয় দিবসের দিন গত বৃহস্পতিবার বিনা মূল্যে প্রবেশের ঘোষণার পর পর্যটকের আগমন আরও বেড়ে গেছে।
এ দিকে টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানের সবগুলো আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট পর্যটকে পরিপূর্ণ। কোনো হোটেল-রিসোর্টই খালি নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও মানুষের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে শুক্রবার দুপুরে জানান, টানা তিন দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছে। একসঙ্গে এত বিপুল পর্যটকের আগমন এর আগে চোখে পড়েনি। প্রায় দেড় বছর করোনাকালে পর্যটন বন্ধ ছিল, গত সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর একসঙ্গে লম্বা ছুটি পাওয়া বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
ইনচার্জ আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবান শহরের নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেকসহ আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটক আসছেন। তিনি বলেন, তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবান জেলা ও উপজেলায় এক লাখের বেশি মানুষের আগমন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা, তাঁদের ঘুরে বেড়াতে সহায়তাসহ নানাভাবে সহযোগিতা করছেন পর্যটন পুলিশের সদস্যরা।
পর্যটকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বান্দরবানে পাহাড়, নীলাকাল, লেক, ঝুলন্ত সেতু, কেব্ল কার, বিভিন্ন রাইড রয়েছে। তাই তাঁরা বান্দরবানকেই বেশি পছন্দ করছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে নিরাপদ বোধ করেন তাঁরা।
মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক রশিদ আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চারজনের পরিবার নিয়ে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা। মেঘলায় ৫০ টাকা টিকিট কিনে প্রবেশ করার পর কেব্ল কারে ৫০ টাকা দিয়ে চড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এটা বাড়তি আনন্দ, যা অন্যখানে নেই। এ ছাড়া মেঘলার লেকে স্পিডবোটে ঘুরে বেড়ানো, ঝুলন্ত সেতু দিয়ে পারাপারে আলাদা মজা আছে। ঝুলন্ত সেতু সত্যিই ঝুলন্ত।
অন্য পর্যটক আবদুর রহিম বলেন, তিনি সিলেট থেকে বান্দরবান বেড়াতে এসেছেন। মেঘলার নাম অনেক বছর শুনলেও এবারই প্রথম বান্দরবানে বেড়াতে এসে তাই মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রকেই গুরুত্ব দিয়ে আগে ঘোরার জন্য পছন্দ করেন। এর ওপর বিজয় দিবসের দিন বিনা মূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাওয়াটা ছিল ভাগ্যের ব্যাপার! জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বান্দরবানকে পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার যে ভালো উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।
বান্দরবানে পর্যটকদের বিপুল উপস্থিতির কথা বিবেচনা করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-রিসোর্ট এবং পর্যটন বহনকারী গাড়িগুলোকে।
হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই লোকজন হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ পাওয়া নিশ্চিত করতে রুম বুকিং দিয়ে রেখেছেন। তাঁর মালিকানাধীন পালকি হোটেলের সব কক্ষ আগেই বুকিং হয়ে যায়। এ দিকে করোনা পরিস্থিতি সতর্কতার কারণে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪