বাংলাদেশের হয়ে রাকিবুল হাসান জিতেছিলেন ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টে ১২ উইকেট নিয়ে দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সব শেষ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও উজ্জ্বল রাকিবুল। প্রথম শ্রেণির ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ৪৪ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে শিকার ৬৬ উইকেট। এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরই পুরস্কার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন—লাইছ ত্বোহা
প্রশ্ন: প্রথমবার জাতীয় দলে। কেমন লাগছে?
রাকিবুল হাসান: খুব ভালো লাগছে। একজন ক্রিকেটারের স্বপ্নই থাকে জাতীয় দলে খেলা।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা প্রস্তুত?
রাকিবুল: আমি একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। যখন নিউজিল্যান্ডে খেলা, তখন ওই রকম প্রস্তুতি নিয়ে যাব।
প্রশ্ন: প্রথম সুযোগ পেয়ে এমন এক কন্ডিশনে যাবেন, যেখানে বাংলাদেশের রেকর্ডটাও ভালো নয়, আর সেই কন্ডিশনটাও আপনার পরিচিত নয়...
রাকিবুল: ওখানে চ্যালেঞ্জটা পুরো দলের। একজন স্পিনারের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জ। আমি চেষ্টা করব কন্ডিশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সে অনুযায়ী দলে অবদান রাখার।
প্রশ্ন: কীভাবে ক্রিকেটে এলেন?
রাকিবুল: স্কুলে পড়ার সময়ই ক্রিকেটার হতে চেয়েছি। তখন বড় ভাইয়েরা স্কুলমাঠে টেনিস বলে খেলতেন, সেটা থেকেই আগ্রহ জাগে। আর আমার ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট অনেক ভালো লাগত দেখতে।
প্রশ্ন: পেসার বা ব্যাটার নয় কেন?
রাকিবুল: যাঁর মাধ্যমে আমার হাতেখড়ি, তিনি সোহেল ভাই। উনার কাছে যখন প্রথমবার যাই, আমি টেপ টেনিস বলে পেস বোলিং করতাম। তখন আমার উচ্চতা ওই রকম ছিল না, ছোট ছিলাম। উনি আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার তো উচ্চতা কম, তুমি বাঁহাতি স্পিন করো, এটা তোমার জন্য ভালো হবে। এরপর থেকে শুরু। তারপর তিনি আমাকে ওয়াহেদ স্যারের কাছে নিয়ে যান। পরে যা কিছু শিখেছি, ওয়াহেদ স্যারের কাছ থেকেই।
প্রশ্ন: কার খেলা দেখে অনুপ্রাণিত হন কিংবা আপনার আদর্শ কে?
রাকিবুল: আমি যতটুকু দেখার বা ফলো করার, সাকিব ভাইকে দেখি। ওনাকে আমার সব দিক থেকে ভালো লাগে। আরও একজনকে দেখি—ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু সাকিব ভাইকে বেশি ফলো করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: সাকিবদের ক্যারিয়ার শেষ পর্যায়ে। সীমিত ওভারে বাংলাদেশ দলে ধারাবাহিক বাঁহাতি স্পিনারও ওই রকম নেই। এই সফরে সিনিয়রদের অভাব পূরণ করতে হবে, এটা আপনার জন্য চাপ নয় কি?
রাকিবুল: অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। আমি দেশে সিরিজ খেলি বা দেশের বাইরে, চ্যালেঞ্জ সব সময় থাকবে। এটা নিয়ে খেলাই আমাদের কাজ। চেষ্টা করব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার। যাঁরা আগে সেখানে খেলেছেন, তাঁদের থেকেও পরামর্শ নেব, কথা বলে প্রস্তুতি নেব।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সুসংবাদ প্রথম কাকে দিয়েছেন?
রাকিবুল: পরিবারকে। আমার আব্বু-আম্মু, ভাই-বোন তাঁদেরকে দিয়েছি। আব্বু-আম্মু অনেক খুশি। দোয়া করেছেন তাঁরা, যেন আমি ভালো খেলতে পারি সামনে, ভালো পারফর্ম করতে পারি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটার হতে পরিবারের কেমন সমর্থন পেয়েছেন?
রাকিবুল: শুরুর দিকে তেমন একটা সমর্থন পাইনি। পরে যখন জানতে পেরেছে ভালো করছি, তখন সাপোর্ট করেছে, মোটিভেট করেছে। যতটুকু সমর্থন করা দরকার করেছে।
প্রশ্ন: ক্রিকেট খেলাটার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারস্যাপার জড়িত। ৬ নম্বরে নেমে কেউ ডাবল সেঞ্চুরি করে, আবার কেউ ফিফটিতেই সন্তুষ্ট থাকে, বোলার হিসেবে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
রাকিবুল: সবাই চেষ্টা করে নিজের জায়গা থেকে মানসিকতা ঠিক রেখে খেলার, বা শক্ত মানসিকতা নিয়ে খেলার। আমিও একই, চেষ্টা করব ওই মানসিকতায় খেলার। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের হয়ে বড় কোনো স্বপ্ন আছে, যেটা পূরণ করতে চান?
রাকিবুল: আপাতত আমার লক্ষ্য বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলা। এর বেশি কিছু নয়। দলের সঙ্গে জড়িত হয়ে মানিয়ে নিয়ে ভালো করতে চাই। সে জন্যই তৈরি হচ্ছি।
বাংলাদেশের হয়ে রাকিবুল হাসান জিতেছিলেন ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টে ১২ উইকেট নিয়ে দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সব শেষ টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও উজ্জ্বল রাকিবুল। প্রথম শ্রেণির ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ৪৪ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে শিকার ৬৬ উইকেট। এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরই পুরস্কার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন—লাইছ ত্বোহা
প্রশ্ন: প্রথমবার জাতীয় দলে। কেমন লাগছে?
রাকিবুল হাসান: খুব ভালো লাগছে। একজন ক্রিকেটারের স্বপ্নই থাকে জাতীয় দলে খেলা।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা প্রস্তুত?
রাকিবুল: আমি একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। যখন নিউজিল্যান্ডে খেলা, তখন ওই রকম প্রস্তুতি নিয়ে যাব।
প্রশ্ন: প্রথম সুযোগ পেয়ে এমন এক কন্ডিশনে যাবেন, যেখানে বাংলাদেশের রেকর্ডটাও ভালো নয়, আর সেই কন্ডিশনটাও আপনার পরিচিত নয়...
রাকিবুল: ওখানে চ্যালেঞ্জটা পুরো দলের। একজন স্পিনারের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জ। আমি চেষ্টা করব কন্ডিশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সে অনুযায়ী দলে অবদান রাখার।
প্রশ্ন: কীভাবে ক্রিকেটে এলেন?
রাকিবুল: স্কুলে পড়ার সময়ই ক্রিকেটার হতে চেয়েছি। তখন বড় ভাইয়েরা স্কুলমাঠে টেনিস বলে খেলতেন, সেটা থেকেই আগ্রহ জাগে। আর আমার ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট অনেক ভালো লাগত দেখতে।
প্রশ্ন: পেসার বা ব্যাটার নয় কেন?
রাকিবুল: যাঁর মাধ্যমে আমার হাতেখড়ি, তিনি সোহেল ভাই। উনার কাছে যখন প্রথমবার যাই, আমি টেপ টেনিস বলে পেস বোলিং করতাম। তখন আমার উচ্চতা ওই রকম ছিল না, ছোট ছিলাম। উনি আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার তো উচ্চতা কম, তুমি বাঁহাতি স্পিন করো, এটা তোমার জন্য ভালো হবে। এরপর থেকে শুরু। তারপর তিনি আমাকে ওয়াহেদ স্যারের কাছে নিয়ে যান। পরে যা কিছু শিখেছি, ওয়াহেদ স্যারের কাছ থেকেই।
প্রশ্ন: কার খেলা দেখে অনুপ্রাণিত হন কিংবা আপনার আদর্শ কে?
রাকিবুল: আমি যতটুকু দেখার বা ফলো করার, সাকিব ভাইকে দেখি। ওনাকে আমার সব দিক থেকে ভালো লাগে। আরও একজনকে দেখি—ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু সাকিব ভাইকে বেশি ফলো করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: সাকিবদের ক্যারিয়ার শেষ পর্যায়ে। সীমিত ওভারে বাংলাদেশ দলে ধারাবাহিক বাঁহাতি স্পিনারও ওই রকম নেই। এই সফরে সিনিয়রদের অভাব পূরণ করতে হবে, এটা আপনার জন্য চাপ নয় কি?
রাকিবুল: অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। আমি দেশে সিরিজ খেলি বা দেশের বাইরে, চ্যালেঞ্জ সব সময় থাকবে। এটা নিয়ে খেলাই আমাদের কাজ। চেষ্টা করব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার। যাঁরা আগে সেখানে খেলেছেন, তাঁদের থেকেও পরামর্শ নেব, কথা বলে প্রস্তুতি নেব।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সুসংবাদ প্রথম কাকে দিয়েছেন?
রাকিবুল: পরিবারকে। আমার আব্বু-আম্মু, ভাই-বোন তাঁদেরকে দিয়েছি। আব্বু-আম্মু অনেক খুশি। দোয়া করেছেন তাঁরা, যেন আমি ভালো খেলতে পারি সামনে, ভালো পারফর্ম করতে পারি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটার হতে পরিবারের কেমন সমর্থন পেয়েছেন?
রাকিবুল: শুরুর দিকে তেমন একটা সমর্থন পাইনি। পরে যখন জানতে পেরেছে ভালো করছি, তখন সাপোর্ট করেছে, মোটিভেট করেছে। যতটুকু সমর্থন করা দরকার করেছে।
প্রশ্ন: ক্রিকেট খেলাটার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারস্যাপার জড়িত। ৬ নম্বরে নেমে কেউ ডাবল সেঞ্চুরি করে, আবার কেউ ফিফটিতেই সন্তুষ্ট থাকে, বোলার হিসেবে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
রাকিবুল: সবাই চেষ্টা করে নিজের জায়গা থেকে মানসিকতা ঠিক রেখে খেলার, বা শক্ত মানসিকতা নিয়ে খেলার। আমিও একই, চেষ্টা করব ওই মানসিকতায় খেলার। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের হয়ে বড় কোনো স্বপ্ন আছে, যেটা পূরণ করতে চান?
রাকিবুল: আপাতত আমার লক্ষ্য বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলা। এর বেশি কিছু নয়। দলের সঙ্গে জড়িত হয়ে মানিয়ে নিয়ে ভালো করতে চাই। সে জন্যই তৈরি হচ্ছি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪