দিনাজপুর ও বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্কুল পরিচালনা কমিটি আর সাবেক প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বে আটকে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ। স্কুলের জমিতে রাতারাতি নির্মাণ করা হয়েছে টিনের ঘর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী আর কর্মরত শিক্ষকেরা।
বড়কালা এলএসএস বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চারদিকে ভাঙা ইটের সীমানা প্রাচীর। ভেতরে কোনোরকমে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নেই কোনো আসবাবপত্র। একটি নতুন টিউবওয়েল বসানো হলেও বাড়িটিতে নেই কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা।
জানা যায়, বড়কালা গ্রামের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ১৯৯০ সালে স্কুলটি স্থাপন করা হয়। একটি বেসরকারি সংস্থার স্কুলটি দশ বছর পরিচালনার কথা থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ের আগেই সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। জাতীয়করণের প্রয়োজনে তেত্রিশ শতক জমির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বছর তিনেক পর তৎকালীন সরকার জাতীয়করণ বন্ধ করে দিলে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব বেসরকারি স্কুল সরকারিকরণ করা হবে মর্মে ঘোষণা দিলে নতুন করে তিনি তোড়জোড় শুরু করেন। ভুয়া রেজ্যুলেশন তৈরি করে স্ত্রী তাজনুর বেগম ও শ্যালক আমিনুল ইসলামের কাছে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি করেন। কিন্তু খারিজ করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হলে এটি জাল বলে প্রতীয়মান হয়। পরে আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মামলাটি ডিসমিস করে রায় দেন।
অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ সরকার জানান, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলাম। এখানে আমার শ্রম আছে, আমিও চাই এখানে বিদ্যালয় হোক। কিন্তু তাঁরা আমার কোনো অবদান স্বীকার করে না।’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভয় সরকার জানান, ‘বিদ্যালয় জাতীয়করণ হবে এটা শোনার পর থেকে আমানুল্লাহ সরকার ঝামেলা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি কমিটিতে পদ চান, পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ ও জমির মূল্য চান। অন্যথায় ঝামেলা চলতেই থাকবে মর্মে হুমকি দেন।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিদ্যালয়টি বড়কালা গ্রামের বস্তি এলাকায় অবস্থিত। প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। সমাপনি পরীক্ষার ফলাফল শতভাগ। এখানকার শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন থেকে ভাতা-বেতন ছাড়াই পাঠদান করে যাচ্ছেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্কুল পরিচালনা কমিটি আর সাবেক প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বে আটকে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ। স্কুলের জমিতে রাতারাতি নির্মাণ করা হয়েছে টিনের ঘর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী আর কর্মরত শিক্ষকেরা।
বড়কালা এলএসএস বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চারদিকে ভাঙা ইটের সীমানা প্রাচীর। ভেতরে কোনোরকমে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নেই কোনো আসবাবপত্র। একটি নতুন টিউবওয়েল বসানো হলেও বাড়িটিতে নেই কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা।
জানা যায়, বড়কালা গ্রামের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ১৯৯০ সালে স্কুলটি স্থাপন করা হয়। একটি বেসরকারি সংস্থার স্কুলটি দশ বছর পরিচালনার কথা থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ের আগেই সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। জাতীয়করণের প্রয়োজনে তেত্রিশ শতক জমির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বছর তিনেক পর তৎকালীন সরকার জাতীয়করণ বন্ধ করে দিলে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব বেসরকারি স্কুল সরকারিকরণ করা হবে মর্মে ঘোষণা দিলে নতুন করে তিনি তোড়জোড় শুরু করেন। ভুয়া রেজ্যুলেশন তৈরি করে স্ত্রী তাজনুর বেগম ও শ্যালক আমিনুল ইসলামের কাছে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি করেন। কিন্তু খারিজ করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হলে এটি জাল বলে প্রতীয়মান হয়। পরে আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মামলাটি ডিসমিস করে রায় দেন।
অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ সরকার জানান, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলাম। এখানে আমার শ্রম আছে, আমিও চাই এখানে বিদ্যালয় হোক। কিন্তু তাঁরা আমার কোনো অবদান স্বীকার করে না।’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভয় সরকার জানান, ‘বিদ্যালয় জাতীয়করণ হবে এটা শোনার পর থেকে আমানুল্লাহ সরকার ঝামেলা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি কমিটিতে পদ চান, পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ ও জমির মূল্য চান। অন্যথায় ঝামেলা চলতেই থাকবে মর্মে হুমকি দেন।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিদ্যালয়টি বড়কালা গ্রামের বস্তি এলাকায় অবস্থিত। প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। সমাপনি পরীক্ষার ফলাফল শতভাগ। এখানকার শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন থেকে ভাতা-বেতন ছাড়াই পাঠদান করে যাচ্ছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪