Ajker Patrika

মাথা গোঁজার ঠাঁই বিলীন নদীতে

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৪১
মাথা গোঁজার ঠাঁই বিলীন নদীতে

বালাগঞ্জ ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রায় ১৫টি বসতবাড়ি বড়ভাগা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার এসব পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। কেউ অন্যের বাড়িতে, কেউ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

অন্যদিকে নদীর পারের আরও কয়েকটি পরিবারের বসতঘরে ফাটল দেখা দেওয়ায় তারা আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে। যেকোনো সময় ওই ঘরগুলো নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ভাঙনের এমন তাণ্ডবে এখন দিশেহারা কাশিপুর গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার শেষ রাতের দিকে হঠাৎ ভাঙনের শব্দ শুনে লোকজনের ঘুম ভাঙে। চোখের সামনেই বসতঘরগুলো ভেঙে পড়ে লোকজনের সামনে। ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল বা গৃহস্থালির জিনিসপত্র কিছুই সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

হতদরিদ্র আনোয়ারা বেগম ও আহাদ মিয়ার ঘরের পুরো অংশ নদীর তলদেশে চলে গেছে। ধসে পড়েছে আরও কয়েকটি ঘরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাঁদের কিছুটা সামর্থ্য আছে, তাঁরা কাশিপুর ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে কোনো রকম একটি ঘর তুলে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন। আর যাঁরা দিনমজুর তাঁরা শুধু দীর্ঘশ্বাসই ছাড়ছেন।

ভিটেমাটি হারানো দিনমজুর আহাদ মিয়া (৪৫) বলেন, ‘প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙলে দেখি ঘরবাড়ি আগের জায়গাই নেই। চিৎকার করে পাশের লোকজনকে ডাকি। কিন্তু তাঁরা আসার আগে সব শেষ হয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি।’

আহাদ মিয়া আরও বলেন, ‘সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিমের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। তিনি বললেন নির্বাচন করে ৭০-৮০ লাখ টাকা ঋণে আছি। আমি কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারব না।’

তজমুল আলী ও ফারুক আহমদ বলেন, ‘ভোট আসলে আমাদের কদর বাড়ে। এখন অন্য কোথাও যে ঘর বানাব, সেই সামর্থ্যও নেই। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার বলেন, ‘ভাঙন এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পাঠিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত