Ajker Patrika

এক টাকার কয়েনে বিপত্তি

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৩৯
এক টাকার কয়েনে বিপত্তি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক এবং দুই টাকার কয়েন কেউ নিতে চাচ্ছে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কারও এই কয়েনের প্রতি আগ্রহ নেই। এসব কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার সব পর্যায়ের মানুষ।

সরকারি নিয়মে লেনদেন বা কেনাকাটায় কাগজের নোটের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত যে কোনো মূল্যমানের কয়েন যে কেউ নিতে বাধ্য। কিন্তু আলমডাঙ্গা উপজেলায় লেনদেনের সময় এক ও দুই টাকার কয়েন নিতে অনীহা দেখাচ্ছে সবাই। সহজে কেউই নিতে চাচ্ছে না। এ কারণে ব্যবসায়ীদের কাছে পড়ে আছে হাজার হাজার টাকার কয়েন।

রিকশা, ভ্যান, বাসভাড়া বা মুদি দোকানদারেরাও কেনাকাটায় কয়েন নিতে অনাগ্রহী। এক টাকা মূল্যের কোনো পণ্য কিনে পাঁচ টাকার কয়েন বা নোট দিলে দোকানিরা ভাংতি নেই বলে এক টাকা ফেরত দেন না। আবার অনেক সময় এক টাকার বদলে ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি চকলেট। এমনকি ফকিরও দুই-এক টাকার কয়েন নিতে চায় না। অনেক দোকানদার আবার ফেরত না দিয়ে ভাংতি নেই বলে নিজের কাছে রেখে দেন।

কয়েনের ব্যাপারে আলমডাঙ্গা সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক মো. আসাদুল হক বলেন, ‘পকেটে বা টাকা রাখার ব্যাগে কয়েন রাখতে সমস্যা হয়। হাঁটলে খচর-মচর খচর-মচর শব্দ হয় যা বিরক্তিকর।’

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. ওয়াদুদ আলী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এক টাকা বা দুই টাকার কয়েন চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ কয়েন পড়ে আছে অলস টাকা হিসেবে। এতে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বিঘ্নিত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রনি আলম নুর বলেন, ‘সরকার থেকে কোনো নিষেধ নাই। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত