Ajker Patrika

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের

শামিমুজ্জামান, খুলনা
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। একজন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, অপর দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন- খুলনা বিএমএর সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা জেলা ক্রীড়া পরিষদের সহসভাপতি এস এম মুর্তজা রশিদী দারা। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৯৭৮ জন।

নির্বাচনে শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গত সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। লিখিত অভিযোগে ডা. শেখ বাহারুল বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের (মোটরসাইকেল মার্কা) সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

এটি উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা হলেও তারা প্রকাশ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা করেন। প্রার্থী হিসেবে ওই সভায় সভাপতিত্ব করে শেখ হারুনুর রশিদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র পরিবর্তনের অভিযোগ করেন অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মুর্তজা রশিদী দারা (চশমা প্রতীক)। তিনি বলেন, নির্বাচনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বিভিন্ন ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ভোট প্রার্থনা করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয়। একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।

তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হবে না।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তাদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রী সিটি করপোরেশনের মেয়র সংসদ সদস্য অংশ নিতে পারবেন না। খুলনায় এই সব পদমর্যাদার ব্যক্তিদের এই নির্দেশনা মানার জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত