সাফওয়ান রহমান
দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রচলিত সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে বিতর্ক অন্যতম। বাগ্মিতা, চিন্তনদক্ষতা ও উপস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগের সঙ্গে অতি প্রাসঙ্গিক গুণগুলোর ব্যাপারে শিক্ষা ও চর্চা হয় এর মাধ্যমে। সহজ কথায়, যেকোনো প্রাসঙ্গিক সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-বৈশ্বিক বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে একটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কথা বলার মাধ্যমে যে প্রতিযোগিতা হয়, তা-ই বিতর্ক।
বিতর্কের মাধ্যমে আপনি যা শিখবেন, যেসব দক্ষতা অর্জন করবেন, সেটির উপযোগিতা তুলনারহিত। প্রথমত, বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রমে ভালো উপস্থাপনার দক্ষতা অনেক দরকারি। নিজের কথা সুন্দর করে গুছিয়ে বলার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষাজীবন থেকে প্রফেশনাল জীবন—সবখানেই এর উপযোগিতা আছে। দ্বিতীয়ত, বিতর্ক জড়তা কাটায়, সবাইকে সুন্দর করে কথা বলতে শেখায়। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এসব দক্ষতার গুরুত্ব সর্বাধিক। বিতর্ক আপনার সিভিকে যেমন সমৃদ্ধ করবে, তেমনি কথা বলা শেখার পাশাপাশি আপনাকে এর মাধ্যমে অনেক সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্বন্ধে অবহিত করবে। তৃতীয়ত, এটা আপনাকে যুক্তিবাদী করে গড়ে তুলবে। অন্ধভাবে যেকোনো বিষয়ের অনুকূলে থাকার চেয়ে যুক্তিভিত্তিক অনুধাবনে আপনি মনোনিবেশ করবেন। চতুর্থত, এটি আপনার জ্ঞানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে; কারণ, এখানে আপনাকে যুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনীতি হয়ে জীবনের নানাবিধ অংশ নিয়ে সবিস্তারে আলাপ করতে হয়। তাই দক্ষতার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিতর্কের কার্যকারিতা অনেক।
সাংগঠনিক কাঠামো দরকার
আপনি যদি বিতার্কিক হতে চান, তবে প্রথমেই আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ক্লাবের নিয়মিত সদস্য হতে হবে। ক্লাবের প্রাথমিক সেশনগুলোতে কী, কেন, কীভাবে—এসব প্রশ্নের উত্তরসহ বেসিক নিয়মকানুন শেখানো হয়। এই সেশনগুলোতে নিয়মিত থাকতে হবে। বিতর্কের দুটি দিকের একটি হলো নিয়মাবলি ও উপস্থাপন কৌশল, যাকে বলি ম্যানার। আরেকটি হলো ম্যাটার, বিতর্ক করতে সামগ্রিক যে জ্ঞান লাগে। ক্লাবের প্রাথমিক সেশনগুলো আপনার ম্যানারকে সমৃদ্ধ করবে। সাধারণত পরপর ম্যাটার সেশনগুলো হয়। সচরাচর সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক—এসব নিয়ে সেশনগুলো হয়। মূলধারায় বিতর্ক টুর্নামেন্টগুলোতে দুই ধরনের বিতর্ক হয়, একটি হলো এশিয়ান পার্লামেন্টারি, অন্যটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি। আপনাকে অবশ্যই এই দুই দিক নিয়ে এগোতে হবে, যদি দ্রুত চ্যাম্পিয়নশিপ চান। বিতর্কের ম্যানার নিয়ে ইউটিউবে অনেক কনটেন্ট আছে। এই ভিডিওগুলো দেখলে অনেক উপকার হবে। আর অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নিয়মিত টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হবে।
বিতর্কে ম্যাটারের গুরুত্ব অনেক
আপনি যদি না-ই জানেন বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে, তবে আপনার বিতর্ক করাটা নিষ্ফল। তাহলে কীভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করবেন, আর কীভাবে শুরু করবেন। শুরু করতে হবে টপিকের ভিত্তিতে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিতভাবে পত্রিকায় চোখ বোলাতে হবে। যেকোনো একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি টিভি চ্যানেলের সংবাদ দেখতে হবে। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস এসব অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। ইতিহাস, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়ের বহুল প্রচলিত চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব করবেন। যত পারবেন, ইউটিউব ডকুমেন্টারি বা রিলস দেখবেন। যেকোনো ছুটির দিন বিকেলে এক ঘণ্টা ডকুমেন্টারি চাইলেই দেখা যায়।
উইকিপিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স
গুরুত্বপূর্ণ একটি রিসোর্স হলো উইকিপিডিয়া। ধরুন, আপনি আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গৃহযুদ্ধ নিয়ে জানতে চান। এ ক্ষেত্রে উইকিপিডিয়াতে যাবেন। মূল আলোচনার আগে প্রতি টপিকের ক্ষেত্রেই উইকিপিডিয়াতে একটা সারবস্তুর প্যারাগ্রাফ থাকে। এটি পড়ে ফেলবেন। এই প্যারাগ্রাফেই কী, কেন, কীভাবে—এগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর থাকে। এভাবে চাইলে দৈনিক দু-তিনটি করে টপিক সম্বন্ধে জেনে যাবেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বেলায় প্রথমে একটি মহাদেশ নির্বাচন করুন। এরপর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো জেনে নিন। যেকোনো শক্তিধর দেশের নির্বাচন, ভূ-রাজনীতি, চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব, রাশিয়ার উত্থান-পতন, একনায়কতান্ত্রিক দেশের বৈশিষ্ট্য, বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘের ভূমিকা, উন্নয়ন ও অর্থনীতি নিয়ে জানুন।
সিরিজ ও মুভি দেখতে হবে
বেশি বেশি টিভি সিরিজ ও মুভি দেখতে হবে। মুভি থেকেও বিতর্ক টপিক হয়। যেমন, সুপারম্যানকে কি আইনের আওতায় আনতে হবে? ব্যাটম্যানের অন্যায়বিরোধী স্বতন্ত্র কার্যক্রম কি সমর্থনযোগ্য? অপরাধজগতের ডাইনামিক্স, আর্থসামাজিক বিষয়াদি, বিচারব্যবস্থা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, রাষ্ট্রাচার প্রভৃতি নিয়ে অনেক টিভি সিরিজ আছে। এগুলো দেখে ফেলবেন।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বিতর্কের ম্যানারে একটি দিক হলো স্ক্রিপ্ট রাইটিং। স্ক্রিপ্ট দেখে দেখে পুরো বক্তব্য দেওয়া একদম ঠিক নয়। আবার একদম স্ক্রিপ্ট ছাড়াও বিতর্কের মঞ্চে দাঁড়ানো ঠিক নয়। এ জন্য ভালো শ্রোতা এবং দ্রুত লেখক হতে হবে। বিপক্ষ দলের বক্তার কথাগুলোকে মূল পয়েন্ট আকারে লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
স্পিকার রোল
সংসদীয় বিতর্কে আরও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘স্পিকার রোল’। অর্থাৎ আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন বা উপনেতা হন কিংবা সাংসদ হন—বক্তা হিসেবে আপনার কী কী দায়িত্ব, সেটি ভালো করে জেনে রাখতে হবে। নতুবা নম্বর কাটা যাবে। এ জন্য বেশি বেশি অনুশীলন প্রয়োজন। তার সঙ্গে ‘ট্যাব ফরমেট’ কী ও তা কী করে চালানো হয়, তা জানতে হবে। ইন্টারনেটে এটা অনেক ভালোভাবে বোঝানো আছে।
মোদ্দা কথা, বিতর্কে মাস্টার করতে হলে হাতের কাছে পাওয়া সব রিসোর্স একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রচলিত সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে বিতর্ক অন্যতম। বাগ্মিতা, চিন্তনদক্ষতা ও উপস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগের সঙ্গে অতি প্রাসঙ্গিক গুণগুলোর ব্যাপারে শিক্ষা ও চর্চা হয় এর মাধ্যমে। সহজ কথায়, যেকোনো প্রাসঙ্গিক সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-বৈশ্বিক বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে একটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কথা বলার মাধ্যমে যে প্রতিযোগিতা হয়, তা-ই বিতর্ক।
বিতর্কের মাধ্যমে আপনি যা শিখবেন, যেসব দক্ষতা অর্জন করবেন, সেটির উপযোগিতা তুলনারহিত। প্রথমত, বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রমে ভালো উপস্থাপনার দক্ষতা অনেক দরকারি। নিজের কথা সুন্দর করে গুছিয়ে বলার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষাজীবন থেকে প্রফেশনাল জীবন—সবখানেই এর উপযোগিতা আছে। দ্বিতীয়ত, বিতর্ক জড়তা কাটায়, সবাইকে সুন্দর করে কথা বলতে শেখায়। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এসব দক্ষতার গুরুত্ব সর্বাধিক। বিতর্ক আপনার সিভিকে যেমন সমৃদ্ধ করবে, তেমনি কথা বলা শেখার পাশাপাশি আপনাকে এর মাধ্যমে অনেক সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্বন্ধে অবহিত করবে। তৃতীয়ত, এটা আপনাকে যুক্তিবাদী করে গড়ে তুলবে। অন্ধভাবে যেকোনো বিষয়ের অনুকূলে থাকার চেয়ে যুক্তিভিত্তিক অনুধাবনে আপনি মনোনিবেশ করবেন। চতুর্থত, এটি আপনার জ্ঞানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে; কারণ, এখানে আপনাকে যুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনীতি হয়ে জীবনের নানাবিধ অংশ নিয়ে সবিস্তারে আলাপ করতে হয়। তাই দক্ষতার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিতর্কের কার্যকারিতা অনেক।
সাংগঠনিক কাঠামো দরকার
আপনি যদি বিতার্কিক হতে চান, তবে প্রথমেই আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ক্লাবের নিয়মিত সদস্য হতে হবে। ক্লাবের প্রাথমিক সেশনগুলোতে কী, কেন, কীভাবে—এসব প্রশ্নের উত্তরসহ বেসিক নিয়মকানুন শেখানো হয়। এই সেশনগুলোতে নিয়মিত থাকতে হবে। বিতর্কের দুটি দিকের একটি হলো নিয়মাবলি ও উপস্থাপন কৌশল, যাকে বলি ম্যানার। আরেকটি হলো ম্যাটার, বিতর্ক করতে সামগ্রিক যে জ্ঞান লাগে। ক্লাবের প্রাথমিক সেশনগুলো আপনার ম্যানারকে সমৃদ্ধ করবে। সাধারণত পরপর ম্যাটার সেশনগুলো হয়। সচরাচর সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক—এসব নিয়ে সেশনগুলো হয়। মূলধারায় বিতর্ক টুর্নামেন্টগুলোতে দুই ধরনের বিতর্ক হয়, একটি হলো এশিয়ান পার্লামেন্টারি, অন্যটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি। আপনাকে অবশ্যই এই দুই দিক নিয়ে এগোতে হবে, যদি দ্রুত চ্যাম্পিয়নশিপ চান। বিতর্কের ম্যানার নিয়ে ইউটিউবে অনেক কনটেন্ট আছে। এই ভিডিওগুলো দেখলে অনেক উপকার হবে। আর অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নিয়মিত টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হবে।
বিতর্কে ম্যাটারের গুরুত্ব অনেক
আপনি যদি না-ই জানেন বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে, তবে আপনার বিতর্ক করাটা নিষ্ফল। তাহলে কীভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করবেন, আর কীভাবে শুরু করবেন। শুরু করতে হবে টপিকের ভিত্তিতে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিতভাবে পত্রিকায় চোখ বোলাতে হবে। যেকোনো একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি টিভি চ্যানেলের সংবাদ দেখতে হবে। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস এসব অনুসরণ করতে পারেন। ইউটিউবকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। ইতিহাস, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়ের বহুল প্রচলিত চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব করবেন। যত পারবেন, ইউটিউব ডকুমেন্টারি বা রিলস দেখবেন। যেকোনো ছুটির দিন বিকেলে এক ঘণ্টা ডকুমেন্টারি চাইলেই দেখা যায়।
উইকিপিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স
গুরুত্বপূর্ণ একটি রিসোর্স হলো উইকিপিডিয়া। ধরুন, আপনি আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গৃহযুদ্ধ নিয়ে জানতে চান। এ ক্ষেত্রে উইকিপিডিয়াতে যাবেন। মূল আলোচনার আগে প্রতি টপিকের ক্ষেত্রেই উইকিপিডিয়াতে একটা সারবস্তুর প্যারাগ্রাফ থাকে। এটি পড়ে ফেলবেন। এই প্যারাগ্রাফেই কী, কেন, কীভাবে—এগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর থাকে। এভাবে চাইলে দৈনিক দু-তিনটি করে টপিক সম্বন্ধে জেনে যাবেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বেলায় প্রথমে একটি মহাদেশ নির্বাচন করুন। এরপর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো জেনে নিন। যেকোনো শক্তিধর দেশের নির্বাচন, ভূ-রাজনীতি, চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব, রাশিয়ার উত্থান-পতন, একনায়কতান্ত্রিক দেশের বৈশিষ্ট্য, বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘের ভূমিকা, উন্নয়ন ও অর্থনীতি নিয়ে জানুন।
সিরিজ ও মুভি দেখতে হবে
বেশি বেশি টিভি সিরিজ ও মুভি দেখতে হবে। মুভি থেকেও বিতর্ক টপিক হয়। যেমন, সুপারম্যানকে কি আইনের আওতায় আনতে হবে? ব্যাটম্যানের অন্যায়বিরোধী স্বতন্ত্র কার্যক্রম কি সমর্থনযোগ্য? অপরাধজগতের ডাইনামিক্স, আর্থসামাজিক বিষয়াদি, বিচারব্যবস্থা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, রাষ্ট্রাচার প্রভৃতি নিয়ে অনেক টিভি সিরিজ আছে। এগুলো দেখে ফেলবেন।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বিতর্কের ম্যানারে একটি দিক হলো স্ক্রিপ্ট রাইটিং। স্ক্রিপ্ট দেখে দেখে পুরো বক্তব্য দেওয়া একদম ঠিক নয়। আবার একদম স্ক্রিপ্ট ছাড়াও বিতর্কের মঞ্চে দাঁড়ানো ঠিক নয়। এ জন্য ভালো শ্রোতা এবং দ্রুত লেখক হতে হবে। বিপক্ষ দলের বক্তার কথাগুলোকে মূল পয়েন্ট আকারে লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
স্পিকার রোল
সংসদীয় বিতর্কে আরও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘স্পিকার রোল’। অর্থাৎ আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন বা উপনেতা হন কিংবা সাংসদ হন—বক্তা হিসেবে আপনার কী কী দায়িত্ব, সেটি ভালো করে জেনে রাখতে হবে। নতুবা নম্বর কাটা যাবে। এ জন্য বেশি বেশি অনুশীলন প্রয়োজন। তার সঙ্গে ‘ট্যাব ফরমেট’ কী ও তা কী করে চালানো হয়, তা জানতে হবে। ইন্টারনেটে এটা অনেক ভালোভাবে বোঝানো আছে।
মোদ্দা কথা, বিতর্কে মাস্টার করতে হলে হাতের কাছে পাওয়া সব রিসোর্স একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
বর্তমানে অনলাইনে ইংরেজি শেখানো জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে অন্যতম ইমাম হোসেন। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কঠোর পরিশ্রমী এবং হাসি-খুশি স্বভাবের ইমাম হোসেনের স্বপ্ন ছিলদেশের শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ উচ্চারণে সাবলীল ভাষায় ইংরেজি শেখাবেন।
২ ঘণ্টা আগেনারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেসিজিপিএ স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—এমন ধারণা অনেকেরই। তবে অধ্যবসায়, একাগ্রতা আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সীমাবদ্ধতাও জয় করা সম্ভব। তারই উদাহরণ ববির সুব্রত। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি, যেখানে তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৮।
১ দিন আগেলিসেনিংয়ের রেকর্ডিংয়ে (ধারা বর্ণনায়) সাইন পোস্ট ল্যাঙ্গুয়েজের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। এই সাইন পোস্ট শব্দগুলো (ফ্রেজ) অনেক কিছু বলে দেয়...
১ দিন আগে