কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চিন্ময় বসু নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
চিন্ময় বসু উপজেলার কান্দি বানিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং কলাবাড়ী ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শিক্ষক চিন্ময় বসু প্রতিনিয়ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন ছাত্রীকে কাছে ডেকে নিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। ঘটনা জানতে পেরে তাদের অভিভাবকেরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চিন্ময় বসুর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। চিন্ময় বসু এই বিদ্যালয়ে থাকলে ওই সব ছাত্রীর অভিভাবকেরা সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসু প্রতিদিন পাঠদানের সময় আমাদের একেকজনকে কাছে ডেকে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতেন। এ কারণে আমরা কয়েকজন ছাত্রী পেছনের বেঞ্চে বসতাম। স্যার সেখানে গিয়েও আমাদের জড়িয়ে ধরতেন। স্যারের এমন আচরণের জন্য দুই-তিনজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল না। তার কাছে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে শিক্ষক চিন্ময় বসুর কুকর্মের কথা জানায়। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষক শিখা হালদারকে জানাই। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চিন্ময় বসুকে ছুটিতে পাঠান। ওই শিক্ষক যত দিন এই বিদ্যালয়ে থাকবেন, তত দিন পর্যন্ত আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাব না।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বিদ্যালয়সহ শিক্ষক চিন্ময় বসুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ছুটি শেষে গত রোববার চিন্ময় বসুর বিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা থাকলেও আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি যোগদান করেননি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিখা হালদার বলেন, ‘বিষয়টি আমি অভিভাবকদের কাছ থেকে জানার পর চিন্ময় বসুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। তিনি ছাত্রীদের আদর করে পড়া বুঝিয়ে দিতেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। চিন্ময় বসু ছুটির আবেদন করলে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ছুটি দিই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসু এখানে যোগদানের পর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি চিন্ময় বসুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাবেয়া সুলতানা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিন্ময় বসুর কুকর্মের কথা পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীর অভিভাবকই আমাকে জানিয়েছেন। আমরা তাঁর বদলিসহ শাস্তি দাবি করছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসুর বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানাননি। বিষয়টি জেনে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চিন্ময় বসু নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
চিন্ময় বসু উপজেলার কান্দি বানিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং কলাবাড়ী ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শিক্ষক চিন্ময় বসু প্রতিনিয়ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন ছাত্রীকে কাছে ডেকে নিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। ঘটনা জানতে পেরে তাদের অভিভাবকেরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চিন্ময় বসুর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। চিন্ময় বসু এই বিদ্যালয়ে থাকলে ওই সব ছাত্রীর অভিভাবকেরা সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসু প্রতিদিন পাঠদানের সময় আমাদের একেকজনকে কাছে ডেকে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতেন। এ কারণে আমরা কয়েকজন ছাত্রী পেছনের বেঞ্চে বসতাম। স্যার সেখানে গিয়েও আমাদের জড়িয়ে ধরতেন। স্যারের এমন আচরণের জন্য দুই-তিনজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল না। তার কাছে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে শিক্ষক চিন্ময় বসুর কুকর্মের কথা জানায়। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষক শিখা হালদারকে জানাই। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চিন্ময় বসুকে ছুটিতে পাঠান। ওই শিক্ষক যত দিন এই বিদ্যালয়ে থাকবেন, তত দিন পর্যন্ত আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাব না।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বিদ্যালয়সহ শিক্ষক চিন্ময় বসুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ছুটি শেষে গত রোববার চিন্ময় বসুর বিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা থাকলেও আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি যোগদান করেননি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিখা হালদার বলেন, ‘বিষয়টি আমি অভিভাবকদের কাছ থেকে জানার পর চিন্ময় বসুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। তিনি ছাত্রীদের আদর করে পড়া বুঝিয়ে দিতেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। চিন্ময় বসু ছুটির আবেদন করলে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ছুটি দিই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসু এখানে যোগদানের পর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি চিন্ময় বসুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাবেয়া সুলতানা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিন্ময় বসুর কুকর্মের কথা পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীর অভিভাবকই আমাকে জানিয়েছেন। আমরা তাঁর বদলিসহ শাস্তি দাবি করছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক চিন্ময় বসুর বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানাননি। বিষয়টি জেনে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪