নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রায় তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও জাতীয় গ্রিডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু করেছে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
আজ দুপুরের দিকে ৩০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা। তাদের মতে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহ মতো সময় লাগবে তবে ১৮ মের পর এলএনজি সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়বে।
পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা আছে ৩ হাজার ৭৬০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। কিন্তু গড়ে সরবরাহ করা হয় ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। তার মধ্যে গড়ে ৬৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস এলএনজি আকারে আমদানি করা হয়। এবং বাকি দেশীয় উৎস থেকে আসে। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে হঠাৎ করে জাতীয় গ্রিডে ৬৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফুটের মত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াই রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মত বড় শহরগুলো ছাড়াও দেশব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট এবং লোডশেডিং।
এলএনজি সরবরাহ নিয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কতা কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। গ্যাসের তীব্র সংকট নিরসনে আমরা আজকে দুপুরের পর জাতীয় গ্রিডে ৩০০ এমএমসিএফডি এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছি।’
এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং। গ্যাস সরবরাহ সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াটের দিকে। পিডিবি বলছে, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা আছে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মত। এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন নেমে এসেছে ৬ হাজার মেগাওয়াট থেকে প্রায় অর্ধেক ৩ হাজার মেগাওয়াটে।
পিডিবি জানিয়েছে, গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৪২ শতাংশ আসে। অন্যদিকে এলএনজির ধাক্কায় তীব্র গ্যাস সংকটে পড়েছে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গৃহস্থালি গ্রাহকেরা। তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে বাসায় রান্নাবান্না না হওয়ায় খাবারের জন্য হোটেলে ছুটতে হচ্ছে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের। ঢাকার বাসিন্দারাও তীব্র গ্যাস সংকটের অভিযোগ করছেন গত তিন দিন ধরে।
তবে এই গ্যাস সংকটে সহসাই কাটছেন না এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের কথায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আমাদের একটা ভাসমান টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটার কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে আমরা এখন আজ থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছি।’
জনেন্দ্র নাথ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের কেনা তিনটি এলএনজি কার্গোকে বাংলাদেশে না আসার জন্য বলা হয়েছে। সেইগুলো এখন আরব সাগরে অবস্থান করছে। সেগুলো আসলেও এখন সরবরাহ করা যাবে না। কারণ আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে আমাদের টার্মিনালকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ছিলাম। সেটা আবার অপারেশনে আসতে বেশ সময় লাগবে। এই সব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগবে’।
এই দিকে রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের লোডশেডিং আগামী দুই দিনের মধ্যে উন্নতি হবে তবে গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও ১০–১২ দিন লেগে যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর যেটি উপকূলের কাছাকাছি আছে সেখান থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। তবে গভীর সমুদ্রে থাকা ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে’।
গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গ্যাস নিয়ে এমন সংকটে পড়েছি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আমাদের গ্যাস চালিত যত বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে যত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সবগুলো এখন বন্ধ আছে। গ্যাস সরবরাহ না থাকার কারণে এখন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আছে সেগুলো চালু রাখা কঠিন হয়ের গেছে।’
প্রায় তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও জাতীয় গ্রিডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু করেছে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
আজ দুপুরের দিকে ৩০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা। তাদের মতে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহ মতো সময় লাগবে তবে ১৮ মের পর এলএনজি সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়বে।
পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা আছে ৩ হাজার ৭৬০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। কিন্তু গড়ে সরবরাহ করা হয় ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। তার মধ্যে গড়ে ৬৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস এলএনজি আকারে আমদানি করা হয়। এবং বাকি দেশীয় উৎস থেকে আসে। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে হঠাৎ করে জাতীয় গ্রিডে ৬৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফুটের মত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াই রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মত বড় শহরগুলো ছাড়াও দেশব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট এবং লোডশেডিং।
এলএনজি সরবরাহ নিয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কতা কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। গ্যাসের তীব্র সংকট নিরসনে আমরা আজকে দুপুরের পর জাতীয় গ্রিডে ৩০০ এমএমসিএফডি এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছি।’
এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং। গ্যাস সরবরাহ সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াটের দিকে। পিডিবি বলছে, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা আছে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মত। এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন নেমে এসেছে ৬ হাজার মেগাওয়াট থেকে প্রায় অর্ধেক ৩ হাজার মেগাওয়াটে।
পিডিবি জানিয়েছে, গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৪২ শতাংশ আসে। অন্যদিকে এলএনজির ধাক্কায় তীব্র গ্যাস সংকটে পড়েছে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গৃহস্থালি গ্রাহকেরা। তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে বাসায় রান্নাবান্না না হওয়ায় খাবারের জন্য হোটেলে ছুটতে হচ্ছে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের। ঢাকার বাসিন্দারাও তীব্র গ্যাস সংকটের অভিযোগ করছেন গত তিন দিন ধরে।
তবে এই গ্যাস সংকটে সহসাই কাটছেন না এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের কথায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আমাদের একটা ভাসমান টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটার কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে আমরা এখন আজ থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছি।’
জনেন্দ্র নাথ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের কেনা তিনটি এলএনজি কার্গোকে বাংলাদেশে না আসার জন্য বলা হয়েছে। সেইগুলো এখন আরব সাগরে অবস্থান করছে। সেগুলো আসলেও এখন সরবরাহ করা যাবে না। কারণ আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে আমাদের টার্মিনালকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ছিলাম। সেটা আবার অপারেশনে আসতে বেশ সময় লাগবে। এই সব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগবে’।
এই দিকে রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের লোডশেডিং আগামী দুই দিনের মধ্যে উন্নতি হবে তবে গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও ১০–১২ দিন লেগে যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর যেটি উপকূলের কাছাকাছি আছে সেখান থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। তবে গভীর সমুদ্রে থাকা ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে’।
গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গ্যাস নিয়ে এমন সংকটে পড়েছি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আমাদের গ্যাস চালিত যত বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে যত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সবগুলো এখন বন্ধ আছে। গ্যাস সরবরাহ না থাকার কারণে এখন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আছে সেগুলো চালু রাখা কঠিন হয়ের গেছে।’
দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
১৬ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
১ দিন আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
১ দিন আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২ দিন আগে