Ajker Patrika

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কম দেওয়ার অভিযোগ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও আধা কেজি কম দেওয়া হয়েছে। পরিমাপ করে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

আজ বুধবার দুপুরে এই অভিযোগ ওঠে। সরেজমিনে সুবিধাভোগীদের চাল ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিনে ওজন করে এর সত্যতাও মিলেছে।

এ দিন বেলা ২টার দিকে উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চত্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে যাচ্ছিলেন বোয়ালধার গ্রামের খালেদা বেগম ও আনোয়ারা বেগম। তাঁদের দুজনের চাল ওজন করে দেখা যায়, ৩০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও খালেদা বেগমকে ৪৬০ গ্রাম ও আনোয়ার বেগমকে ৫১০ গ্রাম চাল কম দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও ১০ জনের চাল ওজন করে দেখা গেছে ৫০০ গ্রাম করে কম রয়েছে।

পরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের ভেতরে চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী প্রভাত ও উদ্যোক্তা নবাব আলীর সামনে ওজনে দুজনের চালে ৯১০ গ্রাম কম পাওয়া গেছে।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার ভানোর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ১০০ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। তাঁদের ৩০ কেজি করে চাল ১৫ টাকা কেজি দরে বিতরণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিতরণের দায়িত্বে থাকা প্রভাত আজকের পত্রিকাকে জানান ওজনে কম দিতে বলা হয়েছে বলে এমনটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে ৫০০ গ্রাম চাল কম দিতে অফিস থেকে বলা হয়েছে। এজন্য কম দিচ্ছি।’

এসব ঘটনা দেখে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিক্ষুদ্ধ বৃদ্ধ উসমান আলী ওজনে কম দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যাদের সুবিধাভোগী করা হয়েছে, তাদের চালের প্রয়োজন নেই। অনেকে চাল পরিষদ গেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বৃদ্ধের অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে পরিষদ চত্বরে। নবাব আলী নামের এক যুবক প্লাস্টিকের বস্তায় ১০ মণ চাল কিনেছেন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে। সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ভুল করে কিনেছি।’ ভিডিও ধারণ করতে গেলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চাল নিয়ে চলে যান তিনি।

ওজনে চাল কম ও ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের ভেতরে চাল কেনাবেচা প্রসঙ্গে ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাবিবুল্লাহ বলেন, ৫০ কেজির চালের বস্তা খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। খুলে বিতরণের সময় কিছু নষ্ট হবে, এমন আশঙ্কায় কিছু চাল ওজনে কম দিতে ওপরের নির্দেশনা রয়েছে।

‘তাহলে ৫০০ গ্রাম চাল কম কেন?’ —এমন প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সচিব হাবিবুল্লাহ।

জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান বলেন, চাল ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিও অনুযায়ী চাল সম্পূর্ণ বুঝে দিয়েছি। খুলে বিতরণ করলেও সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ গ্রামের বেশি হওয়ার কথা না।’

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, চাল বিতরণে অনিয়ম হলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত