Ajker Patrika

বদরগঞ্জে শিশু হত্যা: ১০ মাস পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ২০: ১৯
বদরগঞ্জে শিশু হত্যা: ১০ মাস পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি

রংপুরের বদরগঞ্জে সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু ছামিউল হত্যার ১০ মাস পর মামলার প্রধান আসামি সাফিকুল ইসলাম ওরফে ভুচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘শিশু ছামিউল হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি’ এবং ২২ অক্টোবর ‘শিশু ছামিউল হত্যার তিন মাসেও গ্রেপ্তার নেই’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মামলা ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশু ছামিউল গত বছরের ১১ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়ির উঠান থেকে নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর ১৩ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে করতোয়া ক্যানেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বদরগঞ্জ থানা-পুলিশ। ওই দিনই শিশুটির বাবা নুরুজামান বদরগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা প্রতিবেশী সাফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি।

পরে শিশুটির বাবা ২০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত বছরের ২ অক্টোবর মামলাটি বদরগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। কিন্তু মামলা হওয়ার পরও পুলিশ আসামি ধরতে গড়িমসি করায় শিশুর বাবা মামলাটি তদন্তের জন্য রংপুর সিআইডির কাছে হস্তান্তর করতে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে গত বছরের নভেম্বর সিআইডিকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন।

ছামিউলের বাবা নুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্তানের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অপমৃত্যু মামলায় আমার স্বাক্ষর নিয়েছিল। কিন্তু আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই মাস পর বদরগঞ্জ থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে ওসি তা আমলে নেননি। পরে আদালতের নির্দেশে ওসি মামলা নিলেও আসামি ধরতে গড়িমসি করেন।’

ছামিউল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাফিকুল ইসলাম ওরফে ভুচ্চুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রংপুর সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, সাফিকুলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত