Ajker Patrika

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির সাবেক সাংসদ জ্যোতির ৭ বছরের কারাদণ্ড 

বগুড়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ৫৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় বগুড়া স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী এই রায় দেন।

এ সময় জ্যোতি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা। তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি শহরের কাটনারপাড়ার প্রফেসর আবদুর রউফের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নূর আফরোজ জ্যোতির বিরুদ্ধে ২৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং অবৈধভাবে ৫৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৪ সালে ১৫ ডিসেম্বর বগুড়ার তৎকালীন দুদক জেলা কার্যালয়ের এডি মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। গতকাল বুধবার এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ছিল। ওই দিন নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ঘোষণা করেছিলেন।

রায় ঘোষণার পর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে কারাগারে নেওয়া হয়বগুড়ায় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন আর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে ২ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য ৫ বছর কারাদণ্ড এবং অবৈধভাবে উপার্জিত ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় নূর আফরোজ জ্যোতি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত