রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে আটকে আছে ভূপৃষ্ঠের উৎস থেকে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি প্রকল্প। চীন থেকে ঋণের টাকা না পাওয়ায় এবং পাইপলাইন বসানোর জায়গা নিয়ে জটিলতায় ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে বিলম্বিত হওয়ায় সুপেয় পানির অপেক্ষা বাড়ছে নগরবাসীর।
রাজশাহীর পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) সরবরাহ করা পানি পানযোগ্য নয়। ওয়াসার উদ্যোগেই পরিচালিত এক পরীক্ষায় পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করতে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। গত ২১ মার্চ ঢাকায় রাজশাহী ওয়াসার সঙ্গে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রকল্পের মোট অর্থের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না দুই হাজার ৩১৩ কোটি টাকা দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয় চার বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন রাজশাহী মহানগরীতে ২০০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হবে।
কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকার কারণ হিসেবে রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সওজের সঙ্গে জমি জটিলতা এবং চীন থেকে ঋণের অর্থ না আসায় এখনো কাজ শুরু হয়নি। কবে নাগাদ জটিলতা কাটতে পারে তাও বলতে পারছেন না ওয়াসার কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে গত জুন মাসে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পের মূল শোধনাগার নির্মাণ হবে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। এ জন্য সরকারি অর্থায়নে ৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে পাইপলাইন আসবে শহরে। এই জমি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। সওজের কাছে জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ওয়াসা। কিন্তু সওজ এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
জমি জটিলতার বিষয়ে সওজের রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসা যখন সমীক্ষা করে তখন সওজের জায়গায় পাইপলাইনের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। তাই আমরা এখনই জায়গা দিতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে যারা সমীক্ষার কাজ করছেন আমরা তাদের পরামর্শ চেয়েছি। তাঁরা যা পরামর্শ দেবে তা ওয়াসাকে জানানো হবে।’
প্রকল্প প্রস্তুতের আগে সওজের সঙ্গে কেন পরামর্শ করা হয়নি এ বিষয়ে রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকীর হোসেন বলেন, ‘প্রকল্প প্রস্তুতের পরই জায়গার বিষয়ে কথাবার্তা হয়। এটা আগে হয় না। একটা জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটার সমাধানও হবে।’ জাকীর হোসেন আরও বলেন, ‘চীন থেকে ঋণের অর্থ না আসায় আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না। বিষয়টি ঢাকায় সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
রাজশাহীতে আটকে আছে ভূপৃষ্ঠের উৎস থেকে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি প্রকল্প। চীন থেকে ঋণের টাকা না পাওয়ায় এবং পাইপলাইন বসানোর জায়গা নিয়ে জটিলতায় ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে বিলম্বিত হওয়ায় সুপেয় পানির অপেক্ষা বাড়ছে নগরবাসীর।
রাজশাহীর পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) সরবরাহ করা পানি পানযোগ্য নয়। ওয়াসার উদ্যোগেই পরিচালিত এক পরীক্ষায় পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করতে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। গত ২১ মার্চ ঢাকায় রাজশাহী ওয়াসার সঙ্গে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রকল্পের মোট অর্থের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না দুই হাজার ৩১৩ কোটি টাকা দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয় চার বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন রাজশাহী মহানগরীতে ২০০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হবে।
কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকার কারণ হিসেবে রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সওজের সঙ্গে জমি জটিলতা এবং চীন থেকে ঋণের অর্থ না আসায় এখনো কাজ শুরু হয়নি। কবে নাগাদ জটিলতা কাটতে পারে তাও বলতে পারছেন না ওয়াসার কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে গত জুন মাসে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পের মূল শোধনাগার নির্মাণ হবে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। এ জন্য সরকারি অর্থায়নে ৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে পাইপলাইন আসবে শহরে। এই জমি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। সওজের কাছে জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ওয়াসা। কিন্তু সওজ এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
জমি জটিলতার বিষয়ে সওজের রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াসা যখন সমীক্ষা করে তখন সওজের জায়গায় পাইপলাইনের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। তাই আমরা এখনই জায়গা দিতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে যারা সমীক্ষার কাজ করছেন আমরা তাদের পরামর্শ চেয়েছি। তাঁরা যা পরামর্শ দেবে তা ওয়াসাকে জানানো হবে।’
প্রকল্প প্রস্তুতের আগে সওজের সঙ্গে কেন পরামর্শ করা হয়নি এ বিষয়ে রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকীর হোসেন বলেন, ‘প্রকল্প প্রস্তুতের পরই জায়গার বিষয়ে কথাবার্তা হয়। এটা আগে হয় না। একটা জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটার সমাধানও হবে।’ জাকীর হোসেন আরও বলেন, ‘চীন থেকে ঋণের অর্থ না আসায় আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না। বিষয়টি ঢাকায় সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন থেকে প্রাণে বাঁচতে গিয়ে আহত হয়েছেন বাসন্তী রানী সাহা (৮০) নামে এক বৃদ্ধা। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে দুর্গাপুর পৌর শহরের সাধুপাড়া এলাকার ধনঞ্জয় সাহা ও গোবিন্দ কুমার সাহার বাড়িতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত দুই দিনে বেওয়ারিশ কুকুর ও খাবারের সন্ধানে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো বানরের কামড়ে ১৬ জন আহত হয়েছে। গত শনিবার ও গতকাল রোববার (১৮ ও ১৯ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ এই
২৫ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদে মো. মাহবুব হোসেন নামে এক জামায়াত নেতার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও রাজনীতি ছাড়তে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেক্রেটারি। চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়
৩৪ মিনিট আগেবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড ২০০৯ সালে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালিকানাধীন দুই একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসে।
২ ঘণ্টা আগে