Ajker Patrika

পাবনায় পদবাণিজ্যের অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে শোকজ

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ৪১
পাবনায় পদবাণিজ্যের অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে শোকজ

পাবনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুর বিরুদ্ধে পদবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি অডিও। এ ঘটনার জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ নিয়ে মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, ‘পদবাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ভাইরাল হওয়া একটি কথোপকথনে শোনা গেছে, আহমেদ শরিফ ডাবলুর কাছে চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন নিয়ে এস এম আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবি করছেন। সেই টাকা ফেরত দিতেও স্বীকার করছেন আহমেদ শরিফ ডাবলু। 

অভিযোগ উঠেছে, চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠনের সময় পদবাণিজ্য করেছেন আহমেদ শরিফ ডাবলু। ওই কমিটিতে মনিরুল ইসলাম মনিকে টাকার বিনিময়ে তিনি সভাপতি করেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কমিটি-সংক্রান্ত লেনদেনের একাধিক অডিও ভাইরাল হয়েছে। 

ভাইরাল হওয়া অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী এস এম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বানানোর কথা বলে গত রমজানে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন ডাবলু। আমি ছাড়া আরও অনেক নেতা-কর্মীর কাছ থেকে পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন তিনি। মাত্র দু-একজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা চাই এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরিফ ডাবলু বলেন, ‘আমি টাকা নিয়েছি এটা সত্য। তবে টাকাগুলো ধার নিয়েছি। অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য আমি টাকাগুলো নিই। এখন সেটিকে পদবাণিজ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। জবাবও দিয়েছি। এখন কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি মেনে নেব।’ 

ডাবলুর টাকা ধার নেওয়ার দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে এস এম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এটা হাস্যকর। জেলার নেতা হয়ে তিনি টাকা ধার নেবেন উপজেলার কোনো নেতার কাছ থেকে! সেটিও কমিটি গঠনের আগে একজন সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকে! এটুকু হিসাব করলে যে কারও বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে যে তিনি মিথ্যা বলছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত