Ajker Patrika

সালিসে যুবককে চড় মারার জেরে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মনিরামপুরে চা দোকানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মনিরামপুরে চা দোকানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুরে চা দোকানে দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পাঁচ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ বৃদ্ধা মা। গতকাল রোববার সরেজমিন নিহতের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ৯টার পর রাজগঞ্জ বাজারে চা দোকানে টেলিভিশন দেখার সময় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হন আশরাফুল।

নিহতের পরিবারের দাবি, দুই বছর আগে একটি সালিস বৈঠকে এক যুবককে চড় মারেন আশরাফুল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন।

আশরাফুল ইসলাম চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর ছোট ছেলে।

আশরাফুলের মেজো ভাই শাহাজান হোসেন ভাই হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই। সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। দুই বছর আগে এলাকার কয়েকটি ছেলে এক নারীকে জিম্মি করে টাকা হাতাতে চেয়েছিল। ওই ঘটনায় তখন সালিস বসেছিল। সেখানে আশরাফুল ওদের একজনকে চড় মারে। এই নিয়ে তখন রাজগঞ্জ বাজারে আশরাফুলকে মারতে ধরে ছেলেগুলো। তখন গন্ডগোল হলে আমাদের পাঁচ ভাইয়ের নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আশরাফুল এক সপ্তাহ জেল খাটে।’

শাহাজান হোসেন বলেন, ‘তারপরও ওই ছেলেগুলোর রাগ কমেনি আশরাফুলের ওপর। এলাকার সাখাওয়াতের ছেলে কামাল তো আশরাফুলকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। শেখ হাসিনার পতনের পর দুবার তারা ছোট ভাইটাকে মারতে ধাওয়া করেছিল। আমরা একসঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেছি। তারা বসতে রাজি হয়নি। শেষমেশ শনিবার রাতে কামালসহ পাঁচ-ছয়জন মিলে রাজগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে চা দোকানে ভাইটাকে ওরা ছুরি মেরে মেরেই ফেলেছে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানি তানিয়া খাতুন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি দোকানে পান বানাচ্ছিলাম। ভেতরে বসে আশরাফুল ও তাঁর চাচাতো ভাই তারেক টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ এক যুবক দোকানে ঢুকে আশরাফুলের বুকে ছুরি মারে। তখন আশরাফুল দোকানের পেছন দিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে ছেলেটি তাঁর পিঠে ও বুকে আরও দুবার ছুরি মারে। তাকে ঠেকাতে গেলে তারেকের পিঠেও ছুরি মারে ছেলেটি। এ সময় আমি ছেলেটিকে ঝাপটে ধরলে ও আমারে পাকা রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।’

নিহত আশরাফুলের মেজো ভাই শাহাজান আরও বলেন, ছুরি মারার পর এক-দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলেই আশরাফুল মারা যান। তারেককে রাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন ভালো আছেন।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুজ্জামান বলেন, ‘আশরাফুল ইসলাম খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। আমরা একজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক আমিও কম খাই নাই: শিবির প্যানেলের প্রার্থী জুমা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারত এসসিওর সদস্যপদ আটকে দেয়: আজারবাইজান

মার্কিন পণ্যে ভারতের শূন্য শুল্কের প্রস্তাব, তবু রাশিয়ার তেলেই জ্বলছেন ট্রাম্প

চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছে আরও একদল বাংলাদেশি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত