যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে অন্তত ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানাসহ ১৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরাফাত হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট অপারেটর পদে চাকরির পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গেলে শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে নিবাসী সোহেল রানা (ছাত্রলীগের সভাপতি), বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান, রাব্বি, শোয়েব, জিসানসহ অন্তত ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীদের ধরে হলের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে চোখ বেঁধে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আটকে রাখার ঘটনায় এক প্রার্থী ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে আসে। ছাত্রলীগের কর্মীরা আগেই খবর পেয়ে যান যে পুলিশ রাতে ছাত্র হলে অভিযান চালাবে। যে কারণে হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলীগ হলের ভেতর থেকে স্লোগান দিতে থাকে। যে কারণে পুলিশ রাতে হলের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেনি। এই বিষয়ে ওসি আবদুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্র জানা গেছে, সম্প্রতি লিফট অপারেটরের ১২টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ প্রার্থীকে পরীক্ষার জন্য গতকাল ক্যাম্পাসে ডাকা হয়। সকাল ১০টা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তাঁদের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ১৫ জনকে ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গতকাল অভিযোগ দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে, সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর সন্ধ্যায় আটকে রাখা প্রার্থীদের মধ্যে আরও পাঁচজনের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৩৮ প্রার্থীর ২৬ জন শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরির পরীক্ষা দিতে এলে ১৫ প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার লোকজন আটকে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্র হলের যে কক্ষগুলোতে প্রার্থীদের আটকে রাখা হয়, সেসব কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থাকে। ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা হলে বিকেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
উপাচার্য আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ ও সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ছিনতাইয়ের ঘটনার অপরাধে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ড বোর্ডের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। তারপরেই মামলা ও তদন্ত কমিটি হবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে অন্তত ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানাসহ ১৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরাফাত হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট অপারেটর পদে চাকরির পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গেলে শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে নিবাসী সোহেল রানা (ছাত্রলীগের সভাপতি), বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান, রাব্বি, শোয়েব, জিসানসহ অন্তত ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীদের ধরে হলের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে চোখ বেঁধে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আটকে রাখার ঘটনায় এক প্রার্থী ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে আসে। ছাত্রলীগের কর্মীরা আগেই খবর পেয়ে যান যে পুলিশ রাতে ছাত্র হলে অভিযান চালাবে। যে কারণে হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলীগ হলের ভেতর থেকে স্লোগান দিতে থাকে। যে কারণে পুলিশ রাতে হলের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেনি। এই বিষয়ে ওসি আবদুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্র জানা গেছে, সম্প্রতি লিফট অপারেটরের ১২টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ প্রার্থীকে পরীক্ষার জন্য গতকাল ক্যাম্পাসে ডাকা হয়। সকাল ১০টা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তাঁদের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ১৫ জনকে ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গতকাল অভিযোগ দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে, সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর সন্ধ্যায় আটকে রাখা প্রার্থীদের মধ্যে আরও পাঁচজনের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৩৮ প্রার্থীর ২৬ জন শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরির পরীক্ষা দিতে এলে ১৫ প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার লোকজন আটকে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্র হলের যে কক্ষগুলোতে প্রার্থীদের আটকে রাখা হয়, সেসব কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থাকে। ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা হলে বিকেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
উপাচার্য আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ ও সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ছিনতাইয়ের ঘটনার অপরাধে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ড বোর্ডের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। তারপরেই মামলা ও তদন্ত কমিটি হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় চার নেতার একজনের নামে থাকা সব স্থাপনার নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে চারটি আবাসিক
৭ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার ভাষণের ঘোষণার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের মুজিব মুরালে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে গড়া স্থাপনার নাম মুছে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বেরোবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে ফেলে’ বিজয়-২৪’ লিখে দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে জড়ো..
৭ ঘণ্টা আগেমাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রা
৭ ঘণ্টা আগে