আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শাশুড়ির বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্যালক আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হলহলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই জামাতা পালাতক রয়েছেন।
বিষয়টি আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মৌ আক্তার মিতু (২৫) এবং তাঁর খালা আলেয়া বেগম (৬৫)। মিতু রুবেল হোসেনের স্ত্রী এবং আলেয়া বেগম সোলায়মানের স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি হলহলিয়া গ্রামে। ছুরিকাঘাতে আহত নীরব হোসেন (২২) আলেয়া বেগমের ছেলে। তাঁকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই জামাতার নাম রুবেল হোসেন। তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।
পুলিশ, নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১০-১২ বছর আগে হলহলিয়া গ্রামের মৌ আক্তার মিতুর সঙ্গে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের বিয়ে হয়। তাঁদের নিঝুম আক্তার নামে আট বছরের মেয়েসন্তান আছে। মিতুর মা কমলা বেগম সাত বছর আগে গৃহপরিচারিকা হিসেবে সৌদি আরব গেছেন।
কমলা বেগম তাঁর মেয়ে মিতুকে হলহলিয়া গ্রামে জমি কিনে দিয়ে বাড়ি করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে কমলা বেগমের মেয়ে ও জামাতা হলহলিয়া গ্রামে বাস করছেন। কমলা বেগম সৌদি আরব থেকে তাঁর মেয়ে মিতুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা পাঠাচ্ছিলেন। এই টাকায় মিতু সংসারে খরচ চালানোর পাশাপাশি সঞ্চয় রাখছিলেন।
এক সপ্তাহ আগে কমলা বেগম তাঁর মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুবেল হোসেন তাঁর স্ত্রী মিতুর কাছে শাশুড়ির বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চান। কিন্তু মিতু তাঁর স্বামীকে টাকা দিতে চাননি।
এ নিয়ে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। রুবেল হোসেন ঘর থেকে গরু জবাইয়ের ছুরি এনে তাঁর স্ত্রী মিতুকে পুরো শরীরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। তখন মিতু রক্ষা পেতে চিকিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে তাঁর খালা আলেয়া বেগম ছুটে আসলে রুবেল হোসেন তাঁর পেটেও ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন আলেয়ার ছেলে নীরব হোসেন তাঁর মা ও খালাতো বোনকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও হাতে ছুরিকাঘাত করে রুবেল পালিয়ে যান।
গ্রামবাসী এসে রুবেলের স্ত্রী মিতু, তাঁর খালা আলেয়া বেগম ও নীরবকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুল আলম আলেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় মিতুকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। আলেয়া বেগমের ছেলে নীরব হোসেনকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিস (ভারপ্রাপ্ত) ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মকসুদুল আলম আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৌ আক্তার মিতুর পুরো শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তাঁকে আমরা জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে পেয়েছি। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়, শুনেছি তিনি পথেই মারা গেছেন। আর তাঁর খালা আলেয়া বেগমের বুকে গভীর ক্ষত ছিল। তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর জামাতা রুবেল হোসেন পালিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শাশুড়ির বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্যালক আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হলহলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই জামাতা পালাতক রয়েছেন।
বিষয়টি আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মৌ আক্তার মিতু (২৫) এবং তাঁর খালা আলেয়া বেগম (৬৫)। মিতু রুবেল হোসেনের স্ত্রী এবং আলেয়া বেগম সোলায়মানের স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি হলহলিয়া গ্রামে। ছুরিকাঘাতে আহত নীরব হোসেন (২২) আলেয়া বেগমের ছেলে। তাঁকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই জামাতার নাম রুবেল হোসেন। তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।
পুলিশ, নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১০-১২ বছর আগে হলহলিয়া গ্রামের মৌ আক্তার মিতুর সঙ্গে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের বিয়ে হয়। তাঁদের নিঝুম আক্তার নামে আট বছরের মেয়েসন্তান আছে। মিতুর মা কমলা বেগম সাত বছর আগে গৃহপরিচারিকা হিসেবে সৌদি আরব গেছেন।
কমলা বেগম তাঁর মেয়ে মিতুকে হলহলিয়া গ্রামে জমি কিনে দিয়ে বাড়ি করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে কমলা বেগমের মেয়ে ও জামাতা হলহলিয়া গ্রামে বাস করছেন। কমলা বেগম সৌদি আরব থেকে তাঁর মেয়ে মিতুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা পাঠাচ্ছিলেন। এই টাকায় মিতু সংসারে খরচ চালানোর পাশাপাশি সঞ্চয় রাখছিলেন।
এক সপ্তাহ আগে কমলা বেগম তাঁর মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুবেল হোসেন তাঁর স্ত্রী মিতুর কাছে শাশুড়ির বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চান। কিন্তু মিতু তাঁর স্বামীকে টাকা দিতে চাননি।
এ নিয়ে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। রুবেল হোসেন ঘর থেকে গরু জবাইয়ের ছুরি এনে তাঁর স্ত্রী মিতুকে পুরো শরীরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। তখন মিতু রক্ষা পেতে চিকিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে তাঁর খালা আলেয়া বেগম ছুটে আসলে রুবেল হোসেন তাঁর পেটেও ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন আলেয়ার ছেলে নীরব হোসেন তাঁর মা ও খালাতো বোনকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও হাতে ছুরিকাঘাত করে রুবেল পালিয়ে যান।
গ্রামবাসী এসে রুবেলের স্ত্রী মিতু, তাঁর খালা আলেয়া বেগম ও নীরবকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুল আলম আলেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় মিতুকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। আলেয়া বেগমের ছেলে নীরব হোসেনকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিস (ভারপ্রাপ্ত) ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মকসুদুল আলম আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৌ আক্তার মিতুর পুরো শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তাঁকে আমরা জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে পেয়েছি। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়, শুনেছি তিনি পথেই মারা গেছেন। আর তাঁর খালা আলেয়া বেগমের বুকে গভীর ক্ষত ছিল। তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর জামাতা রুবেল হোসেন পালিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড ২০০৯ সালে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালিকানাধীন দুই একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসে।
১ ঘণ্টা আগেআবু তাহের বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোহরাব রাঢ়ী, বনি আমিন, জাকির রাঢ়ী, জাকির হাওলাদার, বাবুল মুন্সী ও ইসমাইল সিকদারসহ স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঘরটি দখল করে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি মক্তব ঘর, সেই কারণে তাঁদের নিষেধ করেছিলাম।
১ ঘণ্টা আগেঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মগোপনে চলে যাওয়া নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে ১৭ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজার থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৭ ঘণ্টা আগে