Ajker Patrika

জামিন পেয়ে আদালত চত্বর থেকে বের হতেই বাদীপক্ষের হামলা, আহত ৭

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জে জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার পরপরই বাদীপক্ষের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসংলগ্ন ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার আহত ব্যক্তিরা দৌড়ে গিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে সংশ্লিষ্ট আদালতের দুই পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় তাঁদের কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত দুজন হলেন হৃদয় মিয়া (৩০) ও দুলাল (৪৮)।

এর আগে অষ্টগ্রাম থানার একটি মারামারি মামলায় কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪–এ হাজির হয়ে ১১ জন আসামি জামিন পান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের মারামারি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে অষ্টগ্রাম থানায় মামলা করেন। আজ সংশ্লিষ্ট আদালতে ১১ জন আসামি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য বেলা ১টার দিকে তাঁরা আদালত থেকে বেরিয়ে ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র বাদীপক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে হৃদয় মিয়া, দুলাল, দীপু, ফরিদ, ওয়েব আলী, রহমত আলী ও বরকত আলী আহত হন।

আহত হৃদয়ের চাচা তাহের মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে তার আত্মীয়স্বজন ও শহরের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কুপিয়ে আমার ভাতিজা হৃদয়ের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, সারা শরীরে কুপিয়েছে। এ ছাড়া আমার চাচাতো ভাই দুলালকে বুকে, পিঠে ও মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।’

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত